পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@e 9 প্রভৃতি পুরবাসিগণের সাধারণতঃ যে ধে স্থলে সমাগম হইয় থাকে এইরূপ এক কেন্দ্র হইতে কেন্দ্রাস্তরে সহজে বা স্বল্পসময়ে যাতায়াতের বাহাতে সুবিধা হয়, পথবিদ্যাসের সময় তুৎপ্রতিও দৃষ্ট রাখিতে হয়। পথে কিংবা পথের মোড়ে (crossing) যাঁহাতে পথিকসজ্য কিংবা বিপরীতগামী বানাদির সঙ্গট না হয়, পৃধবিদ্যাসের সময় তাহাঙেও লক্ষ্য রাখিতে হয় । 略 প্রাচীন ভারতের পুরনিৰ্ম্মণবিদগণের রথ্যাবিস্তাস, পদবিষ্ঠাস, জনস্থাপনা, রাজগৃহ, রাজসভাদি বিন্যাসের স্বকৌশলে প্রাগুক্ত বিধিनिष्ठंलङ्ग झश्{ श्मश्श्राव इर्रष्न श्रेष्ठ ।। ८फ़्गॊ-शूखt८१ ।. १२ अश्ाiग्न १•भ। পঙক্তি) আছে, রাজপথ চল্লিশ হাত বিস্তুত করিবে যাহাতে মানুষ ঘোড়া গাড়ী হাতী প্রভৃতি পরস্পর ধাক্কা না থাইয়া সহজে চলাচল করিতে পারে (নৃ-বাজি-রণ-নাগনাম্ অদম্বাধ স্বসঞ্চয়: )। এইজষ্ঠ, বড় বড় সহরে ক্ষুদ্র বীর্থী কিংবা পদ্য ( foot-way) স্থাপন করা শুক্রচার্য্য পচনা করেন নাই। কৌটিল্য দুর্গনিবেশ প্রকরণে, রথপপ', 'পশুপথ', জুদ্রপগুমনুষ্যপথ এবং তাহদের বিস্তুতিপরিমাণ নির্দেশ করিয়াছেন। বিষ্ণুপুরাণে মাহীম্মতীপুীর বিস্তাসের কথায় লেখা আছে, রথা ( vehicular street ), * (avenue ), anti, on 8 to স্থাপন করা হইল। একই নগরের বর্ণনায় বিভিন্ন পথের নির্দেশে বিভিন্ন পথৰাহীর জঙ্ক পৃথক পৃথক্ পথের বাবস্থা ছিল বলিয়া মনে করা নিতান্ত অসঙ্গত নহে । সাধারণতঃ প্রধান প্রধান রাজমার্গগুলির প্রস্থ লেল হীত হইতে চল্লিশ হাত পৰ্য্যস্ত করিবার বিধি ছিল । দেবীপুরাণ এবং ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে আছে, রাজপথ চল্লিশ হাত, শাখারথ্য ষোল হাত, উপরথ । ( গলি ) তিন ছাত, উপরথ্যিক। (ছোটগলি, bye-lane ) দুই হাত, গৃহস্তের ( দুইবাড়ীর মাঝখানে ফাক ) দুই হাত, লাল বা নর্দমা অবকরপরীবাহ ১ ফুট করা উচিত । নগরের আয়তন অনুসারে কমবেশী পথের বিস্তাদ করা বিধেয় । ( পুরুং দৃষ্ট রাজমার্গান স্ববহন কল্পয়েন্‌ নৃপঃ।—শুক্রনীতিসার, প্রথম অধ্যায়, ৪২৬ম পঙক্তি )। লম্বালম্বি তিন হইতে সতেরটি পৰ্য্যস্ত রাজমার্গবিদ্যাসের ব্যবস্থ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রস্তের দিকের প্রায় তত সংখ্যক পথরচনার কথা আছে । এমন ভাবে রাস্ত ফেলিতে হইবে TRTG HAG HFF "KfTEE (symmetrically divided ) FR পখবিস্কাসের পদ্ধতি সতরঞ্চের ছকের মত । অর্থাৎ পথবিদ্যাস করিলে সমস্ত সহরটি কতিপয় বুয়ত বা বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত হইয়৷ যাইবে; অর্থাৎ দুইটি পথ সমকোণে ক্ষটি চাই। বিদিকৃস্থ বা কোণাকুণি রাস্ত ঘর কিছু তৈয়ার করিতে নাই । কাজেই বাস্তীগুলি উত্তরদক্ষিণ ব। পূৰ্ব্বপশ্চিম দিকে প্রসাবিত হওয়া দরকার। উছার পবিভাষিক নাম প্রস্তর । পথের সংখ্যা এবং পথিপার্শ্বস্থিত গৃহপঙক্তি রচনার বিভিন্নতাঅমুসারে ভারতীয় নগরবৃন্দের পৃথকৃ পৃথক নামকরণ হইয়াছে। এই শ্রেণীবিভাগ অনুসারে ময়মুনি-দণ্ডক, কৰ্ত্তরীদওক, কুটিকামুখদণ্ডক, কলকাবন্ধদওক, বেদীভদ্রক, মহাভদ্র, সুভদ্ৰ, জয়ঙ্গ, বিজয় এবং সৰ্ব্বতোভদ্র এই কয় রকমের সহরের উল্লেখ করিয়াছেন। বস্তুতঃ এইসমস্ত পথবিদ্যাসপদ্ধতিরই বিভেদ মাত্র। পথবিস্তাস এবং পদবিদ্যাসের (site-planning ) বিভিন্নত-অমুসারে, দণ্ডক, নন্দ্যাবর্ষ, সৰ্ব্বতোভদ্র. প্রস্তর, চতুর্থ, কামুক, পয়ক এবং স্বস্তিক এই অষ্টবিধ নগর বা নগরবিদ্যাসের বর্ণন মানসার করিয়াছেন। কামিকাগম আরও ছয়টি বেশী উল্লেখ করিয়াছেন । প্রত্যেক গলি বা রাস্তার মাথায় কৰাট সহ তোরণ (গোপুর ) মিস্মিত হইত। প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩e • [ २०* छांनं, sष ५१ मांननांtजब्र बरठ, अंमि वा मर्भब्ररक («थाठोप्त्वद्र खिच्प्द्र) cवहेन कब्रिग्न cय भशंशृत्रै विछरा रुग्न, फाश८क भत्रणवीर्षौं [boulevard] বলে ; পূৰ্ব্ব-পশ্চিম করিয়া বিস্তন্ত পথকে রাজপথ বলে ; বাছার छूई यांख-छोप्नं छूई बांग्न जां८इ ठांशंदक ब्रांछर्दौथौ दृष्ण : यांशंद्र সন্ধি আছে, তাছাকে সন্ধিবী বলে ; যাহা উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত্ব তাহাকে মহাকাল বা বামন-পথ বলে। ছুই মহামার্গকে সংযোগ করিয়া স্থিত বলিয়া উহার নাম সঙ্কিীণী । কোণাকুণি [বিদিকৃস্থ ] রাস্ত ফেলা নিষেধ ছিল। কিন্তু একেৰাৱে যে নিষেধ ছিল তাঁহা নহে। কারণ স্বপর্ণ গরুড় ] দুর্গে কিংবা বৃত্তাকৃতি মন্দ্যাবর্ভ নগরে বিদিকৃস্থ পথ নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা আছে। গরুড়দুর্গে অগ্নিকোণ হইতে বায়ুকোণ পৰ্য্যন্ত একটি এবং নৈঋত কোণ হইতে ঈশান কোণ পৰ্য্যন্ত আর-একটি পথ বিস্তস্ত করা হইত। দুই বা ততোধিক পথের সঙ্গমস্থলকে বিশিষ্টাকার করা হইত। ত্রিপথকে ত্রিকোণাকৃতি [ ত্রিক , চতুষ্পথকে চতুষ্কোণাকৃতি চত্বর ] 4R Igor (cross se tion of many roads) qst#fs Fai হইত। এইজন্ত আজকালের মত পথের কোণ কাটিয়া, সোজা করিয়া বা ঘুরাইয় দেওয়া হইত। এই-রকম চৌমাথায় সম্ভাবৃক্ষ কিংবা সভাগৃহ স্থাপন করা হইত। এইখানে গ্রাম ব৷ লগরের অধিবাসীরা মিলিত হইত। প্রাচীন ভারতে চতুপথে নগরের প্রধান সৌধসমূহ নিৰ্ম্মাণ বিহিত ছিল । মৎস্তপুরাণে [ ২১৭শ অধ্যায় ] আছে, রাজধানীতে চারিটি বীণী রচনা করিলে ; একটির প্রাস্তুভাগে দেব-মন্দির স্থাপন করিবে ; আর-একটির শেষে রাজবেষ্ম বিধান করিবে ; তৃতীয়টির পুরোভাগে ধর্শ্বাধিকরণ নিৰ্মাণ করিবে, এবং চতুর্থ বীর্থীর অগ্রভাগে গোপুর-বিগুস বিধেয় । বড় বড় রাস্তার দুই ধারে সারি দিয়া বৃক্ষরোপণ করার কথাও আছে । অনেক রাস্তার দুই ধারে দেওয়াল থাকিত। সেই প্রাচীরে পুরাশেতিহাসের প্রধান প্রধান ঘটনা অবলম্বন করিয়া স্বচার চিত্র অঙ্কিত হইত। আমি জয়পুরে এই প্রাচীর-চিত্র দেখিয়াছি । সহরের বাড়ীগুলি বিশৃঙ্খলভাবে নিৰ্মাণ করিতে দেওয়া হইত না। সমস্তই স্বনিবদ্ধভাবে পঙক্তিক্রমে নিৰ্ম্মাণ করিতে হইত [ পঙক্তিকৃতাণি গৃহাণি । আজকালের মত রাস্তার মাঝখানটা উচু কচ্ছপোল্পত ] করা হইত—তাহতে জল গড়াইয়া যাইবার পক্ষে স্ববিধা হয়। রাস্তার দুই ধারে নর্দমা ছিল । এমন কি আজকালের মত কোন কোন নগরে #logs; itse gositios I sewers Ri conduit sluices ) স্থাপিত হওয়ার উল্লেখ আছে । ভtঞ্জী নগরে এই রকম জলপ্রণালী ছিল বলিয়| তামিল গ্রন্থকারগণ লিগিয়া গিয়াছেন । মদুর নগরের বর্ণনায় প্রতি রাস্তার মোহনায় একটি করিয়া আবর্জনাভাণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়। তামিল ভাষায় তাহার নাম পুরীমামূ[dust bin]। এই সমস্ত পুরীমাম ইটের তৈয়ারী ও চুনকামকরা থাকিত । রাজপথসমূহ বিস্তস্ত হইলে, সমস্ত সহরটির কতকগুলি মহল্লার [ wards, সংস্কৃত পরিভাষায় গ্রাম বলা হয় ] ভাগ হইত। নগরবিস্তাসেও জাতিভেদ-প্রথা উপলক্ষিত হয়। কোন কোন স্থানে বা মহল্লায় কি কি জাতি বা ব্যবসায়ী অবস্থান করিবে, তাহ ঠিক করিয়৷ দেওয়া হইত। ইহাকে জাতিবিদ্যাস [ folk-planning ] বলা যায়। অগ্নিপুরাণে লিখিত-পদ্ধতি-সমস্ত নগন্সটি একটির ভিতর আর-একটি করিয়া তিনটি আয়তমগুলে বিভক্ত করা হয়। বহিমগুলের অগ্নিকোণে স্বর্ণকারগণ, দক্ষিণে নৰ্ত্তকীগণ, নৈখতে নট, চক্রিকাদি এবং কৈবৰ্ত্তাদি, পশ্চিমে রথ-আয়ুধ-কৃপাণ-ব্যবসায়ীগণ, বায়ুকোণে শৌণ্ডিক, কৰ্ম্মাধিকৃত ব্যক্তিগণ ভূত, অমুচর, চাকুরে প্রভৃতি ] উত্তরে ব্রাহ্মণ, যতি এবং সিদ্ধবর্গ, ঈশানে বণিকৃজন এবং ফলাদিবিক্রয়কারিগণ এবং পূর্বদিকে