পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা } “গোয়ালিয়র-নামা"ও তাই । ইহাদের প্রাচীন বর্ণনায় কিছু গোলযোগ আছে—তাহার কারণ অতি প্রাচীন কাল হইতে কালচক্রের আবৰ্ত্তনে "গোয়ালিয়র দুর্গের” ভাগ্যাকাশে শত শত পরিবর্তন ঘটিয়াছে ; কিন্তু আধুনিক সময়ের বর্ণনায় কিছুই গোলযোগ নাই, সব একসূত্রে লেখা ; তাহা হইতে সহজে অনুমান করা যায় লিপি চুটি আধুনিক, প্রাচীম নয় । “গোপাচলাখ্যামের” কালনির্ণয় করা অতি সহজ। ইহা মহাদজী সিন্ধিয়ার রাজত্বকালে লিখিত হইয়াছে (বিক্রম অব্দ ১৮৪৫ ), ইহার সম্পূর্ণ বর্ণনা অনেকগুলি কবি দ্বারা বর্ণিত। এই “নানা কবির" মধ্যে কবি খড়গরায়ও একজন ছিলেন। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর প্রারম্ভেই কবি খড়েগর জন্ম গোয়ালিয়রে হইয়াছিল। কানিংহাম * ও লুয়ার্ড + নিজেদের পুস্তকে ইহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। ; এমন কি কানিংহাম গোপীচলাখ্যানের কিছু চৌপাইয়ের চরণও পাইয়াছিলেন । ৭ “গোপাচলাগানের" মূল লেখক ছিলেন গোয়ালিয়র-নিবাসী কবি ভৈরলাল গৌড় ব্রাহ্মণ । “গোয়ালিয়রনামা" ও একজন ব্রাহ্মণের স্বার লিখিত হইয়াছে। ইনি “কিলেদার’দের সময় “গোয়ালিয়র দুর্গে" বাস করিতেন ও ফাসী ভাষায় ২ পণ্ডিত ছিলেন । যে পৰ্ব্বতের উপর "গোয়ালিয়র দুর্গ” অবস্থিত তাহা ইতিহাস ও পুরাণাদিতে এবং দুর্গস্থ প্রাচীন শিলালিপিতে গোপাদ্রি, গোপগিরি, গোপাচল, গোপাভ্যায় ইত্যাদি নামে অভিহিত হইয়াছে। কেহ কেহ ইহাকে গোমস্ত বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । যাহা হোক "এই পুস্তক হইতে বুঝিতে পারা যায় পৰ্ব্বতের এক নাম “গোপাচল’ এবং তাহারই “আখ্যান” বর্ণনা করিয়াছেন বলিয়| কবি গ্রন্থের নাম রাখিয়াছেন "গোপাচলাথ্যান” le*

  • Cunningham's A. S. I., vol. II, P. 372. + Cunningham's A. S. I., vol. II, p. 371. f Gwalior Gazetteer by Capt. Luard, p. 11. * Cunningham's A. S. I., vol. II, p. 380.

আমি ভুলবশতঃ ফার্স ভাষার স্থানে পূৰ্ব্ব প্রবন্ধে গোয়ালিয়র-" নাম উর্ম,ভাষার গ্রন্থ লিথিয় গিয়াছি। পুস্তকটি ফার্স ভাষার – লেখক ।

    • "গোপচলাথান" বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত কী আর ভালেরাও (Historical Researcher, Gwalior) will affort tools

গোয়ালিয়র দুর্গ SAMAMMeAMMMMMM MMMMMAAAMM AMMMMAMM AM MM MM MMMMMMMAMMMMMeMMMMMMJAMMMS 8్కరి .സ.സ.സി.സി.ക് സ്.സംസ്സ-സം به علي দুর্গ নিৰ্ম্মাণের পর রাজা স্বৰ্য্যসেন দুর্গের নামকরণ করিয়াছিলেন ‘গোয়ালিয়র’ এবং তাহারই গুণ কীৰ্ত্তন করিয়াছেম বলিয়া ফার্সী কবি নিজের পুস্তকের নাম রাখিয়াছেন "গোয়ালিয়র-নামা” ! * “গোয়ালিয়র ছুগ" একটি প্রশস্ত শৈলমালার উপরে অবস্থিত—ইহা দৈর্ঘ্যে দুই মাইল ও প্রস্থে ছয় শত হইতে দুই সহস্র আট শত ফুট। রাজা স্বৰ্য্যসেন স্বৰ্য্যবংশের রাজা ছিলেন–র্তাহার বংশ অতিশয় শ্রেষ্ঠ ছিল । র্তাহার পূৰ্ব্ব রাজধানীর মাম ছিল কুন্তলপুরী । কেহ কেহ আবার ইহাকে কাতোয়ার বলেন। তিনি ধৰ্ম্মে অতি আস্থাবান ছিলেন । র্তাহার প্রথম রাণীর নাম কঙ্কলদেবী ছিল। সেই প্রিয়তম হ্রাণীর নামে তিনি একটি শিবমন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন ও তাহার নামকরণ করিয়াছিলেন ব ফলমঠ । - একদা রাজা স্বৰ্য্যসেন মৃগয়া অভিপ্রায়ে অশ্বপুষ্ঠে নিজের রাজধানী কাতোয়ার হইতে কিযুদ্র গমন করিয়াছিলেন। মৃগয়া করিতে করিতে এক হরিণের পিছু তিনি নিজের অশ্ব পরিচালনা করিলেম । ছুটিতে ছুটিতে অবশেষে তিনি গোপাচলের নিকট আসিয়৷ পৌছিলেন । গ্রীষ্মের আতিশয্যে অত্যন্ত ক্লাস্ত ও পিপাসিত হইয়। তিনি অশ্বপুষ্ঠ হইতে অবতরণ করিয়া জল অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । চতুৰ্দ্দিকে জনবিরল অরণ্য আর তাহার মধ্যস্থিত সুবিশাল পর্বতমালা কত যুগযুগান্তর হইতে মস্তক উত্তোলন করিয়া অটল অচল স্থিরভাবে দণ্ডায়মান । প্রকৃতির এই অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্য দেখিয়া রাজা সূৰ্য্যসেন মুগ্ধ হইলেন। সংসারের জাল সহ করিতে ন পারিয়া পূৰ্ব্বকালে এই স্থানে এক ঋষি নিজের কুটীর স্থাপন করিয়া বাস করিতেন । রাজা জল অন্তসন্ধান করিতে করিতে সেই মহাত্মার (গালপা ) কুটীরে উপস্থিত হইলেন ও কিঞ্চিৎ পানীয় প্রার্থনা করিলেন। গালপ্য কুটারপার্শ্বস্থ কুণ্ড হইতে জল আনিয়া রাজাকে দিলেন। • পুস্তকটি দুষ্প্রাপ্য। একটি মাত্র গ্রন্থ খ্ৰীযুক্ত প্রিন্স বলবস্তুরও সিন্ধিয়ার নিকট ছিল। অনুগ্রহ করিয়া তিনিই আমাকে পুস্তকটি দিয়াছেন। আমি সেই পুস্তকেরষ্ট সাহায্য লইলাম।—লেখক