পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\!ෂවර්‍ම বাকঙ্গে জাতির মধ্যে বিবাহের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই বিবাহ স্থির হইয়া থাকে। অনেক সময় মেয়ের চার বছর বয়সেই বিবাহ স্থির হইয়া যায়। ইহাতে বরের খরচ বড়ই বাড়িয়া যায়, কারণ যে-কোন সময় সে কন্যার গৃহে যাক না কেন তখনই তাহাকে সঙ্গে নানা প্রকার উপহার লইয়া যাইতে হয় । আজাণ্ডি জাতির স্ত্রী-পুরুষের বিবাহ সদারের ইচ্ছামুসারে হয়। বরের-কন্য। নির্বাচনে কোন হাত নাই । তবে ইহার বিবাহে বিশেষ অসুখী হয় না। স্বামী তাহার স্ত্রীকে যথেষ্ট ভালবাসে, এবং স্ত্রীও তাহার প্রতিদান দেয় । কিন্তু মাঙ্গ বেটু জাতির ব্যাপার একেবারে অন্য রকম । তাহার। বড়ই স্ত্রৈণ হয় । স্ত্রীরাই তাহীদের শাসন করে। তবে স্ত্রীদের শাসন খুব চমৎকার হয়। তাহাদের বিচারের বিরুদ্ধে কাহারো কিছু বলিবার থাকে না । এই জাতির মধ্যে আশ্চৰ্য্য রকমের স্ত্রী-স্বাধীনত। দেখা যায় । কেবল মস্ক জাতির পুরুষেরাই চাষের সকল কাজ দেখে। নারীর কেবল ধরসংসার লইয়। থাকে । ইহাদের স্ত্রীপুরুষের সমান অধিকার, তাহারা এক থালায় আহার করে । এই-সব কারণে অন্য জাতিরা ইহাদের ছোট-লোক বলিয়া মনে করে। বামন জাতির পুরুষেরা তিন-চারটি ধনুকের তীরের বদলে স্ত্রী ক্রয় করে । মোগওয়াণ্ডি জাতির: নারীর সংখ্যা কম। বেশী সময়েই দেখা যায় ঐ জাতির পুরুষেরা একটি মাত্র বিবাহ করে । পাছে বড় বয়সে স্ত্রী না পায় এই ভয়ে তাহারা, খুব ছোট কোন বালিকাও যদি ভবিষ্যতে স্বন্দরী হইবার প্রতিজ্ঞ করে, তবে তাহাকে বাগদত্ত স্ত্রী করিয়া রাখে ! সেজন্য কন্যার পিতা দাম পায় এবং মাঝে মাঝে তাহাকে উপহারাদিও প্রেরণ করিবার প্রথা আছে। এইজন্য যে পরিবারে কয়েকটি কন্যা থাকে, তাহার কত্তা বেশ দুপয়সা করিয়া লয়। তবে বিবাহের পর কন্যার যদি কোন সন্তান না হয় তবে তাহাকে অর্থের কিছু অংশ ফেরত দিতে হয়। কুইলু জাতির মধ্যে বাল্যবিবাহ আছে । যে-কোন প্রবাসী—ভান্দ্র, ృ99లి AMAM AMAMMA AeM AMAeMAeMAMMMA AeSMeeMAeMMeMAMAMAMAMAMAAAS [ २७° छां★, sभ थ७ ബ বালক যে-কোন বালিকাকে তাহার ভবিষ্যৎ স্ত্রী বলিয়া ঠিক করিয়ী রাখিতে পারে । তাহার পর সেই বালিকা বড় হইলে সে তাহকে বিবাহ করে। তবে বালিকা যদি তাহাকে বিবাহ না করিয়া অন্য কোন লোককে বিবাহ করিতে চায়, তবে সেই লোককে পূৰ্ব্ব বাগদত্ত স্বামীকে অর্থদণ্ড দিতে হয়। কুইলু অঞ্চলের লোকদের শাশুড়ীর মুখ দেখিতে নাই । শাশুড়ীকে দেখিলে লোকে ঝোপে লুকাইয় পড়ে । বাটেটেলা প্রদেশে বিবাহের একটি অদ্ভুত পদ্ধতি আছে । কন্যা সন্তান জন্মাইবার পর কোন লোক যদি সেই শিশুর গা-ধোওয়া জলে একটা লোহার বালা ফেলিয়া দিয়া, শিশুর মাতাকে একটা মুরগী উপহার দেয়, তবে সেই ব্যক্তি পরে সেই কন্যাকে বিবাহ করিবার অধিকার পায়। যমজ কন্যা হইলেও সেই ব্যক্তি দুইজনকেই বিবাহ করে। স্বামী বা স্ত্রী কেহ কাহারে বিশ্বাস ভঙ্গ করিলে তাহাকে কঠিন শাস্তিভোগ করিতে হয়। অনেকে অবিশ্বাসী স্ত্রীকে হত্যাও করে । স্বামী অবিশ্বাসী হইলে তাহাকে স্ত্রীর দাস হইয়া থাকিতে হয়। সাময়িক বিবাহও কঙ্গে দেশে চলিত আছে । কোনও লোক একজন নারীকে চুরি করিয়া বনে-জঙ্গলে পলায়ন করে এবং একটি সস্তান হইলে পর সেই গ্রামে ফিরিয়া যায়। তাহার পর সস্তান একটু বড় হইলেই মাতা সন্তানকে ত্যাগ করিয়া তাহার পিতার কাছে প্রত্যাবর্তন করে। এইখানেই বিবাহ বাতিল হইয়। গেল। তাহার পর সেই নারীকে অন্য কোন লোক চুরি করিতে পারে। অনেক জাতির সর্দার নারী । নারীই তাহীদের শাসন করে। আবার অনেক জাতির নারী এবং পুরুষ ভাগাভাগি করিয়া রাজত্ব করে । কেহ মরিয়া গেলে, নারীদের তাহার জন্য শোক করিতে হয় । পুরুষদের শোক প্রকাশ করিবার বালাই নাই। সব দেশের মৃত-সৎকার-প্রথা এক রকম নয় । নীচু কঙ্গোতে মৃতদেহকে বেশ করিয়া কাপড়ে জড়াইয়৷ আগুনের ধোয়াতে শুকান হয় । তাহার পর তাছাকে আরো