পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বাগদাদ @@ .Jപപ്പപ്പപ്പാ নামক পল্পী। পূৰ্ব্বে এখানেও একটি নৌসেতু ছিল। মুম্বাজ্জাম পল্লীটি নদী হইতে দেখিতে অতীব সুন্দর। এই পরীতে হানাফি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আৰু হানিফার সমাধি স্বল্পীসম্প্রদায়ের তীর্থস্থান। আবুহানিফ ৬৯৯ হুইতে ৭৬৭ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্য্যস্ত জীবিত ছিলেন । ১০৬৩ অকে। বাগদাদের শাসনকৰ্ত্ত তাহার সমাধির উপর একটি মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন ও তাহার পার্থে একটি মাদ্রাস স্থাপন করেন। ১৬৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দে বাগদাদ পুনরধিকারের সময় তুরষ্কের স্বলতান মুরাদ ঐ মসিজদ ও মাদ্রাস পুনরায় নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। ১৮০২ অব্দে বাগদাদের ওয়ালি স্থলেমান পাশা এগুলির সংস্কারসাধন করেন ও মিনারটি কারুকার্য্যপচিত করেন। ১৮৭১ অব্দে স্থলতান আবদুল আজিজের মাতা মসজিদটির নানারূপ উন্নতিসাধন ও ছাত্র এবং দরিদ্র তীর্থযাত্ৰীগণের জন্য কৃতকগুলি গুহ নিৰ্ম্মাণ করাইয় দেন। বর্তমান মসজিদটি দেখিতে স্বনদর ৷ মুদ্রাজ্জাম হইতে বাগদাদ প্রায় ৪ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। পথে কমলা লেবু, বেদান, ষ্ট্রবেরী, আঙ্গুর প্রভৃতির অনেকগুলি স্বন্দর বাগান, বাগদাদ স্পোর্টিংক্লাবের বিস্তার্ণ মাঠ ও গৃহাদি, ইহুদিদিগের হাসপাতাল এবং উত্তর তোরণের কাছাকাছি আসিয়া তুর্কী ঘোড়সওয়ারদের বৃহৎ বাট দশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । নিউ ষ্ট্রীট দিয়া উত্তর তোরণ হইতে দক্ষিণ তোরণে যাইতে অৰ্দ্ধপথে প্রথমে হায়দরখানা মসজিদ ও তাহার কিছু পরে মারজান মসজিদ । হায়দারপানা মসজিদটি নেহাং ক্ষুদ্র নহে। ইহার উঠান রাস্তা হইতে কয়েক ধাপ নীচে। উঠানটি বৃহৎ—কয়েক হাজার লোক সমবেত হইতে পারে। ১৯২০ সালে যখন বেদুইন আরবের বিদ্রোহী হয়, তাহার পূৰ্ব্বে এই মসজিদে অনেক সময় বাগদাদের নেতাদের ও সাধারণ অধিবাসীদের সভা হইত। এই সভায় প্রায়ই আরবেরা যে ইংরেজদের চাহে না, তাহাই জোরাল ভাষায় ঘোষিত হইত। একদিন রাত্রিতে এইরূপ এক সভার শেষে যখন সকলে মসজিদ ত্যাগ করিয়া যাইতেছিল, তখন হঠাৎ কলের কামান লইয়া বিনা কারণে তাহাদিগকে আক্রমণ করা হয় এবং তাহাতে একটি লোক হত ও কয়েকটি লোক আহত হয়। সে এক ছোটখাট জালিয়ানওয়ালা বাগ আর কি ! পরদিন সহরবাসীরা হত লোকটিকে ফুলে পাতায় সজ্জিত করিয়া মিছিল করিয়া সমাধি-ক্ষেত্রে লইয়া যায়। বিদ্রোহের সময়ও এখানে সভা হইত। হায়দরখানা মসজিদ ছাড়াইয়া কিছুদূরে গেলে একটি চতুষ্পথ–বৰ্ত্তমান নাম এক্সচেঞ্জ, স্কোয়ার, ইহার বামদিকে শোবুজ। বাজার নামক একটি দীর্ঘ বাজার ও তাহার গায়ে মারজান মসজিদ। এই মসজিদটি বৰ্ত্তমানে ধ্বংসপ্রায়। ১৩৫৭ সালে মাবজান ইবন, বাগদাদের বেলাম নেীক আবদুল্ল ইবন আবদুল রহমান নামক তুর্কীজঙ্গী স্থলতানগণের জনৈক স্বাধীনতা-প্রাপ্ত ক্রীতদাস কৰ্বক ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মারজান বাগদাদের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইয় একবার বিদ্রোহী হন ; কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত করিয়াও সুলতান তাহাকে ক্ষমা করেন এবং স্বপদে প্রতিষ্ঠিত রাখেন। ১৩৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে মারুজানের মৃত্যু হইলে তাহাকে এই মসজিদে সমাহিত করা হয়। এই মসজিদে ইহার প্রতিষ্ঠার তারিখ প্রভৃতি খোদাই করা আছে ।