পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য1] পারসিক ফকির वांश्रृं लांन ᏩᎼ SAASAASAASAA AAAASAAAAMAAASAASAASAAeSeSeS বালক ঈশ্বর গুপ্ত বলিয়াছিলেন, "রেতে মশা, দিনে মাছি; এই নিয়ে কলকাতায় আছি।” একবার যদি গ্রীষ্মকালে তিনি আরব্য উপন্যাসের দেশ ভ্রমণে যাইতেন, তাহা হইলে তিনি কি বলিতেন বলিতে পারি না । গ্রীষ্মকালে মেসোপোটেমিয়ায় যেরূপ ভীষণ মাছি ও মশার উৎপাত হয়, তাহা না দেখিলে বোঝা যায় না। এখানকার অধিবাসীরা এসময় দুপুর বেলা সারদাবে যাইয়া বাস করে। সারদাবগুলি জানালাবিহীন ও অবিরত জল ছিটানর জন্য স্যাংসেতে থাকে। রাত্রিকালে সব বেশ ঠাণ্ডা হইয়া যায়, এবং তখন সকলে ছাদে আহারাদি করে ও নিদ্র। যায় । মধ্য রাত্রের পর ছাদে একটু একটু শীত করে। এদেশে সকল সময়ে বেশ বাতাস বহিতে থাকে বলিয়া গরম সহ করা যায় ; নতুবা বাস অসম্ভব হইয় পড়িত। শীতকালে আবার ভয়ঙ্কর শীত পড়ে । একালে অনেক সময়ে থাৰ্ম্মোমিটারে পারা ২৪ ডিগ্রীরও নীচে নামিয়া যায় এবং বাহিরে জল থাকিলে, তাহা জমিয়া যায়। শীতকালে আবার এপানে বৃষ্টি হয় ; বর্ষাকাল পৃথক্ নাই। শীতের দিনে বর্ষ হইলে বাগদাদের রাস্তায় চলিতে যে কি কষ্ট, তাহা বর্ণনাতীত ; একে তো দিকে দৃষ্টি পড়িলে দেখা যাইবে— মূল্যবান স্বন্দর কাপেটে সমস্ত ঘরগুলি মোড়া। নদীতীরে যে-সমস্ত বাড়ী আছে, তাহার প্রায় প্রত্যেকটিতেই ছোট-খাট একটা বাগান আছে। প্রত্যেক বাড়ীরই ছাদ আমাদের দেশের ছাদের ন্যায় সমতল এবং তাহার চারিপাশ্বেই উচু করিয়া ঘেরা, যাহাতে প্রতিবেশীর পাপদৃষ্টি না পড়ে। যেকোনও উচু বাড়ীর ছাদে উঠিলে সমস্ত বাগদাদ সহরটা দেখা যায়। আর দেখা যায় অনেক বাড়ীরই ছাদে বড় বড় সারস-দম্পতি বাসায় বসিয়া তাহাদের বৃহৎ ঠোঁটের দ্বারা ঠক-ঠক-ঠক-ঠক একটা বিকট শব্দ করিতেছে। বাগদাদে শীত গ্রীষ্ম উভয়ই অত্যন্ত প্রখর । গ্রীষ্মের সময় ১১২ ডিগ্ৰী হইতে ১২২ ডিগ্ৰী পৰ্য্যন্ত গরম উঠে । বাব-এল-মুরাজাম হইতে বাগদাদের দৃপ্ত কনকনে ঠাগু, তাহার উপর আধইটুি কাদা, রাস্তা চলিবার নাম হইলেই ভয়ের সঞ্চার হয়, এরূপ অবস্থায় হাটু পৰ্য্যন্ত gum boouএর ভিতর না দিয়া চলাচল একরূপ দুঃসাধ্য ।