পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శి نہ شخص۔صہ সঙ্গে আমার রক্তাক্ত বুকের দিকে চেয়ে একটুখানি স্নান হালি তার ঠোঁটের উপর ফুটে উঠল—পদ্মপাতার জলবৃিন্দুর উপর যেন প্রথম স্বৰ্য্যকিরণ চিকচিক্‌ করে উঠল। সেই হাসিটুকু ঠোঁটের কোণে মিলুতে না মিলুতে আমার বুকের উপর এলিয়ে পড়ল যুথিকার হিমশীতল অসাড় দেহখানি । সে সেই হাসিটুকু দিয়ে যেন বলে গেল যে আমার এই আঘাত তোমার বুকে আর কতটুকু ক্ষত উৎপাদন কবেছে । আমার হৃদয়ে আঘাত করে’ তুমি যে ক্ষত প্রবাসী—শ্রাবণ, $రిరి [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড جمعیت اهمیت بامیه ۶یسه حبیبیه উৎপাদন করেছ তার তুলনায় এ আঘাত ত কিছুই নয়। তোমার ঐ ঘা ত দু দিনে শুকিয়ে যাবে। কিন্তু আমার ? কেবল একটু মনে থাকবার স্ত্রন্থে একটু দাগ করে দিয়ে গেলাম । - • T আমি সেই স্মৃতির শেষ রেশটুকু ধরেই চলেছি জীবনের শেষ পারে পৌঁছতে। - এই পৰ্য্যন্ত বলেই নরেন চুপ করলে। বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। বন্ধ জানলায় রুদ্ধ বাতাস ব্যর্থ প্রণয়ীর দীর্ঘশ্বাসের মত কেঁদে কেঁদে হা হা করে বেড়াচ্ছিল । , উী প্রেমোৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ালিয়র দুর্গ প্রাচীনকাল হইতে এই অবধি “গোয়ালিয়র দুর্গে” বহু রাজবংশের উত্থান ও পতন হইয়। গিয়াছে । যে “গোয়ালিয়র দুর্গ” একদিন প্রবলপ্রতাপান্বিত বিশাল হিন্দু রাজত্বের গৌরবময় স্বাধীনতার ধ্বজ বক্ষে ধারণ করিয়াছিল—তাহার সম্পূর্ণ সত্য ইতিহাস এখনও কেহই অমুসন্ধান করিয়৷ লেখেন নাই। আশ্চৰ্য্য ! যে ‘গোয়ালিয়র দুর্গের’ নাম ইতিহাসের পুষ্ঠায় চিরস্মরণীয়,— যে ‘গোয়ালিয়র দুৰ্গ' প্রাচ্যের শিল্পেতিহাসেও একটি নুতন অধ্যায়ের সংযোগ করিয়া দিয়াছে, যে স্থানকে কেন্দ্র করিয়া বীর মহারাষ্ট্ৰীয় জাতি সমস্ত উত্তর ভারতে রাজনৈতিক আন্দোলন আরম্ভ কুরিয়াছিলেন, যে স্থানে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সিন্ধিয়াবংশ আজ দুই শতাব্দী হইতে শাসন করিয়া আসিতেছেন, সে দুর্গের প্রশংসা করিয়৷ সার হিউ রোজ, বলিয়া গিয়াছেন, “One of the most important and strongest fortresses of India,” “Rs ortfast to so, “As a place of defence Gwalior has always been considered one of the most impregnable fortresses in upper India” is • Cunningham's Reports of A. S. I., vol. II, p. 34o. “গোয়ালিয়র দুর্গে" যে-সব গুহা ও মন্দির ও মূৰ্ত্তিরাজি সৌন্দর্য্যমণ্ডিত কারুকার্য্যের অতুল নিদর্শনরূপে বিদ্যমান আছে সে-সকলের সমাচার আমরা নিজেদের ভাষায় ভ্রমণকাহিনী * ও শিল্পসংবাদে ণ বহু পূৰ্ব্বেই পাইয়াছি। কিন্তু ইহার ঐতিহাসিক তথ্য এখনও প্রকাশিত হয় নাই । আমি নিজেই প্রবাসীতে ইহার সম্বন্ধে কিছু লিথিয়াছিলাম, ৫ তাছা কিন্তু অতি অল্প ও অসম্পূর্ণ। মাত্র দুইটি গ্রন্থ— “গোপীচলাথ্যান” ও “গোয়ালিয়র-নামা” অবলম্বনে আমি এই প্রবন্ধের অবতারণ। করিলাম। এই দুইটি হস্তলিখিত বহুমূল্য গ্রন্থ অতীত যুগের যে-সব উজ্জল চিত্র আমাদের সম্মুখে প্রসারিত রাখিয়াছে তাহা যে কিংবদন্তী অপেক্ষ অধিক বিশ্বাসযোগ্য সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই । "গোয়ালিয়র নামা” একটি ফার্স ভাষার গ্রন্থ, আর “গোপাচলাখ্যান” হিন্দু ভাষার একটি অপূৰ্ব্ব রত্ন । এই দুইটি একই বস্তু নয়, কিছু বিভিন্নত পরিলক্ষিত হয়। "গোপাচলাখ্যান” তালপাতের উপর লৌহ কলম দ্বারা লিখিত এবং লিপিটি একাদশ অধ্যায়ে শেষ হইয়াছে। T*T"প্রবাসী" আষাঢ় ১৩২৩, পৃ২৪ দ্রষ্টব্য। + "প্রবাসী” আষাঢ় ১৩২৩ পৃ ২৫৩ ও “মানসী" অগ্রহায়ণ ও পৌষ ১৩২৬ পূ ৪১১, ৫-৬ দ্রষ্টব্য। “প্রবাসী" ভদ্র ১৩২৯ পৃ ৬৯৭ দ্রষ্টব্য।