পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اثراج8 . - প্রবাসী—শ্রাবণ, అరిe [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড so V. AMMMAMAMAMMMMMAA AMAMA AAMA AeM AMAeM MMA AMMMeMMMAMMAAMeAMAeAMeeeA MMMMM MMA AMMMMAAeee MMAMASAMMAAMMAMMAMMMAAA SAAAAA ৩। রোগ-চিন্ত আৰ্ত্ত-ধ্যান । শরীরম্ ব্যাধিমন্দিরম্, অতএব এ বিষয় অনেকেই বিদিত আছেন যে শরীরে ব্যাধি উপস্থিত হইলে তদ্বিষয়ে নানা প্রকার চিন্তাই এই আৰ্ত্ত-ধ্যানের অন্তভূক্ত। ৪ । অগ্র-শোঁচ আৰ্ত্ত-ধ্যান। ভবিষ্যৎ চিন্তাও সময় সময় এরূপ প্রবল হয় যে অন্যান্য শুভাশুভ চিন্তাকে নষ্ট করিয়া একাই আধিপত্য করে। অগ্র-শোঁচ আৰ্ত্ত-ধ্যানের বিষয়-সংখ্য অসীম, সাধারণতঃ কৃতকাৰ্য্যের ইচ্ছামত ভবিষ্যতে ফল-প্রাপ্তি হক্টবে কি না, বিষয়-স্বথ সম্বন্ধে নানাপ্রকার ভবিষ্য কামনাদিতে তৃষ্ণ ক্রমশঃ বৃদ্ধি-প্রাপ্ত হইয়া চিত্তকে উপহত করিয়া জীবাত্মাকে এই অগ্র-শোঁচ আৰ্ত্ত-ধ্যানে আবদ্ধ রাখে । উপরি-উক্ত ইষ্ট-বিয়োগ, অনিষ্ট-সংযোগ, রোগজনিত বেদনাদি অর্তি ধ্যানের বাহু লক্ষণ চারি প্রকারে বর্ণিত আছে । (ক) ক্ৰন্দনতা-চীৎকারাদি, (খ) শোচনত— দীনতাপ্রকাশ, (গ) তেপনতা-অশ্রুবিমোচনাদি, (ঘ ) পরিম্বেদনতা—পুনঃপুনঃ ক্লিষ্ট ভাষণাদি । অশুভ-ধ্যানের পরবর্তী বিভাগ রৌদ্র-ধ্যান। ইহাও চারিভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। ১ । হিংসাকুবন্ধী অর্থাৎ প্রাণিঘাত অথবা বন্ধনাদি দ্বারা জীবকে কষ্ট দেওয়া ইত্যাদি নানাপ্রকার চিন্তাই হিংসাকুবন্ধী রৌদ্র-ধ্যান । ২ । মূসাজুবন্ধী রৌদ্রধান । অসত্য ও মিথ্যাকথনের ও ছল-কপটাদি অসং প্রবৃত্তিতে অধ্যবসায় যখন মানসিক বিচারে প্রবল থাকে সেই চিন্তাই মুষানুবন্ধী রৌদ্র-ধ্যান । ” ৩। স্তেয়াহুবন্ধী রৌদ্র-ধ্যান। ক্রোধ, লোভ ইত্যাদির বশে অপরের দ্রব্যাপহরণ অথবা প্রলোভনাদির দ্বারা অন্ত জীবকে বঞ্চনা করিবার সর্বদা চিন্তা করাই স্তেয়াকুবন্ধী রৌদ্র-ধ্যান । ৪ । সংরক্ষণাঞ্জুবন্ধী রৌজ-ধ্যান। নিজের অর্থাদি সাধন অপরের দ্বারা কোনরূপ নষ্ট না হয় ইত্যাদি মানসে অপরের অনিষ্ট চিন্তা করা এই বিভাগের অন্তর্গত । উপরোক্ত রৌদ্র-ধ্যানের চারি প্রকার বাহ লক্ষণ, m (ক) ওসঙ্গদোষ অর্থাৎ হিংসাদি দোষে অবিশ্রাপ্ত প্রবৃত্তি । g (૧) . বহুল-দোষ—বহুবিধ হিংসা অনুতাদি দোষে প্রবৃত্তি । (গ) অজ্ঞান-দোষ—কুশাস্ত্র-সংস্কার জন্ত হিংসাদিতে প্রবৃত্তি 5 • * - (ঘ) আমরণাস্ত-দোষ অর্থাৎ আমরণাস্ত হিংসাদিতে প্রবৃত্তি । এক্ষণে শুভ-ধ্যান অর্থাং যে চিত্তের একাগ্র চিস্তায় আত্মোন্নতি হয় তৎ সম্বন্ধে বলা হইতেছে— এই শুভ-ধ্যানের প্রথমাবস্থা অর্থাৎ জীবাত্মার প্রথম বিকাশ ধৰ্ম্ম-ধ্যান নামে জৈন-দর্শনে অভিহিত আছে, ইহা চারি প্রকার— ১ । আজ্ঞা-বিচয় ধৰ্ম্ম-ধ্যান । জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র এবং বৈরাগ্য ভাবনা দ্বারা বীতরাগের উক্তির প্রতি শ্রদ্ধা, নিজের মতি স্বল্প, ভ্ৰমাত্মক কিন্তু কেবলী প্রভৃতি জ্ঞানীর উক্তি সত্য-পূর্ণ ইত্যাদি প্রকার চিন্তা করাই প্রথম ভেদ । ২ । অপায়-বিচয় ধৰ্ম্ম-ধ্যান। অনুরাগ, দ্বেষ প্রভৃতি আশ্রব অর্থাৎ আত্মাকে কলুষিত করিবার নানা প্রকার চিত্তের বিকারগুলি ইহলোক-পরলোকের বিশেষ অনর্থকারী এইরূপ চিন্তা করাই দ্বিতীয় ভেদ । ৩ । বিপাক-বিচয় ধৰ্ম্ম-ধ্যান । সাংসারিক নানা প্রকার স্বর্থ-ভোগ ও শোক, পীড়া আদি দুঃখ ভোগ উপস্থিত হইলে তাহাতে হর্ষযুক্ত বা খিন্ন না হইয়া ভোগগুলি কেবল মাত্ৰ পুৰ্ব্বক্লত কৰ্ম্মের ফল এইরূপ সৰ্ব্বদা চিন্তা করাই তৃতীয় ভেদ । - ৪ । সংস্থান-বিচয় ধৰ্ম্ম-ধ নি। আকাশ, কল, জীব, পরমাণু ধৰ্ম্মান্তিকায় ও অধৰ্ম্মান্তিকায় এই ঘটু দ্রব্যের লক্ষণ ংস্থান ইত্যাদি বিষয়ে বিচার ও চিন্ত করাই চতুর্থ ভেদ । উপরোক্ত ধৰ্ম্ম ধ্যানের বাহ লক্ষণ চারি প্রকার, যথা – (ক) আজ্ঞ রুচি—বীতরাগ জিনের আজ্ঞা, উপদেশ ও ব্যাখ্যা নিযুক্তি প্রভূতিতে শ্রদ্ধা। (থ) নিসর্গ রুচি-গুরূপদেশ ব্যতিরেকে তত্ত্বাদির স্বভাবতঃ জ্ঞান ও বীতরাগ ভাসিত দ্রব্যাদি তত্ত্বের নৈসর্গিক জ্ঞান । (গ) স্বত্র-রুচি-কেবলী অর্থাৎ জ্ঞানীজন-প্রণীত সিদ্ধান্ত পাঠে বা শ্রবণে শ্রদ্ধা ।