পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪২ هجویی هجای صفحه هجایی خویخته সন্তোষ এ ব্যঙ্গ গায়ে না মেখেই বললে, “একটা পথথেকে-ভূলে-আন কাঙালকে নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি কেন ? আজ যদি আমি তাকে পেতুম, তা-হ’লে নিশ্চয়ই এমন গোটাকতক কথা শুনিয়ে দিতুম, যা শুনলে স্বখ্যাতি ব’লে মনে হ’ত না ।” —“রতন-বাবুর ৭পরে তোমার অতটা জোর কিসের বল দেখি ?” ="লে আমাদের চাকর । চাকর, চাকরের মতন থাকৃবে-তার মুখে অত লম্বা লম্বা কথা মানায় না।” এমন সময়ে কুমার বাহাদুর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলেন–পিছনে পিছনে স্বনীতি। কুমার বাহাদুর ঘরে ঢুকেই বললেন, “নিশ্চয় ! আমিও তোমার কথায় সায় দি সন্তোব ! কালকের কথা হচ্চে বুঝি ?” সন্তোষ বললে, “হ্যা। সে অসভ্যট এখনো আসেনি।” কুমার বাহাদুর বললেন, "বাস্তবিক, কাল আমার ধৈৰ্য্যশক্তি দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলুম। একঘর লোকের সাম্নে একটা মাইনে-করা চাকর অত বড় অপমানটা--" কুমার বাহাদুরকে বাধা দিয়ে, মুখ রাঙা ক'রে স্থমিত্র বললে, “দেখুন, আপনি র্যার কথা বলচেন, তিনি আমার শিক্ষক আর ভঞ্জলোকের ছেলে । দয়া ক’রে এটুকু মনে রেখে কথা কইবেন।” কুমার বাহাদুর সবিস্ময়ে অল্পক্ষণ স্থমিত্রার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তার পুর স্থনীতির দিকে ফিরে বললেন, “আপনিও এই দলে নাকি ?” সুনীতি বললে, "আমি দলাদলিতে নেই। আমি কেবল জোতা " সন্তোষ ক্ষাপ্পা হ’য়ে বললে, "স্বমি, তুই কি আমাদের চেয়ে সেই অভদ্র ছোটলোকটাকে বড় মনে করিল ? বেশ, তা হ’লে তাকে ব’লে দিস যে—” ক্ষমিত্রাও জ'লে উঠে বললে, "রতনবাবুকে যা বঙ্গবার, তুমিই বোলে। আমার যা বল্বার, আমি তা এখুনি বাবার কাছে গিয়ে বলচি”-ব’লেই সে দরজার দিকে এগিয়ে গেল । স্থনীতি তাড়াতাড়ি স্থমিত্রার হাত ধ’রে বললে, প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩• میایسه *۶میته حمایتختی ه=جه t २७ण छ१, $न १8 "লক্ষ্মীটি, ঠাণ্ড হ ! বাবার কাছে আর এসব কথা বলতে হবে না"। দাদা, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ ? তিলকে তাল ক’রে কেন মিথ্যে একটা গোলমাল পাকিয়ে তুলচ ?” ঠিক এই মুহূৰ্বেই রতন এসে উপস্থিত হ'ল। কিন্তু বাবার নামে সম্ভোব তখন নরম হ’য়ে পড়েছে । সে আর কোন কথা না ব’লে তখনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেল—সঙ্গে সঙ্গে গেলেন কুমার বাহাদুরও । রতন হাসিমুখে তাদের নমস্কার করলে, কিন্তু তারা যেন দেখেও দেখলেন না । এটা স্বমিত্রারও চোখ এড়াল না। এই অপ্রিয় ব্যাপারটাকে ঢাকা দেবার জন্তে সে তাড়াতাড়ি সহজ গলায় বললে, “রতন-বাৰু, আজ আপনার এত দেরি যে ” রতন সে কথার জবাব না দিয়ে আহত স্বরে বললে, “গরীবের নমস্কারও নগণ্য ! বেশ, আমারও শিক্ষা হ’ল, এবার থেকে ধনীরা আগে নমস্কার না করলে আমিও কপালে হাত তুলব না !" স্বনীতি বললে, “আপনি কিছু মনে করবেন না রতন-বাৰু ! ওঁরা নিশ্চয়ই আপনার নমস্কার দেখতে পাননি ।” রতন তেমনি স্বরেই বললে, “দেখ তে নিশ্চয়ই পেয়েচেন, কিন্তু গরীবকে প্রতি-নমস্কার করাটা ওঁদের মতে অনাবশ্যক ৷” - স্থনীতি বললে, “দেখুন রতন-বাৰু, এত ছোট ব্যাপার নিয়ে মন খারাপ করলে চলবে কেন ?" —“মুনীতি দেবী, ছোট ব্যাপার মাত্রই সীমান্ত নয়! সময়ে সময়ে ছোট ব্যাপারই মনকে বেশী রকম দোলা দেয় ।” - —“আচ্ছ, মানলুম। কিন্তু আজ যদি কোন গরীব লোক অস্তমনঙ্গ হ’য়ে আপনাকে প্রতি-নমস্কার করতে ভুলে যেত, তা হ’লে—” —“তাহলে খুলিও হ’তুম না বিশেষ, তবে এতটা দুঃখিতও হ'তুম না।” —“কেন ?” —“কারণ সে-ক্ষেত্রে নমস্কার না করার ভেতরে