পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ঘাষ তার একখানিতে রতনকে বসিয়ে, আর-একথানা আসনে নিজে ব’লে বললেন, রতন, তুমি চ৷ शांe ?” রতন বললে, “কখনো-সখনো। আমার অবস্থা কখনো আমাকে-ও-নেশাটির বশীভূত হ’তে দেয় নি।” —“তার মানে ?” —“মাঝে আমার অবস্থা এমন হয়েছিল যে, চাখাওয়াকেও আমি দুলৰ্ভ বিলাসিত ব'লে ভাব তুম ; পেটে ভাত জুট্ৰত না, চা খাব কি ?" মিঃ ঘোষ বললেন, “অনেক গরীব নিজের গরীবান ঢাক্বার চেষ্টা করে। কিন্তু তুমি দীনতাও দেখাও না, নিজের গরিবানাও লুকোও না, তোমার এই গুণটি আমার বড় ভালো লাগচে। তবে একটা কথা ভেবে আমি একটু আশ্চৰ্য্য হচ্চি। তোমার গান বা কবিতা বা ছবি তোমাকে পয়সা দিতে পারে না বটে, কিন্তু তুমি তো লেখাপড়া জানো, আপিসে একটি ছোটখাটো কেরাণীগিরিও তোমার জোটেনি কেন ?” —“একসময়ে কেরাণীগিরি করতুম। তার পর সে চাকুরি যায়, আর নতুন কাজ জোটেনি।” —“মুরুব্বির অভাবে ?” —“মুরুব্বির অভাব তো ছিলই, তার ওপরে আরো এক কারণ ছিল । শেষ যে-আপিলে কাজের চেষ্টায় যাই, সেখানকার বড়-সাহেবের সঙ্গে আমার কথায় কথায় বচসা হয়। সাহেব আমাকে আর বাঙালী জাতকে সম্বোধন ক'রে কতকগুলো কুৎসিত গালাগাল দেয়, আমিও তার মুখের মত উত্তর দিই। তাইতেই ক্ষেপে’ গিয়ে সাহেব রুল দিয়ে আমাকে মারে, আমিও তাকে তুলে ধরে ছুড়ে ফেলে দি, সে একেবারে সিড়ির রেলিং টপ কে দোতালা থেকে একতালীয় গিয়ে পড়ে অজ্ঞান হ’য়ে যায়। তাই নিয়ে পুলিস-হাঙ্গামা হয়। তার পর আমি কোন গতিকে খালাস পেলুম বটে, কিন্তু সেইদিন থেকে এমন বিখ্যাত হয়ে গেলুম যে, আর কোন আপিসে আমার চাকুরি জুটুল না ।” --"স্থ্যা, হ্যা, বছর-দেড়েক আগে খবরের কাগজে আমি এই ঘটনাট পড়েছিলুম বটে। তুমিই কি সেই cवनी-छले (లిన লোক ? যে সাহেবের কথা বললে, তার নাম কি উডওয়ার্ড, ” -*७षांzख ईTां ।’ —“উডওয়ার্ডকে আমি চিনি। তার আকার ষে তোমার দ্বিগুণ, তাকে তুমি কি ক'রে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলে ? তোমার চেহারা দেখলে তো বোঝা যায় না যে, তোমার গায়ে এত জোর আছে !” —“কিন্তু আমি রোজ ব্যায়াম করি।” —“বটে, বটে । রতন, একটি বিষয়ে আমার বড়ই কৌতুহল হচ্চে "ি —“কি, বলুন।" —“তোমার জামা খুলে’ ফেল, আমি তোমার দেহটি একবার দেখতে চাই!” রতন লজ্জিতভাবে বললে, “ন, ন, থাকৃ—” —“এতে আর লজ্জা কি রতন ? বিধাতার দান সুন্দর দেহ, বাঙলা দেশে যা দুলৰ্ড, তা যে একটি মস্ত দেখবার জিনিষ ।” অগত্য রতন আস্তে আস্তে উঠে দাড়িয়ে নিজের পাঞ্জাবী আর গেঞ্জিটা খুলে ফেললে । মিঃ ঘোষ দেখলেন, রতনের দেহ স্বগঠিত ও বলিষ্ঠ, আর বলবান লোকের যা প্রধান লক্ষণ—তার দুই কাধের মাংসপেশীও খুব পরিপুষ্ট, কিন্তু তা ছাড়া তার শরীরে অসাধারণ শক্তির আর কোন স্পষ্ট ছাপ নেই। মিঃ ঘোষ বললেন, “রতন, তুমি দেহকে শক্ত কর তো !” রতন হাসি-হাসি মুখে দীর্ঘনিঃশ্বাস টেনে বুক ও দেহের সমস্ত মাংসপেশী ফুলিয়ে দাড়াল। চকিতে কি পরিবর্তন ! রতন যেন আর সে মানুষ নয়—তার সমস্ত দেহটাই হঠাৎ যেন দুগুণ বেড়ে উঠল, গল, কঁধি, বাহু, বুক—ও বিশেষ ক'রে পেটের উপরে লোহার মতন দেখতে, শক্ত, ডুমে ডুমে, দৃঢ়বন্ধ, অসংখ্য পেশী আত্মপ্রকাশ করলে ! রতনের পেটের উপর হাত দিয়ে মিঃ ঘোষের মনে হ’ল, সে-পেটের উপরে ছু ভুলে থান-ইটও যেন ভেঙে টুকরো টকৃরে। হ'য়ে যাবে ! এ যেন গ্ৰীকৃ-ভাস্করের গড়া অ্যাপোলোর মূৰ্ত্তি—হালকা ছিপছিপে, কিন্তু সরল