পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾ᏬᏠ ASAAAAS SASAAAA AAAA AAAA SAAAAAAASAAAAASA SAAAAA সাম্রাজ্য, বনাম অর্থনৈতিক প্রভুত্ব মানুষের ইতিহাসে এমন সময় গিয়েছে, যখন, ‘আমি জয়ী বা ‘আমার এত হাজার দাস আছে' কিম্বা ‘আমি ১ লক্ষ লোকের মুগুপাত করেছি, বলে’ জগতের কাছে নিজেকে জাহির করে’ই মানুষ জীবন সার্থক মনে করত । পুরাকালের অনেক বড় বড় রাজত্ব ও সাম্রাজ্যই হয়ত অর্থনৈতিক লাভের দিক থেকে বিশেষ স্থবিধাজনক ছিল না। কিন্তু বৰ্ত্তমানকালের মানুষ আত্মজাহিরকে খুব বেশী অমিল দেয় না, বিশেষতঃ মেকিখৃষ্টান পাশ্চাত্য জাতিগুলি ‘আমরা জগতের জন্য আত্মত্যাগে সদাই প্রস্থ ত এবং সচরাচর স্বার্থত্যাগ করে থাকি, বলতে পারলে আর কিছুই চায় না। এ ও একপ্রকার অগ্নি-জাহির, কিন্তু ‘আমার প্রবল শক্তি আছে ও আমি মানুষ মারতে পারি? ধরণের আত্ম-জাহির এ নয় । কিন্তু আসলে স্বার্থত্যাগী পাশ্চাত্য জাতিদের সাম্রাজ্যবিস্তার-ব্যাধির মূলে মানুষকে দাস করে' রাখার আনন্দ অথবা পরোপকার--এদুটির কোনটিই নেই। তাদের সাম্রাজ্যবিস্তার-চেষ্টার কারণ নিজেদের ঐশ্বৰ্য্যাগম । অন্য জাতিদের যদি গায়ের জোরে এমন অবস্থা করা যায়, যাতে তার অবশুপ্রয়োজনীয় জিনিষগুলি প্রভুজাতির কাছে ছাড়া আর কোথাও না পায় এবং ফলে উক্ত জিনিস গুলি পাবার জন্য নিজেদের উৎপাদিত কঁচি-মাল ধনসম্পদ বেণী মাত্রায় প্রভূজাতীয় বণিককৈ দিতে বাধ্য হয়, এবং যদি প্রভূজাতীয় অকেজে, অল্পকেজো ও বাড়তি লোক করায়ত্ত দেশে সৰ্ব্বঘটে মোট মাইনে, বুট ও হাণ্টারের সাহায্যে আরামে দিন কাটাতে পারে ; ত৷ হ’লে সাম্রাজ্যবিস্তার যে অবশ্য প্রয়োজনীয়, তা বলাই বাহুল্য। এ কথা গুলি বৰ্ত্তমান সাম্রাজ্যবাদের সাধারণ নিয়মের মধ্যে পড়ে । আমাদের দেশে যে পাশ্চাত্য জাতির সাম্রাজ্য আজি বহুকাল ধরে বেড়ে উঠেছে, তারাও পরোপকার-মন্ত্র নিয়েই এদেশে বিদ্যমান। কিন্তু একথা সকলেই জানে, যে, সেই পরোপকারের ধাক্কায় আমরা আজ জলতোলা ও কাঠকাটা জাতীয় কাজ করে দিন গুজরান করছি । প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৯ SJA SAASAASSJJJJJSJAMA AMAMMA AJS AMAA AAAA AAAAA SAASA SAASAASSAAAASA SSASAS SSAS SSAAAA AAAAMAAAA [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্বদেশী ও অসহযোগিতার ফলে ইংরেজ দেখলে, যে, পরোপকার ও জাতীয়তার ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে এখন বেশী কথা না বলাই ভাল । সে আরও দেখলে, যে, তার অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য বজায় থাকুলে সে-সাম্রাজ্যের নাম যাই হোক না কেন তাতে তার টাকার থলির ওজন বাড়বে বই কমবে না। কাজেই আজকাল ইংরেজ-মহলে খুব চেষ্টা হচ্ছে যাতে এদেশের লোকেরা ইংরেজের পাহারার হাত থেকে বেরলেও, লোহার সিন্দুকের চাবিট। তার হাতেই রেখে বা’র হয় । মখন অসহযোগিতার ধাক্কায় ইরেজের তুলার স্বতা ও কাপড়ের ব্যবসাতে বেশ ঘা পড়ল এবং ইংরেজ দেখলে যে ও-ব্যবসাতে আর বেশী দিন ভারতবর্ষের উপকার করা চলবে না, তখন তার চেষ্টা হ’ল অন্যান্য ব্যবসা এ-দেশে ভাল করে বিস্তার করে’ এ-দেশটাকে আর-একটু উন্নত’ করা । বাবুর্মিংহামের লোহ ও ইস্পাতের রাজারা, রথ চাইল্ডের দলের সেনাপতির, ম্যানচেষ্টারের কলওয়ালার ও ছত্রপতি ইঞ্চ কেপের জাহাজের ব্যবসাদার-মণ্ডলী— সকলে মিলে ঠিক করে ফেললে যে, ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থার পূর্ণবিকাশ প্রয়োজন এবং সেই প্রয়োজন'সিদ্ধির দিকে মন ন দিলে ভারতবর্ষের অশেষ বিপদ । ফলে, ভারত-গভর্ণমেণ্ট বাধ্য ছেলের মত মাথা নেড়ে বললে, ‘তা বটেই ত'। e অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও ম্যানচেষ্টারের কাপড়ের কলওয়ালাদের জন্য কোন পরোপকার-পস্থা খন্দরের জন্য সম্ভব হয়ে উঠল না। দেখা গেল, এদেশের মিলওয়ালারাই ‘ত্রীহি, ত্ৰাহি ডাক ছাড় চে, বাইরের লোকেরা মিল করবে কোথায় ? কিন্তু অন্য সকলের বেশ স্থবিধা হ’য়ে গেল । - ভারত-গবর্ণমেণ্টের অমুসন্ধিৎসার ফলে রেল-কমিটিকে যা যা আবিষ্কার করতে বলা হয়েছিল, তারা তার সবই আবিষ্কার করতে সমর্থ হলেন। তারা আবিষ্কার করলেন, যে, ভারতের প্রায় সব রেল-লাইনেরই আগাগোড়া মেরামত দরকার’ এবং সেইজন্য ১৫০ ক্রোর টাকা ৫ বছর ধরে খরচ করা হবে। ফলে রথ,চাইল্ড ও ভিবাবুস্ এর ১৫০ ক্রোরের কাজ জুটে গেল। ব্রিটিশ মজুর,