পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&eo. শেষ দুটো স্ফুলিঙ্গের মতন তার চোথের তার ছটে যেন উৎক্ষিপ্ত হ’য়ে আবার তখনি যথাস্থানে ফিরে এল । শুভ্ৰআস্তরণে-ঢাকা মাল্যভূষিত স্বথাসনথান এগিয়ে দিয়ে বণিক-সুলভ অতিশিষ্টতায় হাত জোড় করে, ভয় কৌতুক তোষামোদ ও তৎসঙ্গে অতিপরিচয়ের অবজ্ঞার খাদমেশানো মক্কাহাসি হেসে শ্রেষ্ঠ বললেন— “মন্ত্ৰী-মশায় যে ! কি আজ্ঞা হয় ?” ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি তার হাসিতে কেমন একটু অস্বস্তি বোধ করছিল। চরিত্র যে হারিয়েছে তার নরকের পথের সহযাত্ৰিণী যে অবজ্ঞার হাসি হাসে, ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির মনে হ’ল এ হাসি অনেকটা সেই রকমের । তাই একটা তীব্র কটাক্ষে সেই হাসিটাকে নস্যাৎ করতে চেষ্টা ক’রে যখন রোষ কটাক্ষ ব্যর্থ হ’ল, তখন ঈষৎ অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে মুখখান আরো কঠিন, আরো গম্ভীর ও আরো অন্ধকার ক’রে সে বললে—“ওহে শ্ৰীবৰ্দ্ধন, কিরাতগ্রামে পণ্টনের জন্যে পচাত্তর লক্ষ কার্যাপণ মূল্যের সৈন্তভোজ্য, যা তুমি কাল পাঠিয়েছ, বুঝলে, ভুলে যেয়োন, পচাত্তর-লক্ষ ; আর পচিশ-লক্ষ কার্যাপণ মূল্যের র্তাবু-সরঞ্জাম...মোট কোটি কাহন,...আজ কোষ'গার থেকে আদায় করতে চাও। বুঝলে ? অার এই কোটি কাহন আজ স্বৰ্য্যাস্তের তিন দণ্ডের মধ্যে আমার কাছে পৌছে দেওয়া চাই । এই নাও মহারাজের দণ্ড-মুদ্রযুক্ত নিদেশ-পত্র .-এরই মূল্য কোটি মুদ্রা। বুঝলে ?” “ই, তা আর বুঝিনি ? বুঝেছি। আর আমার প্রাপ্য ?” & “তোমার প্রাপ্য ? হুঁ, শতকরা এক পণ...কেটে রাখতে পার।” "বড় অল্প,-বিবেচনা করুন যদি কোনো গোলযোগ হয় তো সমূহ বিপদ, প্রাণ নিয়ে টানাটানি।” “তোমার অত ভয় হয় তুমি ছেড়ে দাও। ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি ভীরুর সহায়তা চায় না । তুমি ছাড়া ঢের বেণে এ নগরে আছে । আমাকে খুলী করবার জন্যে তারা শতকরা আধ পণে রাজী হবে ।” “না না, অরাঙ্গীর কথা আমিও তো বলি নি । তবে किनां रुफ़ श्रझ ।” প্রবাসী-ভাত্র, IHHO Ae eA AeAMAAA AAAA AAAA AAAAMAMA AMAAA AAAA AAAAeeS SeAMAMAMAAAA । २७* छांग; sम थe "বড় অল্প, সত্তর ক্ৰোয়ে শতকরা এক পণ ক’রে হ’লে বড় অল্প হয়, না ? তোমার ক্ষুধা কিছু বেশী দেখছি। সৈন্ত-ভোজ্য জোগান দেওয়ার নামে বস্তা বস্তা ভুসি আর মাটি গাড়ী-বোঝাই ক’রে নগরের দরজার বাইরে ফেলছ আর ফর্দ পাঠাচ্ছ। ঘরে বসে ব’সে লাভ করবার স্ববিধা ক'রে দিয়েছি, তৰু তোমার খুং-খুৎ মিটুল না । ফর্দ মহারাজের মুদ্রাযুক্ত ক’রে দেওয়া হচ্ছে, তুমি খালি কোষাগারে দাখিল করছ, এতে তোমার ধুকুপুকুনিটা কিসের শুনি ? আমায় তুমি হাব। ঠাওরেছ, না ? তুমি শুধু মুখের কথাটা খসাবে, আর আমি তোমার এই কোষাগারে চিঠি বইবার বেতন দ্বিগুণ ক’রে দেব ? তেমন মুর্থ ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি নয়।” “আপনি রাগ তাই নেব ।”

  • ছ, তাই নেবে, এক কড়াও বেশী নয়, আমি সমস্ত গুণে নিই, তা যেন মনে থাকে।”

“যে আজ্ঞে । তবে ঘিয়ের মর্টুকিতেই টাকাটা পাঠাব।” *ছ, কিছু ঘিয়ের মর্টুকিতে, কিছু বা গুড়ের নাগরীতে।” “গুড়ের নাগরী ?...কোথায় রাখবেন ? - দেখবেন যেন পিপুড়ে না টের পায় ।” “ঠাট্ট রাখে, যেমন যেমন বলি, সব ঠিকঠক করা চাই।...বুড়োর একটা গতিগঙ্গা হ’য়ে গেলে, নতুন রাজা সিংহাসনে একবার বসলে হয়। তখন নামে রাজা হবে ধননন্দ, প্রকৃত রাজা এই ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি । বুঝলে ?” “আমায় রাজশ্রেষ্ঠ করবার কথাটা ভুলবেন না যেন। আপনার চরণই আমার ভরসা। ভুলবেন না।” - আসন ছেড়ে ইন্দ্রমূৰ্ত্তি দাড়িয়ে উঠে বক্রহাসি হেসে' প্রকাশ্বে বললে,—“ভোল্বার ছেলে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি নয়।” মনে মনে বললে, “কঁাটাল-বীচি তো তোলো আগুন থেকে। হাত পোড়ে তোমার পুড়বে, খাব কিন্তু আমি। তার পর তুলসীর মালা গলায় পরিয়ে দিয়ে বৃন্দাবনে পাঠাবার র্যবস্থা করা যাবে।” ( ক্রমশ: ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত করছেন, তা যাক, যা নিচ্ছি