পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ৷ AMAMA AeAMAeMeeeS অবনী-বাৰু জিজ্ঞাসা করিলেন—তুমি সেই উজীরসাহেবের কাছে যাওনি ? চৌকিদার হাত জোড় করিয়া বলিল—কি ক’রে যাব হুজুর ! কোথায় যেতে হবে তাও যে জানি না । সেদিন এক পুলিশ সাহেব এসেছিলেন । তার আরদালি একটা কাচের গ্লাস ভেঙে ভাঙা টুকুরোটা জোড়া দিয়ে রেখেছিল । পুলিশ-সাহেবকে তা দেখিয়ে বললাম, হুজুরের আর্দালি গ্লাস ভেঙেছে, মেহেরবানি করে দাম দিন । সাহেব 'ডণম’ বলে ঘুসি ওঠালেন। আমাকে পালাতে হল । বড়-বাবুর হুকুমে আমার কাছ থেকে গেলাসের দাম এক টাকা কেটে নেওয় হল । অবনী-বাবু তাহার নিয়মমত মোটর-কারে উঠিবার আগে চৌকিদারকে বকৃশিস দিয়াছিলেন । এবার পকেট হইতে একটা সিকি বাহির করিয়া তাহার হান্তে দিয়া বলিলেম – উজীর-সাহেবের দরুন এইচার আনা । মাধবী নিম্নস্বরে শান্তিময়কে বলিল—ঠাকুরপো, ওকে একটা টাকা দাওনা ! আহা, এই গরীবদের কাছ থেকে এরকম ক’রে দাম কেটে নিলে কি ক’রে চলবে এদের ! শান্তিময় চৌকিদারের হাতে একটি টাকা দিয়া বলিল— তোমার ভাঙা গেলাসের দাম এই মাইজী দিলেন । চৌকিদার মাটি পর্য্যন্ত হাত নোয়াইয়া সকলকে সেলাম করিল ও সাহেব ও মাইজীর উন্নতির প্রচুর ভবিষ্যদ্বাণী করিল। মোটর ষ্টার্ট করা হইল। চৌকিদার মনে মনে ভাবিল—যদি মাসে অন্ততঃ একজন করিয়া এই রকম অপসার জুটিয়া যায় তো এইরূপ দণ্ড দিয়াও কোন রকমে চাকরি বজায় রাখিতে পারিবে । (w) কাউদগে পৌছিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া শান্তিময় বলিল—আচ্ছা বাবা, চৌকিদারের ওপর আপনারা এত অকরুণ কেন ? অবনী-বাবু বলিলেন—তুই বুঝি এতক্ষণ এই কথাই ভাব ছিলি ? - —ভাববারই কথা যে! কত দিকে কত অপব্যয় झुङ्ग-वइ AMAMMAMAMMAMAeMeeAMMAMAMAAASAAAA تخت جیتهای سهمگیص ۹ گیاه حبسته হচ্ছে, চুরি হচ্ছে ; আর চাষাভূযো চৌকিদারের হাত থেকে যদি একটা কাচের গেলাস বা বাটি ভেঙে গেল, অমনি তার কাছ থেকে দাম কেটে নিতে হবে । এ কিন্তু বড় অবিচার । — চুরির কথা ছেড়ে দাও । চোর চিরকালই ধরা পড়লে সাজা পায় ; নইলে রাজা ! অপব্যয় তুমি কিসের বল্‌ছ ? --ধরুন আপনাদের মত অফিসার বা আপনাদের চেয়ে বড় যারা এই রকম ভাসা-ভাস টুর করে যান তাতে কতটুকু বা লাভ হয় ; সেই তুলনায় কত খরচ হয় বলুন। এ-সব খরচ সরকার বহন করেন। কিন্তু অজ্ঞ চৌকিদারের অনিচ্ছায় যদি একটা গ্লাস ভেঙে ফেলে বা অন্য কেউ যদি তাদের অজ্ঞাতসারে ভাঙে তা হ’লে সে ক্ষতিটা কেন আপনাদের ডিপার্টমেণ্ট সহ্য করবেন না? উচ্চ শ্রেণীর উপর এই অত্যধিক স্ববিচার এবং নিম্ন শ্রেণীর উপর অবিচার—এ অন্যায় নয় কি ? অবনীমোহন-বাবু পুত্রের এই উদারতা ও সত্যপ্রিয়তায় মনে মনে সন্তুষ্ট হুইলেন । প্রকাস্তে বলিলেন— সাম্য জিনিষটা এখনও অনেককাল আদর্শের মধ্যেই থাকবে । বাস্তবের ভিতর আসতে তার এখনও ঢের দেরী—কখনও আসবে কি না তাও ঠিক বলা যায় না। এর জন্তে তোমার মন খারাপ করায় কোন লাভ নেই শাস্ত ! একটু পরেই বন্দুক টোটা সব ঠিক করিয়া লইয়া স্বধাময় বলিল—ত হ’লে এবার বেরুনো যাকু বাবা । শান্তিময় বলিল-আমি যাব না দাদা। তোমরা ঘুরে || * মাধবী বলিল—আমিও তা হ’লে থেকে যাই । ফাউষ্টের কোনখানটা প’ড়ে শোনাবে বলেছিলে ঠাকুরপো ? তাই শোনাও না। সাবিত্রী বললেন– তা হ’লে তোমরা স্থজনে যাবে। আমিও থাকৃব না কি ? অবনী-বাবু বলিলেন—আমার কিছুতেই আপত্তি নেই । সুধাময় আপত্তি তুলিল—ন শান্ত ভাই, তোমরা