পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAMMMAMAeMMMeAe MMeAMSMAAA AAAA AAAAMAeM عه -به-نیمت محیه هایی تجه কাপড় জড়াইয় একটা কুটীরে কয়েকমাস ধরিয়া ফেলিয়া রাখা হয়। তৎপরে তাহাকে কবরে দিবার দিন দেশের সকল লোক আসিয়া সেই গ্রামে জমা হয়, এবং ঢাক-ঢোল বাজাইয়া তাহাকে কবরে পতিয়া ফেলা হয়। কবরের উপরে মৃত ব্যক্তির তৈজসপত্রাদি রাখিয়া দেওয়া হয়। পরলোকে যাইবার পথে এই-সমস্ত তাহার কাজে লাগিতে পারে । তার পর নাচগান ও ভোজ সমস্ত রাত্রি ধরিয়া চলে । সাকারা জাতির লোকদের মৃতসংকীর-প্রথা সবচেয়ে ভয়ানক। কোন লোক মরিয়া গেলে একটা প্রকাণ্ড কবর খাড়া হয় । তাহার মধ্যে মৃত ব্যক্তি খুব জমকাল পোষাকে সজ্জিত হইয়া তাহীর সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রীর কোলে মাথ৷ রাখিয়া পড়িয়া থাকে। আশে পাশে তাহার অন্যান্য স্ত্রী এবং ক্রীতদাসের মৃতদেহ পড়িয়া পচে । স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তাহারাও আত্মহত্যা করে। অতিথির কয়েকদিন পরে এই-সব মৃতদেহের মাংসে ভোজ লাগায়। এইরকম আরো নানাপ্রকারের বীভৎস এবং অদ্ভুত সংকার-পদ্ধতি কঙ্গোদেশে প্রচলিত আছে । তাহার বিস্তারিত বিবরণ সকলের ভালো লাগিবে না । কঙ্গোর অনেক লোক এথনে। নরমাংস থায় । তবে এই-সব নরমাংসের ভোজ কেবল পুরুষেরাই করে—স্ত্রীলাকেরা বড় একটা ইহাতে যোগদান করে না । নরমাংস {াইবার দুইটি প্রধান কারণ—অনেক স্থানে শিকার মলে না। এবং ইহাদের একটা বিশ্বাস আছে যে যাহার ংস ইহারা খায়, তাহার ভাল গুণগুলি ভোক্তারা লাভ করে, তাহার বদগুণগুলি হাওয়াতে উড়িয়া যায়। অনেকে তিব্যক্তির মাংস ভক্ষণকে ধৰ্ম্মকাৰ্য্য বলিয়া মনে করে। এখন অবশ্য ইহা গোপনে চলে। কিছুকাল পূর্বে ইহা বশ সকলের সামনেই হইত, এমন কি যে-সমস্ত শ্বেতাঙ্গেরা হৈাদের দেশে প্রথম আসে, তাহাদের সাম্নেই এই নরiাংস-ভক্ষণ-ব্যাপার চলিত। ‘বাঙ্গালা’ এবং বাপুটু জাতির লাকেরা খুব বেশী নরমাংস খায়। তবে তাহারা নারীiাংস ভক্ষণ করে না। তাহাতে নাকি খরচ বেশী পড়ে। কঙ্গো নারীরা স্বন্দরী কি না বলা শক্ত—কারণ সকল দশের সৌন্দর্ঘ্যের মাপকাঠি একরকম নয়। কঙ্গো কঙ্গে স্বাধীন ( ) রাজ্য ۲یے%97 ميح یہ*۔ ہیمےخمینہv یہ HOA ব্যাপোটো নারী পূজার উৎসবের বেশে—মাঝখানে ভূতপ্রেত-পূজারী বাসীদের চোথে তাহাদের দেশীয় নারীরা নিশ্চয়ই খুব সুন্দরী । আমরা যদি হঠাৎ কঙ্গোদেশে যাই, তবে স্ত্রীপুরুষের মধ্যে বিশেষ তফাৎ বুঝিতে পারিব না । কঙ্গোনারীরা বিশেষ মোটাসোটা হয় না, তাহারা সাধারণতঃ পাতল ছিপৃছিপে হয়। তাহাদের অঙ্গের গড়ন নেহাৎ মন্দ নয়। হাত পা ইত্যাদি বেশ নিটোল সমান সমান। কোনটাই বেখাপ্পা নয। তাহীদের নাক চোখও বেশ ভাল। বিশেষত, কঙ্গো-নারীর চোথের গড়ন খুবই চমৎকার । অনেকে বলেন কঙ্গোনারী খোসামোদ খুব ভালবাসে– এ-সম্বন্ধে স্থির করিয়া কিছু বলা শক্ত, কারণ সকল নারীর চরিত্র এবং মন একরকম নয়। এই-স্থানের মেয়েরা সাধারণতঃ খুবই অতিথিপরায়ণ হয় এবং নিজেরা অশেষ কষ্ট ভোগ করিয়াও অতিথির সেবা করে। নদীর ধারে যে-সমস্ত জাতির বাস করে তাহারা খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । দিনের মধ্যে তাহারা বারকয়েক স্নান করে । অনেকের মতে নিগ্রোদের গায়ে বদ গন্ধ আছে—তাহা খাটি সত্য নহে। কিছুদিন তাহদের মধ্যে বাস করিলে সে-গন্ধ আর বোঝা যায় না। পৃথিবীর প্রায় সকল জাতির লোকেরই দেহে গন্ধ আছে এবং এক জাতির গন্ধ অন্য জাতি সহ করিতে পারে না । ইউরোপীয়দের গায়ের বেটুক গন্ধ আমাদের অনেকের কাছে অসহ। মেয়েদের দাতগুলি মুক্তার মত, তবে অনেকে তাহা উখা দিয়া ঘসিয়া খারাপ করে । তাহারা প্রায় সব সময়েই দাতন করে ।