পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ե-3 জাকাঙ্ক্ষিত স্থণীতল বারি পাইয়া রাজা হস্ত ধৌত করিয়া তাহা আকণ্ঠ পান করিলেন। র্তাহার হাতে কুষ্ঠ ব্যাধি ছিল—হস্ত ধৌত করিয়াই তিনি লক্ষ্য করিলেন এক নিমেষে কোথায় তাহার কুষ্ঠ অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে ! হাতের এই আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়া রাজার হৃদয় এক অনিৰ্ব্বচনীয় শ্রদ্ধা এবং মাধুর্ঘ্যে পরিপূর্ণ হইয়া গেল । তিনি গালপ্যের পদতলে পতিত হইয়৷ তাহার কৃপা প্রার্থনা করিলেন। রাজার এইরূপ আনন্দ দেখিয়া গালপ্য সন্তুষ্ট হইয় আশীৰ্ব্বাদের বোঝায় প্রবাসী—শ্রাবণ, >ළුම්). SAAAAAA AAAA AAAA MM SAAAAASA SAAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASMSM SMSMSAJJM AAAA AAAA AAAAS AAAA SS AASAASAASAAMAeeAMMAMAAAA [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAASAASAASAA পরিবারবর্গ ও আর আর সকলকে লইয়া “গোপাচলে* আসিলেন এবং* রবিবারে ত্রয়োদশীর দিন অনুরাধ নক্ষত্রে শুভ মুহূৰ্ত্ত দেখিয়া “স্বৰ্য্যকুণ্ডের” প্রতিষ্ঠা করিলেম ও জ্যেতিষীদিগকে আস্থান করিলেন । র্তাহারা মাঘ শুক্ল ত্রয়োদশী পুষ্যানক্ষত্রে শুভ দিন স্থির করিলেম । রাজা তখন বেদের বিধি অনুসারে গোপাচল পৰ্ব্বতের উপর দুর্গ প্রতিষ্ঠা করিলেন। তিনি মহাত্মা গালপ্যের অনুমতিক্রমে ঐ পৰ্ব্বতের উপর বিশাল দ্বর্গ নিৰ্মাণ করাইলেন বলিয়া উক্ত মহাত্মার নামানুসারে উহার ‘গোয়ালিয়র’ নামকরণ করিলেন। “গোপাচলাখ্যানের" কবি দুর্গ নিৰ্ম্মাণের সময় নিৰ্দ্ধারিত করিয়া বলিয়াছেন —” “দ্বাপর অন্তজু কলিযুগ আনি ।...” অর্থাৎ দ্বাপরের শেষাশেষি ও কলিযুগের প্রারম্ভেই গোয়ালিয়র দুর্গ প্রস্তুত হইয়াছিল। রাজা স্বৰ্য্যসেন স্বৰ্য্যপাল নাম ধারণ করিয়া গোয়ালিয়র দুর্গের’ রাজসিংহাসনে বসিলেন এবং কিছু স্থান দিনের মধ্যেই নিকটস্থ সব রাজা স্ট্রট ও জমিদারদিগকে নিজের অধীন গোরালিয়রের মান-মন্দির ও তাহার ভিতরের দৃপ্ত চক ও কাচারী বাড়ী র্তাহাকে আরও নত করিয়া দিলেন এবং বলিলেন – “এই পৰ্ব্বতের উপর একটি দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া নিজের রাজধানী স্থাপন কর। রবিবার দিন এই কুণ্ডকে বড় করিয়া সূৰ্য্যকুও স্থাপন কর। যে কেহ রবিবার দিন এই স্থধ্যকুণ্ডে স্নান করিবে সেই যমুনাস্বানের ফল লাভ করিবে। যতদিন তোমাদের নামের শেষে “পাল” শব্দ সজ্জিত থাকিবে ততদিনই তোমার বংশধরেরা নিৰ্ব্বিম্নে রাজত্ব করিবে ।” যোগী এই কথা কয়টি বলিয়া রাজাকে আর-একবার আশীৰ্ব্বাদ করিলেন ও সহসা অদৃপ্ত হইয়া গেলেন। রাজা স্বৰ্য্যসেন অতিশয় আনন্দিত হইয়া নিজের করিয়া লইলেন । র্তাহার জীবিত অবস্থায় দুর্গ সম্পূর্ণরূপে নিৰ্ম্মিত হইয় গিয়াছিল। এইটি র্তাহার জীবনের প্রধান স্বখের কারণ হইয়াছিল। র্তাহার সময়ের “স্বৰ্য্যকুণ্ড” এখনও বৰ্ত্তমান।" তিনি ৩৬ বৎসর স্বখে রাজত্ব করিয়া নিজের পুত্র স্বমস্তপালকে রাজ্যভার দিয়া প্রাকৃতিক মৃত্যুতেই মরিলেন। রাজা স্বমন্তপাল দানশীলতায় অতিশয় প্রসিদ্ধ ছিলেন । তিনি ৬৩ বৎসর রাজত্ব করেন । র্তাহার এই স্বদীর্ঘ শাসনের পর পুত্র নরহরপাল রাজসিংহাসন অলঙ্কত করিলেন। র্তাহারই সময় ‘মহাদেবের মন্দির’ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তিনি মৃগয়া খুব ভালবাসিতেন । শেষে এই মৃগয়াই তাহার মৃত্যুর কারণ ঘটিল। নরহরপাল একাদশ বৎসর অতি মুখে রাজত্ব করিয়াছিলেন।