পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? কঙ্গোদেশে আর যে-সমস্ত লোক আছে, তাহারা সকলেই অন্য দেশ হইতে আগত। ইহাদের প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা যায়। উত্তরবাণী—ইহাদের নিগ্রোদের সহিত খুব নিকট সম্বন্ধ আছে। দক্ষিণবাসী—ইহাদের শরীরে “হামিটকৃ” ( IIamitic ) রক্ত আছে। কিন্তু বৰ্ত্তমান কঙ্গোকে লোক হিসাবে ভাগ করিতে হইলে নিম্নলিখিত দুই প্রধান ভাগে বিভক্ত করাই শ্রেয় বলিয়া মনে হয় । ( ১ ) নিগ্রো এবং (২) আরব, পর্তুগীজ প্রভৃতি এবং নিগ্রে সংমিশ্রণে যে জাতি। বৰ্ত্তমান কঙ্গোদেশে এই দুই মিশ্র জাতি বাস করে বলিয়াই মনে হয়। তাহা ছাড়া আর যাহারা আছে তাহারা কঙ্গোদেশের অধিবাসী নয়— বিদেশ হইতে দুই দিনের জন্য আসিয়াছে, পরে হয়ত থাকিয়া যাইতে পারে । কঙ্গের আদিম অধিবাসীরা এই-সমস্ত বিদেশীদের নিকট হইতে অনেক উপকার পাইয়াছে সত্য বটে, কিন্তু যে অপকার-ইহার সঙ্গে তাহদের হইয়াছে তাহার সীমা নাই । দাস-ব্যবসায়ীর অত্যাচারে ইহাদের হাজার হাজার পরিবার নষ্ট হইয়াছে । পুরিবারের কৰ্ত্তারা তাহাদের পরিবারের লোকজনদের মানুষ বলিয়া মনে করে না— পণ্যদ্রব্য বলিয়াই গ্রহণ করে এবং কোন প্রকার মায় মমতা না করিয়াই তাহাদের পর্তুগীজ বা আরব দাসক্রেতার নিকট বিক্রয় করে । দাস-ব্যবসায় বহুকাল হইতেই এখানে প্রচলিত, কিন্তু পূৰ্ব্বে দেশের ধনীলোকেরাই দাস ক্রয় করিত এবং দাসদের নিজের সস্তানদের মতই পালন করিত। শ্বেতাঙ্গদের খনি এবং কারখানায় যে-সমস্ত দাস থাকে তাহাদের অপেক্ষ পূর্বে কার ক্রীতদাসের হাজার গুণে ভাল অবস্থায় থাকিত । এখনকার মত তখন দাসের স্ত্রীপুত্রদের পণ্যদ্রব্য বলিয়া কেহই মনে করিত না । সভ্য কঙ্গে এবং অসভ্য কঙ্গো ( সেখানে এখনো লোকে মাহুষ খায়) উভয় প্রদেশের লোকেদের অবস্থার. তুলনা করিয়া দেখা গিয়াছে যে অসভ্যদের অবস্থা ঢের ভাল এবং তাহার। অনেক সুখে থাকে। কঙ্গোর যে প্রদেশে দাস-ব্যবসায় বেশী পরিমাণে و حساس همچ۹ কঙ্গো স্বাধীন (?) রাজ্য - అశిq; عیسی سیستمهای همسایه هم চলিয়াছিল সেই স্থানের নারীদের বিষয় সামান্য কিছু বলিব, কারণ তাহাদের দুঃখের কথার শেষ নাই । তার পর কঙ্গোর অসভ্য এবং সুখী নারীদের কথা বলিব । , সুখের বিষয় কঙ্গোর ভিতরের প্রদেশগুলিতে.কোন সময়েই দাস-ব্যবসায় প্রবেশলাভ করে নাই—অথবা করিয়া থাকিলেও খুবই সামান্তভাবে করিয়াছিল। কঙ্গোর পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকে দাস-ব্যবসায় কয়েক শতাব্দী ধরিয়া ভয়ানকভাবে চলিয়াছিল। পূৰ্ব্ব প্রদেশ আরব দাস-ব্যবসায়ীদের অধিকারে এবং দক্ষিণ-পর্তুগীজ দাস-ব্যবসায়ীদের অধীন ছিল। পর্তুগীজের ইউরোপের লোক, তাহাবা এসিয়াবাসীদের অপেক্ষা বেশী সভ্য এবং তাহারা শ্বেতাঙ্গ, সেইজন্যই তাহারা কঙ্গো দাসদের উপর পশুর মতন অত্যাচার করিত—সে রকম অত্যাচার আমাদের দেশে কেহ কল্পনাও করিতে পারে না। . কঙ্গোর লোকেরা তাহদের নিকট হইতে কিছুই লাভ করে নাই। আরবরা যদিও কোন দেশ আক্রমণ করিবার সময় অনেক প্রকার অত্যাচার করিত, কিন্তু তাহার একবার কোনু দেশে বসবাস আরম্ভ করিলে, সেই দেশের অধিবাসীদের অনেক কল্যাণ সাধন করিত। তাহাদের চাষ-আবাদ, আইন-কান্তন, পশুপালন ইত্যাদি অনেক কিছুই শিক্ষা দিত । এই দাস-ব্যবসায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করিয়াছে নারীদের। দেশের লোকেরা তাহাদের পরিবারের নারীদের সামান্য সামান্ত দ্রব্যের জন্য বিক্রয় এবং বদল করিত। নারীদের কেহ মানুষ বলিয়। মনে করিত না । আরব আক্রমণকারীরা যোদ্ধা এবং বণিক্‌ ছিল। তাহাদের অসীম সাহসের প্রশংসা না করিয়া পারা যায় না । তাহার। জন-কয়েক সাহসী বীর দেশের কোন সাহায্য না লইয়া ইংলণ্ডের সমান বড় একটি দেশ জয় করে এবং অনেক কাল ধরিয়া তাহা শাসন করে । তাহারা তলোয়ারের জোরে দেশ জয় করে। পর্তুগীজ কঙ্গেণ-আগমনকারীরা ছিল ঠিক উণ্টা, তাহার দেশের কলঙ্ক ছিল এবং দেশের কল্যাণের জন্যই তাহারা দেশ ত্যাগ করিতে বাধ্য হয় । তাহারা মদের সাহায্যে দেশ জয় করিয়াছিল । আফ্রিকার লোকের তলোয়ারের