পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ.. অঙ্গুরোধ করে আমাকে সেখানে যেতে বলেছেন—ভদ্রার ৰিবাহ। সেই পত্রের মধ্যে আর-একটা আলাদা কাগৰে ভদ্রাও লিখেছে, যুথিকাও তার সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছে । জাহাজে উঠলেই সমুদ্রপীড়া হ’ৰে এই ধারণাতেই অনেকের উঠবার আগে থেকেই পীড়ার স্বত্রপাত হতে থাকে। চিঠিখান পেয়েই এলাহাবাদ যাবার ভয়ে আমিও তেমনি শিউরে উঠলাম। . যে মনকে না যাবার দিকেই মত করিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, আজ চিঠিখানি পেয়ে আবার সে বিরুদ্ধ হ’য়ে দাড়াল। চিঠিখানার মধ্যে এমন একটা জিনিষ ছিল যা আসাকে যাওয়ার দিকেই টানতে লাগল। ৯%বার ভাবলাম একি বিড়ম্বনা। আলাদা হ’য়েও আলাদা হবার উপায় নেই। আবার অলক্ষিতে কার হাতের ছোড়া জাল এসে আমাকে অষ্টে পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। কি করব, যাব কি ন-যাব নিজে কিছুই ঠিক করতে পারলাম না । মার কাছে পরামর্শ চাইলাম। তিনি কিন্তু যেতেই পরামর্শ দিলেন । তার কথা অতুযায়ী রওনা হলাম । (9) এলাহাবাদে এসে শুনলাম যে ভজা প্রথমে বিবাহে অমত করেছিল। সেইখানকার এক বড় উকীলের ছেলের সঙ্গে অনেকদিন আগে তার বিবাহের ঠিক হয় । সেও আগে এতে মত দিয়েছিল। কেবল ছেলেটি বিলাতে ব্যারিষ্টারী পড়তে গিয়েছিল বলে এতদিন বিবাহ হয়নি। এখন ফের বিবাহের কথা উঠতেই সে কিছুতেই রাজী হয়নি। কেউ তাকে বুঝিয়ে রাজী করতে পারেনি। কেরল যুথিকার অনুরোধে শেষে সে মত করেছে। যুথিকাকে সে খুব বেশী ভাল বাস্ত । সেইজন্যেই বোধ হয় পাছে যুথিকার মনে কষ্ট হয় যে , সে বিবাহ করে মুখী হবে আর যুথিকাকে আজীবন কঠের ব্রহ্মচর্ঘ্য পালন করতে হবে এই ভেবেই ভদ্র সেই ছেলেটি ফিরে এলে ফের বিবাহের কথা উঠতে বিবাহে মত দেয়নি। অবশেষে যুথিকারই সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধে তাকে মত দিতে হয়েছে। হিন্দুধর্শের শাসন ত সেইখানেই বেশী যেখানে যে যত বেশী দুর্বল। যুথিকাকে সেই ‘স্বরের রেশ AMA AM MA AMMM AAM MMMM eAeeMMe eeee AA AMMMeMMA AMAM MeMeM MeMMMM MM MMAMAMMAMeM eeMMAMMAMAeMAMAMAAAA ৪৭৯ শাসন অতিক্রম করবার ক্ষমতা ত দেওয়া হয় নি। তবে কেন তার জন্যে ভদ্রা তার জীবনকে বিফলতায় পৰ্য্যবসিত করবে স্বার্থ ত্যাগ করে । ভদ্রার বিবাহের পর থেকেই যুথিকা আরো বেশী করে গাম্ভীৰ্য্য ও মৌন অবলম্বন কবুলে। জাগে সে মধ্যে মধ্যে দু’একবার বাইরে আস্ত, এখন , তাও একেবারে প্রায় বন্ধ হ’য়ে গেল। ভদ্রা চলে যাওয়াতেই বোধ হয় তার এই পূর্ণ পরিবর্তন। ভদ্ৰাই ছিল তার স্থখ-দুঃখের সাথী। এত বেশী করে দু’জনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে ছিল যে একের বিচ্ছেদ অন্তে যে কখন সইবে বা অন্তকে সইতে হবে তা’ কেউ ভাবেওনি। যুথিকার চরিত্রে বরাবরই লক্ষ্য করেছি যে সে নিজের অতৃপ্ত দৃপ্ত কামনাকে সব সময় কণ্ঠ রোধ করে চেপে রাখতে চাইত। সব সময় সফল হ’তে পারত না, কিন্তু সেই দ্বন্দ্বের ভিতর পড়েই সে বেশী করে** নিজেকে আবৰ্ত্তনের ভিতর হারিয়ে ফেলত। রবিবার। দুপুর বেলা ঘরে একৃলা চুপ করে বলে’ ভাবছিলাম। পশ্চিমের তাপদস্থ স্তন্ধ দুপুরে দূরাগত চাতকবধূর ফটিক-জল-প্রার্থন চাপা কোমল স্বরে ভেসে আসছিল । চারিদিকেই একটা ভয়ের নীরবতা বিরাজ করছে। গরম হাওয়া একএকবার বন্ধ জানলার একটু কোন ফাক দিয়ে এক ঝলক আগুনের হলকার মত ঢুকে পড়ছিল। তাতেই মনে হচ্ছিল যেন সমস্ত শরীরটা পুড়ে গেল । অন্যমনে বসে বসে যা-তা’ এলোমেলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ যুথিকার সম্বন্ধীয় ভাবনাগুলো বুধিকার ছায়ামূৰ্ত্তির সঙ্গে মনের মধ্যে ভেসে উঠল। ইদানীং সে আর বড় আমার সামনে বের হ’ত না । কিন্তু যখনই দৈবাৎ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হ’য়ে যেত তখনি লক্ষ্য করেছি তার চোখে মুখে সারা দেহের উপর দিয়ে কি একটা হর্ষের ঢেউ খেলে’ যেত। চকিত উদগ্রীব চাহনি . দিয়ে যেন আমায় অভিনন্দিত করত। কিন্তু তখনি সেই ভাবকে দমন করে’ পাছে কেউ দেখে ফেলে এই ভয়ে পীড়নের হাত থেকে বাচ বার জন্তে শঙ্কা-চকিত হয়ে সে সরে তে। তার সেই হর্ষচকিত ভাব, আমার মনের