পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&&tb করি। . গান শুনি বা নাচ দেখি বটে, কিন্তু তাও ভোগ । টাকা দিয়ে যে পূজা করাই, তাও ভোগ ; তবে সেটা ভবিষ্যতে স্বর্গে হবে, এই আশায় বৰ্ত্তমানে তার দাম দি। অথবা পূজা দেখে যদি বৰ্ত্তমানেই তৃপ্তি হয়, ত, এ তারই দাম । যা-কিছু ভোগ করা যায়, তাই ভোগ্য, এবং ভোগ্যটা বাস্তব জিনিস হতে পারে বা অবাস্তব ও হতে পারে। আমাদের বিজ্ঞানে অবশ্য সেই ভোগ্যগুলি নিয়েই কাৰ্ববার, যেগুলির পরিমাণ টাকার ভাষায় প্রকাশ করা যায় । অfমরা ধরে নিয়েছি, যে, সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য কতটা আছে, তা পরিমেয় সামাজিক স্বfচ্ছন্দ্যের পরিমাণ থেকে বুঝা যায়। পরিমেয় স্বাচ্ছন্দ্য আবার সাক্ষাৎভাবে মাপা যায় না । যে সব ভোগ্যের সাহায্যে সেই স্বাচ্ছন্দ্য স্বষ্ট হয়, তাদের মধ্যে যেগুলি টাকার সাহায্যে পরিমেয়, সেগুলি কতটা আছে তাই দিয়ে পরিমেয় স্বচ্ছন্দ্যের পরিমাণ নির্ণয় করা হয় । কোনো সমাজ বা জনসংঘ বংসরে ভোগ্য যতটা উৎপাদন করে, তার উপর তার স্বাচ্ছন্দ্য নির্ভর করে । নিজেদের উৎপাদিত ভোগ্যের বদলে অন্য জনসংঘের দ্বারা উৎপাদিত কিছু জোগাড় করলে, তাকে ও প্রথম জাতির দ্বারা উৎপাদিত ভোগ্য বলে ধরা হচ্ছে। অবশ্ব বংসর-বিশেষে উংপাদন কম করে ভোগ বেশী করা যায় পরের কাছ থেকে ঋণ করে ; কিন্তু সেট, বৰ্ত্তমান-ভোগ্যের পরিবর্তে ভবিষ্যং-ভোগ্য দেওয়া হচ্ছে বলে বিনিময়ের মধ্যে পড়ছে । সমাজের বাৎসরিক আয় অর্থে একটা ভোগ্য-সমষ্টি বুঝায়। তার মধ্যে সমস্তটা পরিমেয় নয়। কিন্তু পরিমেয় যেটুকু, তার প্রকৃতি অপরিমেয়টুকুর প্রকৃতি নির্দেশ করে । প্রতি বৎসর যে-সকল ভোগ্য ( বস্তু, সেবা প্রভৃতি ) উৎপন্ন হয়, সেইগুলি উৎপাদন উপলক্ষে যে-সব ভোগ্য নষ্ট হয়েছে (যথা যন্ত্রপাতি ক্ষয়ে যাওয়া, ইমারতের অবস্থা খারাপ হওয়া, পূৰ্ব্বসঞ্চিত কিছু ব্যবহৃত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ), তা বাদ দিলে বাৎসরিক সামাজিক আয় (নেটু আয়) জানা যায়। এইসবের মধ্যে যেটুকু টাকার বদলে বিক্রয় হয়, সেটুকুই পরিমেয় । সমাজের সব লোকের বাৎসরিক নেটু আয় ( অর্থাৎ বস্তু, সেবা প্রভৃতি প্রবাসী-ভাদে, లిలిe [ २७* छां★, sञ थर) সরবরাহ করার দরুন তারা এক বৎসরে যা পেয়েছে ) যত টাকা, প্রথমতঃ সেগুলি ধরতে হবে । যেসব আয়ের পরিবর্তে কোনো বস্তু, সেবা ইত্যাদি বা, এক কথায়, ভোগ্য সরবরাহ করা হয় নি, সেগুলিকে বাদ দিতে হবে, কেন না সে-সব আয়গুলি শুধু সম্ভোগ নির্দেশ করে, উৎপাদন নয়। যথা, যদি কেউ চিকিৎসারূপ সেবা সরবরাহ করে ১০,০০০ টাকা পায় এবং তার মধ্যে ১০ ০০০ টাকা নিজের ছেলেকে দেয়, তা হলে ছেলের আয়ট ধৰ্ত্তব্য নয় ; কেন না, সেটা উপহার মাত্র, সামাজিক ভোগ্যসমষ্টির কোনো অংশ চিকিৎসকপুত্র উৎপাদন করে নি। কিন্তু সেই এক হাজার টাকা যদি কোনো কেরানীকে দেওয়া হয় (মাহিনী হিসাবে ), তা হলে সেটা ধরা হবে (কেরানীর আয় হিসাবে ) ; কেন না কেরানী টাকার বদলে কেরানীগিরি সরবরাহ করেছে এবং কেরানীর কাজটা ভোগ্য ( সেবা-জাতীয় )। ব্যক্তিদের আয়সমষ্টির সঙ্গে যে-সব জিনিস সত্য সত্যই টাকায় বিক্রয় হয় নি, অথচ যার মাপ টাকায় খুব সহজেই হয়, সেগুলি যোগ দিতে হবে । যেমন, নিজের বাড়ীতে যদি কেউ থাকে, ত তার আয়ের সঙ্গে তার বাড়ীর ন্যায্য ভাড়। যা তা যোগ দিয়ে নেওয়া যায় । ব্যক্তিদের আয়ের পরে দেখতে হবে, কোম্পানী, সমবায়ু, গবর্ণমেণ্ট ইত্যাদি ব্যক্তিসংঘগুলির আয় । আয় নিৰ্দ্ধারণের সময় সব সময় নেটু আয়টুকুই ধরতে হবে । অর্থাৎ একই জিনিস দুইবার ঘেন গণ না হয়। স্থতার কারখানাতে ধরলাম ১ লক্ষ টাকার স্থত, আবার কাপড়ের কারখানায় ধরলাম ৪ লক্ষ টাকার কাপড়—এরকম করলে চলবে না। কাপড়ের কারখানা অপরকে যা-কিছু দাম দিয়েছে উপাদানের জন্ত, বা তার যন্ত্রের যেটুকু কাপড় বুনতে মূল্যহানি হয়েছে, সব বাদ দিয়ে কারখানার যা আয় হয়েছে (অর্থাৎ যা কারখানা উৎপন্ন করেছে ), সেইটুকু ধরতে হবে । আয় জিনিসটা ( টাকায়) ভোগ্য উৎপাদনের বাহ নিদর্শন মাত্র ( সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য নির্ণয় করার দিক্‌ থেকে ) ; কাজেই যেখানে আয়টা ভোগ্য উৎপাদনের নিদর্শন নয়, সেখানে সেটাকে বাংসরিক সামাজিক আয় থেকে বাদ দিতে হবে । জাল