পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૯૦ના ^్క^^^్క^^^^^^ স্বরম কহিল, “তা ছাড়া বিলিতী বলেই যে রুমাল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তা নাও হ’তে পারে। সেটা ত আমাদের আন্দাজ !” আজ সকালে যে-কথা বিমানের মনে উদয় হইয়াছিল, তাহা কাহারও কাছে ব্যক্ত করিতে সে মনের মধ্যে কুণ্ঠ বোধ করিতেছিল, পাছে ভদ্বার স্বরেশ্বরের প্রতি কোন রূপে অবিচার করা হয় । কিন্তু কথাটা যখন এমন মুখ্যভাবে উপস্থিত হইল তখন আর সে তাহ ন বলিয়া থাকিতে পারিল না । একটু দ্বিধাভরে একবার সুমিত্রার দিকে ও একবার সুরমার দিকে চাহিয়া বিমন কহিল, "এতদিন আন্দাজই ছিল, কিন্তু আজ সকালে স্বমিত্রাকে পদরের রুমাল উপহার দেওয়ার পর থেকে আন্দাজ বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে—* স্বরম সবিস্ময়ে বলিল, “কেন ?” বিমান হাসিয়া কহিল, “আমার ত মনে হয় উপহারের ছলে আজ হরেশ্বর-বাৰু উপদেশই দিয়ে গেলেন ।” বিমানের কথা শুনিয়া স্বরম। সনিৰ্ব্বন্ধে কহিল, “ন, না, ওরকম করে” কথাটা ধৰ্বছ কেন ঠাকুরপো ? সুরেশ্বরবাৰু হয় ত তার দিক থেকে যা উপযুক্ত মনে করেছেন তাই দিয়েছেন। উপদেশ কেন দেবেন ?” বিমান হাসিয়া কহিল, “তার দিক থেকে উপযুক্ত, খন্দরের শাড়ীও দিতে পারতেন, চরকাও দিতে পারতেন । কিন্তু এতরকম স্বদেশী জিনিষ ধাকৃতে কুমাল, যা মেয়ের সাধারণতঃ ব্যবহার করে না, দিলেন কেন ?” একথা সুমিত্র নিজেও কয়েকবারই ভাবিয়াছে, কিন্তু ঠিক এমন করিয়া ভাবে নাই । বাক্স খুলিয়া রুমাল দেখিবামাত্র বোটানিকাল গার্ডেনে রুমাল-প্রত্যাখ্যানের কথা তাহার মনে পড়িয়াছিল বটে, কিন্তু তন্মধ্যে অপমানের এমন দংশন বা গ্লানি ছিল না যেমন বিমানের মুখে ব্যাখ্যা শুনিয়া এখন সে অনুভব করিল। এই রুমাল উপহার দেওয়া অপর একজনেরও চক্ষে কিপ্রকারে প্রকাশ পাইয়াছে জানিবামাত্র, স্বরেশ্বরের প্রতি তাহার চিত্ত ৰিম্বেষ ও বিরক্তিতে পূর্ণ হইয়া উঠিল। হয় ত বিমানবওঁমানীর অকুমানই ঠিক, এই সংশয় তাহার অভিমান , প্রবালী-ভাদ্র, ১৩৩০ [ २७° छाँ*, ७अ १७ میدانهای اخیر همایی পীড়িত হৃদয়কে বারংবার তীক্ষভাবে দংশন করিতে লাগিল ; উপহার দিবার ছলনায় তাহার জন্মদিনে এমন করিয়া তাহাকে শিক্ষা ও লজ্জা দিবার কি অধিকার স্বরেশ্বরের আছে ? তাহা ছাড়, তাহদের পারিবারিক মত সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ জানিয়াও কোন বিবেচনায় সুরেশ্বর এমন জোর করিয়া তাহার নিজ মত তাহীদের মধ্যে প্রবর্তিত করিতে চাহে ? সমস্ত বাংলাদেশ একটি পাঠশালা এবং সে তাহার গুরুমহাশয় ত নহে। একবার এমনও মনে হইল যে অবাঞ্ছনীয় সামগ্ৰী বলিয়া রুমাল তিনখানা ফিরাইয় দিবে ; কিন্তু সুরেশ্বরের প্রতি রোষপ্রয়োগ করিবাব উপস্থিত কোন সুবিধা ছিল না বলিয়। রোষট। অদ্ভুত প্রণালীতে কতকট বিমানবিহারীর উপরই আসিয়া পড়িল । অন্যদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া আরক্তমুখে সুমিত্রা কহিল, “মেয়েরা সাধারণত: রুমাল ব্যবহার ন করলেও, আমি যে করি তা’ ত স্বরেশ্বর-বাৰু জানেন ৷” বিমান কহিল, “এমন ত তুমি আরো কত জিনিষ ব্যবহার কর য। তিনি জানেন । সে-সব ছেড়ে তিনখানা স্বদেশী রুমাল দেবার কারণ কি ?” এবার ঈষৎ কঠিনভাবে সুমিত্রা কহিল, “একটা কিছু দেবার ইচ্ছা হয়েছিল, রুমাল মনে হওয়ায় রুমাল দিয়েছেন, এই কারণ। এ ছাড়া অন্ত কোন রকম মনে হচ্ছে কেন ?" বিমান শাস্তভাবে স্মিতমুখে কহিল, "কিন্তু রুমালের যখন এমন একটা ইতিহাস রয়েছে তখন মনে হ’তে পারে না কি, যে, একটা বিশেষ উদ্দেশ্বেই রুমালগুলো দেওয়া হয়েছে ?” এবার স্বমিত্রাকে নীরব থাকিতে হইল। মনে যে হইতে পারে না তাহা সে কিছুতেই বলিতে পারিল না, কারণ এ কথা বহুবার তাহার নিজেরই মনে হইয়াছে । তর্কে পরাজিত হইয়া সুমিত্রা নিরুত্তর হইল ভাবিয়া বিমান ব্যথিত হইল। কতকটা সাত্বনা দিবার অভিপ্রায়ে সে স্নিগ্ধকণ্ঠে কহিল, “তা হ’লেও এ কথাটা আন্দাজ বই আর কিছুই নয়। শুধু আন্দাজের উপর নির্ভর করে কোন কথাই জোর করে’ বলা চলে না ।” কিন্তু এ প্রবোধবাক্যের পরও স্বমিত্রা যখন নিরুত্তর . هیار صمیمیر ~~్క ^్న్యూ ఆగ్ని