পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bや দুর্গাধিপতির নিকট দূত পাঠাইলেন ; ইচ্ছ, দুর্গ যদি যুদ্ধ না করিয়া পাওয়া যায়। রাজা রাঞ্জীর অভিমত জিজ্ঞাসা করিলেন ; চৌহান-বংশের রক্ত রাণীর ধমনীতে প্রবাহিত হইতেছিল । তিনি বীর ভারতনারীর মতই বলিলেন, “হয় জয়ন্ত্রর টীকা মস্তকে লাগিবে, না হয় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিবে । যুদ্ধ না করিয়া দুর্গ ত্যাগ করার অপেক্ষ মৃত্যুই শত সহস্ৰ গুণে শ্রেয় ও বাঞ্ছনীয় ?” তিনি আরও বলিলেন, “যদি গোয়ালিয়রের ঞ্জৈন-ভাস্কৰ্য্য সত্য থাকে তাহা হইলে ধৰ্ম্মও থাকিবে, আর যদি ধৰ্ম্ম থাকে তাহা হইলে প্রাণে নিশ্চয়ই ধৈর্য্য থাকিবে, আর যদি সত্য ত্যাগ করা হয় তা হইলে জীবন শুষ্ক মরুভূমিতে ঝরা ফুলের মতন বোধ হইবে !” আর্য্যের রক্ত ফুটিয়া উঠিল--তিনি ক্ষিপ্তভাবে যুদ্ধের আয়োজন করিলেন। আলতামাসও কালহরণ করা অসমীচীন বিবেচনা করিয়া দুর্গ আক্রমণ করিলেন। যখন সকল যুদ্ধে মত্ত—সেই অবসরকালে আলতামাশ অশ্বের প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAMASASASAS SSAS SSAS SSAS SSASASA AAAMAMAAASAASAASAASAAAS উপর চাপিয়া দুর্গের অবস্থা দেখিবার জন্য দুর্গের চতুৰ্দ্দিকৃ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে বাহির হইলেন। যে স্থানে বৰ্ত্তমান ঝিলমিলি-কুয়া অবস্থিত, সেই স্থানে দেয়াল একটু কাচ দেখিয়া ফেীজ সহ ভিতরে প্রবেশ করিলেন ও রাজপুতদিগকে সহসা আক্রমণ করিলেন। রাণ সারঙ্গদেব র্তাহার গতিরোধার্থে অগ্রসর হইলেন, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ কিছুই হইল ন । রাণ। যখন দেখিলেন বিজয়লক্ষ্মী তাহাকে ত্যাগ করিবার আয়োজন করিতেছেন, তখন তিনি শেষ বিদায়ের জন্য রাজ্ঞীদিগের নিকট গমন করিলেন। রাণাকে দেখিয় তাহার প্রিয়তমা রাণীর কর যুক্ত করিয়া বলিতে লাগিলেন, “প্রথমে আমাদের চিরগৌরব জহরযজ্ঞে প্রাণাহুতি দিতে দাও, তাছার পর তুমি যুদ্ধে যোগ দিও।” গোয়ালিয়র দূর্গের পথে ভাস্কৰ্য্য—ত্রিণালী ও উহার পুত্র যে স্থানে তাহাদের এই মধুময় করুণ স্মৃতি গাথা রহিল তাহার নাম হইল "জহরকুণ্ড” তাহা এখনও বর্তমান । যুগম সারঙ্গদেব দেখিলেন যে, আলতামাশের আর সাধ্য ও নাই যে রাজ্ঞীদিগের কেশাগ্র ও স্পর্শ করেন, তখন তিনি নিশ্চিন্ত মনে নিজের দেড় সহস্র সৈন্য সহ যুদ্ধে অগ্রসর হইলেন। উভয়পক্ষের সেনাদল পরস্পরের সম্মুখীন হইলে ঘোর যুদ্ধ আরম্ভ হইল। আলতামাশের সৈন্য সংখ্যায় অধিক ছিল ; সেই সৈন্ত-সমুদ্রের মধ্যে রাণার দেড় সহস্র সৈন্য জলবুদুদের মত কোথায় মিশিয়া গেল । রাণ সমরক্ষেত্র পরিত্যাগ করিলেন। আলতামাশ দুর্গ অধিকার করিলেন । সেই সন্ধ্যায় একটি মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইল ; বিজয়ী মুসলমানসকলে মিলিয়া খোদার কাছে আনন্দ-গান গাষ্টিলেন ।