পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

’8ના थांभाग्न बूकफै। cर्कt१ ॐज-नां छांनि डांद्र भूथ कि সৰ্ব্বনাশের কথা শুনবো । সে কাছে এল—আমি জয়পাংশুমুখে তার মুখের দিকে চাইলাম, কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারলাম না। ময়রা পিসী আমার মুখ দেখেই আমার প্রশ্ন বুঝতে পারলে, বললে—ভয় নেই বাবা, মা তোমার জন্যেই এখনো প্রাণটুকুকে আকৃড়ে রয়েছে। আমি যেন ইপি ছেড়ে বাচলাম ; এতক্ষণে আমার চোখে জল এল। আমি একরকম ছুটে গিয়ে বাড়ী ঢুকেই মার রোগশীর্ণ বুকের উপর পড়ে খুব খানিকটা কেঁদে নিলাম। মাকে আর চেনা যায় না । বিছানার উপর যেন একেবারে মিশিয়ে আছেন। ওগো নিষ্ঠর দেবতা : সামান্ত মাহুষের প্রাণের উপর তোমার বজ্ৰকঠোর হাতের একি জালাময় স্পর্শ ! একের খেলা যে অন্যের প্রাণঘাতী। সামান্ত জীবনে জার কত সয় । আমাকে অশাস্তির প্রচারক করে’ স্বষ্টি করবারই যদি ইচ্ছা ছিল তা হলে প্রাণটাকেও তার উপযুক্ত করে গড়নি কেন ? দেখি তোমার খেলার শেষ কোথায় । মা দিন দিন একটু ভালর দিকেই এগিয়ে যেতে লাগলেন। দেখে মনটা একটু খুসি হয়ে উঠল। মার অস্থখ দেখে একটা দুর্ভাবনার বোঝা প্রাণের উপর ভারী পাথরের মত চেপে বসেছিল, সেটা নেমে গেল। একট স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে প্রাণটা কতকট হালকা হ'য়ে গেল । মা যে ভাল হ’য়ে উঠবেন এ আশাই করিনি। কারণ ছুঃখ ষে আমার আমরণ সঙ্গী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের সময় নোঙর-বন্ধ নৌকাকে ঝড় যতই টানাটানি করে নোঙর ততই মাটির ভিতর তার ফলা ঢুকিয়ে দিয়ে দৃঢ়ভাবে মাটিকে অঁাকড়ে ধরতে থাকে। টানে কাছিশিকল ছিড়ে যায়, তবু নোঙরের নখের খাম্‌চনি শিথিল হয় না। আমার দুঃখটাও আমার প্রাণের ভিতর তার নোঙর গেড়ে দৃঢ়ভাবে আটকে বসে আছে। কিছুতেই তাকে ছাড়ানো যাচ্ছে না ! ° সেদিন দুপুর বেলা মা বাইরে দালানে বসে আছেন। আমি তার কোয়ার উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছি। মা জামা মাথায় ੋਚ বুলিয়ে দিচ্ছিলেন । আমি চোখ প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৪ { .৩শ ভাগ ১ম খণ্ড - ^^* বুজে ভাবছিলাম এলাহাবাদের কথা। সেখানে আর কিছুতেই যেতে ইচ্ছে করছিল না। এতে খেতে পাই আর না পাই। যদি ভগবান সেখান হ’র্তে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন তবে আবার কেন গিয়ে তাদের দুঃখের বোঝা বাড়াই। বিশেষতঃ বেচারী যুথিকার কথা মনে হতেই সমস্ত মনটা যেন ভীষণভাবে মাথা নেড়ে বলে উঠল— না এ হ’তে পারে না । কিছুতেই যাওয়া হ’তে পারে না। কি অধিকার আছে তোমার একজনের শাস্তিপূর্ণ সংসারের মধ্যে গিয়ে অশাস্তির বিষাক্ত - ধোয়া ছেড়ে সেটাকে বিষাক্ত করে তোলা। যুথিকার সেই প্রথম-দেখা চঞ্চলত ও হাস্যময়-ভাবের প্রতিমূৰ্ত্তিখানি আজ কোথায় এসে পৌছেচে । তাকে যে ক্রমে ধীরতা ও গাম্ভীৰ্য্যের ভাঙনের ধারে এনে ফেলে' দিয়েছি আমিই। আমাকে উপলক্ষ্য করে’ই ত তার জীবনের উপর এই পীড়নের সূত্রপাত হ’তে আরম্ভ করেছে । রমেশ-বাবুর স্ত্রী ত তাকে বকার ভিতর দিয়েই আমাকে সাবধান করে দিয়ে এসেছেন বরাবর। কিন্তু আমি তার সে ইঙ্গিতের মৰ্ম্ম অঙ্গভব করতে না পেরে’ এতদিন বেশ নিৰ্ব্বিকারভাবে কাটিয়ে দিয়ে এসেছি । আমার কি অধিকার অাছে এক শান্তিপুর্ণ সংসারের ভিতর অশাস্তির ঝড় হ’য়ে প্রবেশ করবার। একবার যখন সেখান হ’তে বের হতে পেরেছি তখন আর সেখানে না যাওয়াই ভাল। কি করব, ভেবে কিছু ঠিক করতে পাবুলাম না। সব কেমন গোল পাকিয়ে গেল। মাকে সব খুলে বলি কি না বলি এই ভাবতে ভাবতে শেষ কালে খুলেই বললাম। কারণ সংশয়ে পরামর্শদাত্রী তার মতন আমার আর কেউ ছিল না । তিনিও কিছুই ভেবে ঠিক করতে পারলেন না। আমাকে দিয়ে তিনি বেশ ভাল রকমই জানতেন যে আজকালকার দিনে চাকুরি পাওয়া কি রকম দুঃসাধ্য। কি যে কবুব কিছুই ঠিক করতে পারলাম না । মনটা যাওয়া-না-যাওয়ার মাঝথানে পড়ে দোল থেতে লাগল। ংশয়পীড়িত মনকে স্থির করবার আগেই হঠাৎ একদিন এলাহাবাদ থেকে একথানা চিঠি এল । রমেশবাবু লিখেছেন। চিঠিখান খুলে দেখলাম তিনি অনেক