পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@@钵· AAAAAA AAAA AAAA AAAAMAMAAAA هوایی سههمبیی هخایی و অপণ্ডিত ; আমরা সাদাকে সাদা বলি, রাতকে রাত বলি। কিন্তু সাদাকে কাল প্রমাণ এবং রাতকে দিন বলিয়। না দেখিলে মৌলিক গবেষণা কোথায় হইল ? এ ত সাধারণ লোকের মতই কাজ করা হইল। এই দুই রিসার্চ-মহা-পণ্ডিত অমনি পাথরখানি উণ্ট করিয়া ধরিয়া কাসিমুদ্দীনের লেখা তারিখটির উপর গবেষণা আরম্ভ করিয়া দিলেন । তাহার বর্ণনা অধ্যাপকশ্ৰেষ্ঠ ভণ্ডারকরের ভাষায় করা যাউক— “অধ্যাপক পঞ্চানন মিত্র একদিন হঠাৎ এই প্রাচীন পাথরগুলির উপর আসিয়া পড়িলেন, এবং সত্যই অনুমান করিলেন, যে, ইহার উপর কোন অক্ষর আঁকা আছে । তিনি তৎক্ষণাৎ ছুটিয়া আমার অফিস-ঘরে গিয়া সেগুলি আমার সামনে পরীক্ষার জন্য রাখিয়া দিলেন।” পাঠক দেখিবেন, যে, এখানে কলিকাতার পোষ্টগ্রাজুয়েট বিভাগের একবিধ রিসার্চ প্রণালী অতি স্বন্দর স্বচিত হইয়াছে—“হঠাৎ” এবং “চুটিয়া গিয়া” সমস্ত কাজ করা, নব্য-পণ্ডিতদের কাজকৰ্ম্মই এইরূপ চটপটে, —না জানি পাছে রিসার্চ টা উড়িয়া যায় ! যাহা হউক, তখন বঙ্গবাসীদের টাকায় ১৭০০ - বেতন-ভোগী, কলিকাতার ইতিহাসের এম এ ও Ph D’দের মর্ত্য হত্তাকৰ্ত্ত ভণ্ডারকর মহ। রিসার্চ দ্বারা বাহির করিলেন যে এই কাসক্ষুিদ্দীনের লেখার উন্ট। দৃশ্বট আর কিছুই নয়, “মিসর দেশের প্রাগৈতিহাসিক যুগের অক্ষরগুলির সঙ্গে সম্পূর্ণ এক এবং [ তাহার চেয়ে পুরাতন মানবের প্রাচীনতম কীৰ্ত্তি ] ক্রীট দ্বীপের শিলালেখের এক বংশের ।” ঢক-নিনাদ পর্ব জোহরীই জোহর চেনে। স্তার আশুতোষ প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৯ A^^^ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড, MBAMeSAeMSMeSAeeMAeMAMeAASAAAA মুখোপাধ্যায় তখন ভণ্ডারকরের গৌরব-গান ( এবং তৎসঙ্গে নিজের স্ফীতমস্তক পোষ্টগ্রোজুয়েট বিভাগের প্রশংসা) আরম্ভ করিয়া দিলেন,—শুধু ভণ্ডারকরের প্রশংসা, কারণ সেই দ্রুতপদ পঞ্চানন বেচারা ইতিমধ্যে অদৃপ্ত হইয়া পড়িয়াছে। সে ত আর হুজুরের সালগেরায় ভেট প্রদান, রৌপ্য-ফলকে বে-তাল নৃত্য-কারিণী ( ! ) সরস্বর্তীর মৰ্ত্তে জন্মের কাহিনী, প্রভৃতি দিতে পারে না । এই মহা আবিষ্কারটি স্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়“ডাক্তার হওনের" সিল্ভার ক্রোল মেমোরিয়াল ভলুমগুলির তৃতীয়টিতে ছবি সহ প্রকাশিত করা হইয়াছে ; তাহার সমস্ত খরচ বঙ্গের ছাত্রদের পিতা ও ট্যাক্স পীড়িত প্রজার দিয়াছে (আশু-বাবুও নহে, ভণ্ডারকর ও নহে ) । আমরা ঐ পুস্তক হইতে ছবিখনি ছাপিলাম। পাঠক নিজেই দেখিবেন । আশুবাবু যেমন সৰ্ব্ববিদ্যায়পণ্ডিত এবং তাহার অধীনস্থ ও অনুগ্রহীত শিক্ষক ও ছাত্রমণ্ডলীর মধ্যে যেরূপ চরিত্রের বল স্বষ্টি করিতেছেন, তাহাতে ভণ্ডারকরের এই ভণ্ড-রিসার্চ, যে র্তাহার সর্বাপেক্ষ উপযুক্ত স্মৃতিচিহ্ন ( neuorial ) হইয়াছে তাই সকলেই স্বীকার করিবেন। ঢঙ্কা-ভঙ্গ পৰ্ব্ব কিন্তু বিধি বাম হইলেন। এখন শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ মিউজিয়মের একজন প্রধান কৰ্ম্মচারী। তিনি যদিও আশু-বাবুর অন্যতম মোসায়েব, তথাপি তিনি পাথরটা সোজা করিয়া ধরিয়া গত ৫ই জুন বঙ্গের এসিয়াটিকৃ সোসাইটীব এক অধিবেশনে ভণ্ডারকরের গবেষণার অলীকত্ব প্রমাণ করিয়া দিয়াছেন। তাহাতে পটহ ছিন্ন হওয়া উচিত । কিন্তু হইয়াছে কি না, পরে দেখা যাইবে । اسلامهم শ্ৰী মনসাচরণ ভৌমিক