পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা} পৰ্ব্বক্ষ-পূজা శ్రీeశ్రీ পর্জন্য-পূজা [ ঋগ্‌বেদ ৫ মণ্ডল ৮৩ সুক্ত। পর্জন্ত দেবতা । আত্র ঋষি । পুণ্য নিৰ্ম্মল সরল স্বন্দর স্তবু যা আছে তব উচ্চে গাও, গাও পর্জন্তের সমুখে আঁখি রাখি দাও হে দাও তারে প্রণতি দাও, বৃষের মত সেই আরাবে হুঙ্কারি’ ছুটিয়া ধেয়ে যায় বরফি’ জল, সে জল শক্তির আধার ও মূৰ্ত্তি গর্ভ লভে তায় ওষধিদল । বৃক্ষ উপাড়িয়া হনন করি’ ধান রাক্ষসেরে হানি’ নিষ্ঠুর নাশ দেখি পর্জন্তের নবীন উল্লাস বিশ্বজগতের লাগে ত্রাস, পাপী যে দুরাশয় তাহারে হানি যান তীব্র আপনার বজ্ৰবাণ, তা দেখি' নিষ্পাপ জনও সত্রাস— পলায়ে রক্ষা করিছে প্রাণ । রথী সে কুশাধাতে যেমন প্রশাসিয়া অশ্বে দ্রুত পথে চালায়ে ধায়, এই এ নভোদেব তেমনি লয়ে যান সলিলদায়ী দূতে প্রবল বায়, আকাশ আবরিয়া যখন তিনি ঘন করেন বর্ষার অন্ধকার, তখন চৌদিকে ফুকারি’ উঠে যেন সিংহ-গর্জন বারম্বার। মাতিয়া উঠে বায়ু প্রবল উদাম, বিজলি জলি’ পড়ে বজ্র-সাথ, ওষধি অঙ্কুরে জাগিয়া মাথা তুলে, আকাশ গলে যেন সলিলপাত, সে জল দিকে দিকে ছুটিয়া ঢেকে ফেলে জগং ও বিশ্ব সৰ্ব্বদেশ, ধরণী তরুলতা-তৃণে ও গুন্মে ভন হয়ে ওঠে মুক্তক্লেশ । যেই পর্জন্যের সলিলদান লভি’ ধরণ অবনত তৃপ্ত রয়, যাহার জলদানে চতুষ্পদ আর সকল প্রাণী নিতি পুষ্ট হয়, যাহার জলদান ওষধি মাঝে প্রাণ দিতেছে,—ধরে তার বহুল রূপ, সেই সে নভোরাজ মোদের মাঝে আজ খুলিয়৷ দিন শীতসলিলকুপ। মুরুং নভোবাসী ! দু্যলোক হতে আজি কর হে কর ঘন বৃষ্টি-দান, মেঘ যে ঘোড়া তব, তাদের জলধারা গলায়ে ঢালি’ ঢালি’ তোল হে বান, এস হে এস ভাসি’ গরজি উচ্ছ্বসি" এস হে অাখি পরে মোদের পাশ, হে পিতা প্রাণদাতা ! সলিল সিঞ্চিয়া এস হে এস হেথা, মিটাও আশ । শব্দ করে মেঘ, তোল হে হুঙ্কার, ধরার গর্ভে জাগুকু প্রাণ, চড়িয়া জলরথে এস হে ঘুরি ফিরি’, বেড়াও চৌদিকে শক্তিমান, সলিল-ভরা যেই মোশক রহে তব, বাধন খুলি কর নিম্নমুখ, অঝোর জলধারে সমান করি" দাও উচ্চ নীচ সব, হে জলমুকু ৷ . **