পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] করেন। তিনি বিক্রমপুর কালীকিশোর স্কুল হইতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়া তাহাতে উত্তীর্ণ হন । দারিদ্র্যের পেষণে অতিসামান্য বেতনে রামলালবাবু গ্রাম্য স্কুলের শিক্ষকতা করিতে বাধ্য হন। পরে তাহার, অভিভাবকস্বরূপ বিক্রমপুর-নিবাসী বাবু আনন্দমোহন দাস ঢাকা মেডিকেল স্কুলে ফ্রিশিপ লইয়া র্তাহাকে পড়িবার পরামর্শ দেন এবং সাধ্যমত খরচপত্র চালাইবার প্রতিশ্রুতি দান করেন । রামলাল-বাবু ফরিদপুরের সিবিল সার্জন ডাক্তার বি বস্থর স্থপরিশে ঢাকা মেডিকেল স্কুলে প্রবেশ করেন। এখানে বৃত্তিলাভ করিয়া এবং প্রথম বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করিয়া এনাটমীর মেডেল প্রাপ্ত হন। পীড়িত থাকায় তিনি তৃতীয় বার্ষিক পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করিয়া Certificate of Honour Nful olfo = 1 on for ছিল—উত্তীর্ণ ছাত্রদিগের মধ্যে প্রথম দশজন চাকরি পাইবে। রামলাল-বাৰু শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, মেজর ক্রম্বী, এই-নিয়ম অনুসারে তাহাকে চাকরি দিতে চাহিলে, তিনি তাহা গ্রহণ না করিয়া বলেন যে, তিনি চিকিৎসা-ব্যবসায় শিক্ষা করিবার জন্যই স্কুলে আসিয়াছিলেন । রামলাল-বাবু বাড়ীতে ডিস্পেনসারী করিয়া স্বাধীন তাবে চিকিৎসা আরম্ভ করেন । র্তাহার পসর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। পরে নানা দুৰ্ব্বিপাকে চাকরি গ্রহণ ভিন্ন র্তাহার আর গত্যন্তর থাকে না । তিনি র্তাহার অর্জিত পদকগুলি এবং প্রশংসাপত্রের তাড়া সম্বলস্বরূপ লইয়৷ চাকরীর অন্বেষণে কলিকাতা রওনা হন । অতি কষ্টে তিনি কালীঘাটে এক ডাক্তার বন্ধুর নিকট একমাস চাকরি করিয়া দশটাকা মাত্র পাইয়া কোন বড় ডাক্তারের কম্পাউণ্ডারি করিবার আশায় জনৈক প্রসিদ্ধ এসিষ্টাণ্ট, সার্জনের নিকট উমেদার স্বরূপ গিয়া উপস্থিত হন এবং অন্ত চাকরিরও সন্ধান করিতে থাকেন । এই-সময়ে আসামের জয়পুর ও ধুবড়ির চা বাগানে দুইজন ডাক্তারের কাজ খালি আছে শুনিয়া তিনি আবেদন করেন ও মনোনীত হন। ঘটনাক্রমে এই সময়েই রেজুনেও তিনি একটি চাকরি পান ও ১৮৮৯ অব্দের هویته ബും~..ു. বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী AMAMAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAAASMAMMAAA AAAA S ۹ را به متنهایی নভেম্বর মাসে ব্ৰহ্মদেশে যাত্রা করেন । তাহার সঙ্গে বাকুড়া-নিবাসী ডাক্তার যোগেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ও চাকরি করিতে বৰ্ম্ম যাত্রা করেন । রেঙ্গুনে পৌছিয়া রামলাল-বাবু ও যোগেন্দ্র-বাবু তথাকার ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ রায় মহাশয়ের বাসায় গিয়া উঠেন। তিনি একখানি চুক্তিপত্রে দস্তখত করিতে বাধ্য হন, তাহার সত্ত্ব ছিল পাচ বংসর ব্রহ্মদেশে চাকরি করিতে হইবে, তৎপূৰ্ব্বে কৰ্ম্ম ত্যাগ করিলে পাচশত টাকা দণ্ড দিতে হইবে। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর তিনি পোকুকু সহরের সিবিল হস্পিটালে যাইতে আদিষ্ট হন । পোকুকু পৌছিবামাত্র কাপ্তেন মরিস্ সাহেব তৎক্ষণাৎ উত্তীর রামলtল সরকার র্তাহাকে লেসে ( Lessey ) নামক পাৰ্ব্বত্য কেল্লায় যাইতে আদেশ করেন । লেসের পথ অতি তুর্গম, তথাকার কেল্লায় তখন ৫০ জন সিপাহী ছিল, সকলেই মুসলমান । কম্পাউণ্ডারটি খৃষ্টান । এখানে তিনি পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে জরে আক্রান্ত হন । এই আত্মীয়বান্ধবহীন চিকিৎসক-ও পথ্যহীন স্থানে এরূপ অবস্থায় হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্ক। করিস অবিলম্বে তিনি বদলির দরখাস্ত দেন।