পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] - (*!) মজঝিম-নিকায় নামক গ্রন্থে অরিয়-পরিয়েসন (আয্য পর্য্যেষণা ) নামক একটি স্বত্ত আছে। ইহা গোতম বুদ্ধের আত্ম-চরিত। শ্রাবস্তীর অন্তর্গত রম্যক নামক ব্রাহ্মণের আশ্রমে তিনি ভিক্ষুগণকে আত্মচরিত-বিষয়ে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই এই স্বত্তে নিবদ্ধ হইয়াছে। কি প্রকারে তাহার বৈরাগ্য উপস্থিত হইয়াছিল, এ বিষয়ে তিনি এই প্রকার বলিয়াছেন :– “হে ভিক্ষুগণ ! যখন সম্বোধি লাভ করি নাই, যখন অভিসম্বুদ্ধ হই নাই, যখন কেবল বোধিসত্ত্ব ছিলাম, তখন স্বয়ং জাতি-ধর্মের ( অর্থাং জন্মাদির) অধীন ছিলাম, এবং জাতি-ধৰ্ম্মই আকাঙ্ক্ষা করিতাম , তখন স্বয়ং জরাধর্শের অধীন ছিলাম এবং জরা-ধৰ্ম্মই অন্বেষণ করিতাম ; স্বয়ং ব্যাধি-ধৰ্ম্মের অধীন ছিলাম এবং ব্যাধি-ধৰ্ম্মই অন্বেষণ করিতাম ; স্বয়ং শোক-পূৰ্ম্মের অধীন ছিল ম এবং শোকধৰ্ম্মেরই অন্বেষণ করিতাম ; স্বয়ং সংক্লেশ-ধৰ্ম্মের অধীন ছিলাম এবং সংক্লেশ-ধৰ্ম্মেরই অন্বেষণ করিতাম। তখন আমার মনে এই-প্রকার চিন্তা আসিল—‘কেন জাতিধৰ্ম্মের অধীন হইয়া জাতি-ধৰ্ম্মের অন্বেষণ করিতেছি ? কেন জরা-ধৰ্ম্মের অধীন হইয়া জরা-পৰ্ম্মের অন্বেষণ করিতেছি ? কেন ব্যাধি-ধৰ্ম্মের অধীন হইয়া ব্যাধি-ধৰ্ম্মের অন্বেষণ করিতেছি ? কেন শোক-ধূম্মের অধীন হইয়া শোক-ধৰ্ম্মের অন্বেষণ করিতেছি ? কেন সংক্লেশ ধম্মের অধীন হইয়া সংক্লেশ-ধৰ্ম্মের অন্বেষণ করিতেছি? জাতিধৰ্ম্মের অধীন হইয়। যখন জাতি-ধৰ্ম্মের দুৰ্গতি বুঝিতেছি, তখন আজাত, অম্লত্তর, যোগক্ষেমরূপ নিৰ্ব্বাণকে অন্বেষণ করিতে হইবে। জরা-ধর্মের অধীন হইয়া যখন জরা-ধৰ্ম্মের দুৰ্গতি বুঝিতেছি, তখন অজর আহত্তর যোগক্ষেমরূপ নির্বাণকে লাভ করিতে হইবে । ব্যাধি-ধৰ্ম্মের অধীন হইয়া যখন ব্যাধি-ধর্মের দুৰ্গতি বুঝিতেছি, তখন অব্যাধি অমুত্তর যোগক্ষেমরূপ নিৰ্ব্বাণকে অন্বেষণ করিতে হইবে। যখন মরণ-ধৰ্ম্মের অধীন ভূইয়া মরণ-ধৰ্ম্মের দুর্গতি বুঝিতেছি, তখন অমৃত অমৃত্তর যোগক্ষেমরূপ নিৰ্ব্বাণকে অন্বেষণ করিতে হইবে । যখন শোক-ধৰ্ম্মের অধীন হইয়। শোক-ধৰ্ম্মের দুৰ্গতি বুঝিতেছি, তখন অশোক অমৃত্তর গৌতম বুদ্ধের আত্ম-চরিত AASAASAASAA MAMAMAMAeSAMMM AM eM MM MA AM AMASAeAMMAM Me eeMMeS eS eSMMAeeMAMMAeMA MSMS MeM MSS S SS (two S S AAAAA SAS A SAS SSAS SSAS SeS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS যোগক্ষেমরূপ নিৰ্ব্বাণকে অন্বেষণ করিতে হইবে । যখন সংক্লেশ-ধর্মের অধীন হইয়া সংক্লেশ-ধৰ্ম্মের দুৰ্গতি বুঝিতেছি, তখন অসংক্লিষ্ট অকুত্তর যোগক্ষেমরূপ নিৰ্ব্বাণকে অন্বেষণ করিতে হইবে।” ( 히 ) ইহার পরেই গৌতম বলিতেছেন – "হে ভিক্ষুগণ ! আমি তখন দহর এবং শিশুর ন্যায় কৃষ্ণকেশ ছিলাম ; তখন আমি প্রথম-যৌবনে উপনীত এবং ভদ্রযৌবনপ্রাপ্ত। মাতাপিত। যদিও বিরোধী ছিলেন, যদিও তাহারা আশ্রমুখ হইয়া ক্ৰন্দন করিতেছিলেন, তথাপি আমি কেশ ও শ্মশ্র ছেদন করাইয়া, কাষীয়বস্ত্র দ্বারা দেহ আচ্ছাদন করিয়া গৃহ ত্যাগ করিয়া অগৃহীরূপে প্রত্ৰজ্যা অবলম্বন করিয়াছিলাম।”—মজ কিম, ২৬। ( १ ) মজ ঝিম-নিকায় গ্রন্থ হইতে (গ)-অংশে যাহা উদ্ধৃত হইল, দীঘনিকায়’ গ্রন্থের সোণদণ্ড নামক স্বত্তেও ঠিক সেই কথাই বলা হইয়াছে। পার্থক্য এই, যে, মজ ঝিমনিকায়ে বক্তা স্বয়ং গোতম, আর দীঘনিকায়ে বক্তা সোণদণ্ড নামক একজন ব্রাহ্মণ । সোণদণ্ড যাহা বলিয়ছেন, তাহার অংশ-বিশেষ এই – শ্রমণ গোতম যখন দহর ও শিশুর ন্যায় কৃষ্ণকেশ ছিলেন, যখন তিনি প্রথম-বয়সে উপনীত এবং ভয়ধেীবন-প্রাপ্ত, তখনই তিনি গৃহত্যাগ করিয়া অগৃহীরূপে প্রব্রজ্য অবলম্বন করিয়াছিলেন । মাতাপিত যদিও বিরোধী ছিলেন, যদিও তাহারা অশ্রমুখ হইয়া রোদন করিতেছিলেন, তথাপি তিনি কেশ ও শ্মশ্র ছেদন করাইয়া, কাষীয়বস্ত্র পরিধান করিয়া, গৃহত্যাগ করিয়া অগৃহীরূপে প্রব্রজ্য অবলম্বন করিয়াছিলেন –দীঘ, ৬৬ ৷ (s) অঙ্গুত্তর-নিকায় এবং মজ ঝিম-নিকায় হইতে যেসমুদায় অংশ উদ্ধত হইয়াছে, সে-সমুদায়ই স্বয়ং গোতমবুদ্ধের উক্তি । অঙ্গুত্তর-নিকায় হইতে আমরা এই * কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারি – (১) গোতম বাল্যকালে ভোগ-বিলালের মধ্যে পালিত হইয়াছিলেন। ح* یه م.م. مہ" میمہ .می. پھ*