পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ጫ: মধ্যে, খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত অনেক হিন্দু, পুনৰ্ব্বার হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে, এবং হিন্দু-সমাজ তাহদের স্থানদান করিয়াছে। অবশ্য ইহাদের সংখ্যা অধিক নয়। সত্য বটে, যে, মালকান রাজপুতদিগের শুদ্ধির পূৰ্ব্বে, বহুসংখ্যক লোককে দলে দলে এইরূপে হিন্দুধৰ্ম্মে পুনগ্রহণ করা এত দিন হয় নাই। কিন্তু তাহাতে ইহা অপ্রমাণ হয় না, যে, হিন্দুধৰ্ম্মে অহিন্দুকে হিন্দুত্বে গ্রহণ করার রীতি আছে। ইহা ঐতিহাসিক সত্য, যে, পুরাকালে বহুসংখ্যক এমন লোক হিন্দুসমাজে মিশিয়া গিয়াছে যাহারা অহিন্দুজাতীয়, এবং যাহাদের অনেকের পূর্বপুরুষগণ অহিন্দুদেশে বাস করিত। প্রত্যেক স্কুলের ছাত্রেরই ইহা জানা উচিত। এই অহিন্দুকে হিন্দুকরণ এখনও চলিতেছে। ১৯১১ খৃষ্টাব্দের ভারতীয় সেন্সস রিপোটের প্রথম খণ্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় আমরা দেখিতে পাই— “কোন অসভ্য জাতি যদি এমন পারিপাশ্বিক অবস্থার ভিতর আসিয়া পড়ে, যেখানে হিন্দু-সভ্যতার প্রভাব প্রবল, তাহা হইলে তাহারা ক্রমে ক্রমে আপনাদের অজ্ঞাতসারেই হিন্দু ভাব ও কুসংস্কার প্রভৃতি গ্রহণ করিতে আরম্ভ করে। তাহারা হিন্দু উৎসব সকলে যোগদান করে, দেবালয়ে বিগ্রহ দর্শনার্থে গমন করে এবং ব্রাহ্মণদিগকে ভক্তি করিতে আরম্ভ করে। কোনে নিম্নশ্রেণীর ব্রাহ্মণ বা কোনো বৈষ্ণব গোসাই তাহদের গুরুর স্থান অধিকার করিয়া বসেন। ক্রমেই তাহীদের ও তাহাদিগের হিন্দু প্রতিবাসীবর্গের মধ্যে সামাজিক রীতিনীতি এবং ধৰ্ম্মাতুষ্ঠানের যা-কিছু প্রভেদ থাকে তাহা লুপ্ত হইয়া আসিতে থাকে, এবং অবশেষে তাহারা নিজেরা এবং প্রতিবেশী হিন্দুরাও তাহাদিগকে হিন্দু বলিয়া ধরিস্কা লয়।" এই সম্বন্ধে অনেকগুলি দৃষ্টান্তও উক্ত পুস্তকের ঐ পুষ্ঠাতেই পাওয়া যাইবে । বহু সংখ্যক লোকের একত্রে হিন্দুধৰ্ম্ম পুনগ্রহণ সম্বন্ধে সেন্সস রিপোটের পুস্তকের ঐ পৃষ্ঠাতেই বলা হইতেছে— “মুসলমান বা খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছে এমন ছুচারটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হিন্দু জাতি আবার হিন্দুধৰ্ম্মে ফিরিয়া - প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩e ॥ २७* छांनं, »न १७ حمید احمد محعه سهمیه حمیدیه - میلیمت بیمه حبیبیه تعییه ۶یفه جه هخاعی سحابیانه حبیبیه جعبیه یحیی গিয়াছে, এইরূপ ঘটনাও স্থানে স্থানে ঘটিতে দেখা গিয়াছে । বোম্বাইয়ের ঠানা জেলার উরাপ এবং বরাপ আগরীগণ প্রায় এক শতাব্দী পূৰ্ব্বে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম হইতে হিন্দুধৰ্ম্মে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছে বলিয়া শুনা যায়। ঐ জেলারই রুপাল ভাণ্ডারীগণকে পোটুগীজরা বলপূৰ্ব্বক খৃষ্টিয়ান করে, কিন্তু তাহার। আবার হিন্দুসমাজে গৃহীত হয় । বড়োদারাজ্যে যে মাটিয়া কুম্বী এবং শেখাদাগণ বাস করে, তাহদের বিষয়ে স্থানীয় রাজকৰ্ম্মচারী লিখিতেছেন, যে, তাহার প্রায় তিন শতাব্দী পূৰ্ব্বে মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে, কিন্তু ক্রমে ক্রমে তাহার অনেকেই মুসলমান আচরণ ত্যাগ করিয়াছে এবং সম্প্রতি তাহাদের মধ্যে অনেকে স্বামীনারায়ণ এবং রামানদের ংস্থাপিত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে প্রবেশ লাভ করিয়াছে।” ভারতবর্ষের প্রথম মুসলমান আক্রমণের বন্যা সিন্ধু দেশের উপর দিয়াই বহিয়া গিয়াছিল। সেই সময় ঐ দেশে অনেককে বলপূর্বক মুসলমান করা হইয়াছিল । সংস্কৃতে দেবল-স্মৃতি বলিয়া একটি গ্রন্থ আছে। উহা সিন্ধুদেশের দেবল নামক সমুদ্রতীরস্থ নগরের নামধারী দেবল ঋষি কর্তৃক প্রণীত বলিয়া কথিত আছে । পুস্তকটি বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বে রচিত এবং বহু বৎসর পূৰ্ব্বে পুনার আনন্দাশ্রম গ্রন্থমালায় ছাপা হইয়াছিল, ইহা অল্পমূল্যেই পাওয়া যায় ৷ যে-সকল হিন্দু বা হিন্দুর পূর্বপুরুষ মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিল, কিন্তু আবার সনাতন ধৰ্ম্মে পুনঃপ্রবেশ করিতে ইচ্ছুক, তাহীদের প্রায়শ্চিত্তের নানাবিধ বিধান ইহার ভিতর দেখা যায়। ইহা হিন্দুদিগের একটি শাস্ত্রগ্রন্থ । তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, যে, হিন্দুধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ এবং ধম্মান্তর হইতে হিন্দুধৰ্ম্মে পুনঃপ্রবেশ ইতিপূর্কেও ঘটিয়াছে এবং এখনও ঘটিতেছে, এবং এবিষয়ে শাস্ত্রের বিধানও রহিঃাছে । অৰ্দ্ধহিন্দু ও অৰ্দ্ধমুসলমান বহুপুরুষ ধরিয়া অৰ্দ্ধেক হিন্দু ও অর্ধেক মুসলমান ভাৰে