পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

企8绍 g جامعايي کوي শক্ত কথা বলেন রতন-বাৰু! কৰিদের কথা এতটা নিষ্ঠুর হওয়া উচিত নয় ” “ . - রতন একটু অপ্রস্তুত হ’য়ে চুপ ক’রে রইল। মনে যা “জাসে, মুখে তাই ব’লে ফেলা তার চিরকেলে স্বভাব— এজন্যে অনেক বারই সে মুস্কিলে পড়েছে, তবু এ-স্বভাব শুধরাতে পারে-নি। দুনিয়ার নিয়ম হচ্ছে, মুগের কথায় মনকে চাপা দেওয়া এবং এই লুকোচুরির খেলা যে যত ভালো ক'রে খেলতে পারে, পৃথিবীতে সে ততই ভালো লোক ক’লে নাম কেনে । রতন তা জানভ, কিন্তু ত৷ করতে পারত না। ’ স্থমিত্রা বললে, “আপনাকে আমি একটি কথা বলতে চাই। আপনি কুমার বাহাদুরের সঙ্গে মিশ বেন না !” রতন কৌতুহলী হ’য়ে বললে, “কেন বলুন দেখি ?” —“আপনার সঙ্গে তার মোটেই বনবে না।” —“আপনি তাপক-ক'রে বুঝলেন?” । —“আমি জানি। যাদের টাকা নেই, তিনি তাদের ছোটলোক মনে করেন। তার ওপরে আপনি কাল ৰি-সব বলেছিলেন, তাই নিয়ে তিনি মা অীর দাদার কাছে আপনার নামে লাগিয়েছেন।” —“কি লাগিয়েচেন ?” স্বমিত্রা একটু ইতস্তত ক'রে তারপর বললে, “আপনি নাকি কুমার বাহাদুর আর আমার দাদামশাইকে গালাগাল দিয়েচেন ।” রতন উত্তেজিত হয়ে বললে, “গালাগাল দিয়েচি কি-রকম ? আমি তো খালি বলেচি—এই দু-দলের কারুর দ্বারাই দেশের একতিল উপকারের সম্ভাবনা cनई !” —“কুমার বাহাদুর কিন্তু কথাগুলো এমন ঘুরিয়ে বলেছিলেন যে, মা ভারি রেগে উঠেছিলেন। তার-পর বাবা এসে সব বুঝিয়ে বল্বার পর মা একটু ঠাণ্ডা হয়েচেন। দাদা কিন্তু এখনো চটে আছেন। রাগের মাথায় দাদা যদি আপনাকে কোন অন্ধ্যায় কথা ব’লে ফেলেন, তা হ’লে আপনি যেন কিছু মনে করবেন না ! দাদা ঐ-রকম মাকুয-ভারি কান-পাৎলা !” প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩e { २०* छां★, Yभ थ७ রতন স্তন্ধ হ’য়ে ভাবতে লাগল। এরিমধ্যে তাকে নিয়ে এত কাও হ’য়ে গেছে ! এইজন্তেই সে অীজ প্রতি-নমস্কার থেকেও বঞ্চিত হয়েছে ! স্বমিত্র বালিকা, তাই সরল মনেই ভিতরের কথা তাকে বলে ফেললে !.. রতন বেশ বুঝলে, এই পরম-আধুনিক ধনী-পরিবারের সঙ্গে বনিবনাও ক’রে বেশীদিন টিকে থাকা তার পক্ষে সহজ হবে না! সে আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করলে, “এই কুমীর বাহাদুরের সঙ্গে আপনাদের কিসের সম্পর্ক ?” সুমিত্র বললে, “মা তাকে জামাই করতে চান।” —“আপনার দিদির সঙ্গে বুঝি তার বিয়ে হবে ?” —“এইরকম তো কথা হচ্চে । আমি কিন্তু ওঁকে ফু-চোখে দেখতে পারি না !" —“কেন ?” —“কেন তা জানি না । আমার ভালো লাগে না।” হঠাৎ দরজার কাছ থেকে একটা বিরক্ত-কণ্ঠস্বর এল—“স্থমিত্ৰা !” দুজনে মুখ তুলে দেখলে, দাড়িয়ে আছেন। হরিহর রতনের দিকে একবার অপ্রসন্ন দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে, গম্ভীরস্বরে বললেন, “স্থমিত্ৰা ! চলে এস !” সকৌতুকে রতনের দিকে একবার তাকিয়ে, মুখ-টেপ হাসি হাসতে হাস্তে সুমিত্রা তার দাদামশাইয়ের কাছে উঠে গেল। হরিহর তার হাত ধ’রে অন্দরের দিকে যেতে যেতে বললেন, “দেখ, যে কটা দিন এই সেকেলেবুড়োটা তোমাদের বাড়ীতে আছে, চক্ষুলজার খাতিরে অন্তত সে ক'ট দিনও তোমরা যার-তার সঙ্গে মিশে না ! আমি এ কিছুতেই সইতে পারি না- এ-সব চোখে-দেখাও পাপ !” - হরিহর এমন গলা চড়িয়ে নাতনীর উপরে উপদেশ বৃষ্টি করলেন যে রতনও তা শুনতে পেলে । নিজের মনেই সে বললে—“আচ্ছা মুস্কিলেই পড়া গেল যা-হোক! দরজার কাছে হরিহর • এই দোটানার মুখে পড়ে এখন প্রাণ যে যায় !" ক্রমশঃ শ্ৰী হেমেন্দ্রকুমার রায়