পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆԳ e MAeSAMSAeSAMSAeeAMMSAASAASSAAAAAAS AAAAAM AeS MS AAASASAS e eAMS e MM AeeS eeS eeS এই-স্বত্রে তাহার সহিত এই প্রবাসী বাঙ্গালীর পরিচয় হয়। ডাক্তার সরকার রোনাল্ডশে সাহেবের আলোকচিত্র গ্রহণ করেন এবং তিনি ডাক্তারের স্মারক বহিতে স্বীয় ভ্রমণ-কাহিনী সংক্ষেপে স্বহস্তে লিখিয় দেন। মডার্ণ, রিভিউ এবং প্রবাসীর পাঠকগণ তাহ অবগত আছেন । ইনিই পরে বঙ্গদেশের গবর্ণর পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কালে ডাক্তার মহাশয় কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করেন । সেই-সময় (১৯২০ থষ্টাব্দের ২রা মার্চ, তারিখে ) গবর্ণমেণ্ট ব্রহ্ম ও চীনে প্রশংসিত কার্য্যের জন্য রামলাল বাবুকে সম্মানপত্র ও স্বর্ণঘড়ী উপহার দেন । লর্ড, রোনাল্ড শে বাহাদুর সেই উপহার দিবার কালে রামলালবাবুর যথেষ্ট প্রশংসা করেন। টেঙ্গিয়ে হইতে ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে ছুটি লইয়। রামলালবাবু দেশে যান । ছুটি ফুরাইলে, তিনি চীন যাইবার পথে এক বৎসর মান্দালেতে কাৰ্য্য করেন এবং কনসাল সাহেবের অনুরোধে বৰ্মা গবর্ণমেণ্টের খরচে রেঙ্গুনে গিয়া বিশেষ দন্ত-চিকিৎসা শিক্ষা করেন। তিনি এখানকার হাসপাতালে কাৰ্য্য করিবার কালে জানিতে পারেন যে, হাসপাতালে যত হিন্দু রোগী মারা যায়, তাহাদের সৎকার হয় না । তাহাদের শবদেহ লইয়া গিয়া মেথরর পুতিয়া ফেলে। অথচ মুসলমান, বৰ্ম্মী ও খৃষ্টানগণ র্তাহীদের স্ব স্ব ধর্মের লোক মারা গেলে দলবদ্ধ হইয়া মৃতদেহের যথারীতি সমাধি দেয় । তিনি ইহার প্রতিকারার্থ চাদ তুলিয়া একটি এমূল্যান্স, কার্ট, প্রস্তুত করান এবং একজন চাপরাশি ও চারিজন গুর্থ কুলি মাসিক বেতনে নিযুক্ত করেন । তদবধি এখানে হিন্দু রোগী মরিলে এম্বুল্যান্স, কার্ট, করিয়া দtহস্থানে লইয়া গিয়া তাহীদের যথারীতি সৎকার হইতে থাকে। কিন্তু সরকার মহাশয় মন্দালে হইতে চলিয়া গেলে যে মহারাষ্ট্র ব্রাহ্মণের হস্তে কাৰ্য্যভার দিয়া যান তিনি উহা বজায় রাখিতে পারেন নাই । দ্বিতীয়বার টেঙ্গিয়ে আসিবার তিন বৎসর পরে ডাক্তার সরকার যখন রেঙ্গুন হইতে র্তাহার পরিবারবর্গকে আনাইবার প্রস্তাব করেন, তখন তাহার জনৈক চীন বন্ধু ও তাহার পত্নী ণোপনে প্রবাসী-ভাস্ট্র, OOHO Ae eAeAMMAAASAAAA AAAAS AAAAA AAAAM eM AM eM eM MMM AMM AMMAeM MM MM MMAMAMAMM ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড জানান যে, তথায় গোলমালের আশঙ্কা আছে ; প্রজাগণ গবর্ণ মেন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করিবে। এই বিদ্রোহ কি ভীষণ আকার ধারণ করিয়াছিল, তাহার ধারাবাহিক বিবরণ প্রবাসীর পাঠকগণের অবিদিত নাই। ডাক্তার সরকারপ্রেরিত তারের সংবাদ ও কাহিনী পৃথিবীর সমস্ত সংবাদপত্রে তারযোগে প্রেরিত হইয়াছিল। এই বিদ্রোহের মধ্যে রামলাল-বাৰু শাস্তভাবে কাল অতিবাহিত করেন। টেঙ্গিয়ে অবস্থানকালে বাবু দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘাষ ( Veteri nary Assistant ), štątă şfost si qf{ সতীশচন্দ্র রায় এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র বাবু নিকুঞ্জলাল সরকার র্তাহার নিকটে ছিলেন । যে দশ বৎসরাধিক কাল তিনি চীনপ্রবাসে ছিলেন, তাহার মধ্যে স্বীয় তীক্ষ্ণবুদ্ধি, লোকচরিত্রজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যায় অভিজ্ঞতা, কাৰ্য্যকুশলতা, সকলের সহিত সদ্ব্যবহার ও পরহিতৈষণা দ্বারা তিনি কি যুরোপীয় সমাজ কি চীনা জনসাধারণ সকলেরই শ্রদ্ধা ভালবাসা ও সন্মানের পাত্র ছিলেন । ডাক্তার সরকারের জনহিতৈষণার একটি চিরস্মরণীয় নিদর্শন টেঙ্গিয়ে সহরে তাহার প্রতিষ্ঠিত একটি সাধারণের হাসপাতাল । তিনি শুদ্ধ চাদ সংগ্ৰহ করিয়া দরিদ্র দুঃস্থ রোগীগণের ঔষধপথ্যাদির ব্যবস্থা করেন। চীন দেশের এ-অঞ্চলে ইহা এক অভিনব ব্যাপার । তিনি প্রভূত পরিশ্রম ও স্বকীয় অর্থ ব্যয়ে যে দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন প্রথমে চীনারা তাহা সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখিতে থাকে। বিদেশী লোক ঘরের খাইয়া পরের উপকার কেন করে ইহা তাহাদের বোধগম্য হয় নাই । অবশুই ইহাতে কোন দুরভিসন্ধি আছে- এ-দেশটা ইংরেজ গ্রাস করিতে চায়, এইরূপ ভাব মনের মধ্যে পোষণ করিয়া চীনারা ইহা ব্যর্থ করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হয় এবং চীন চিকিৎসক রাখিয়া আর-একটি বেসরকারী চিকিৎসালয় স্থাপন করিতে চেষ্টা করে । কিন্তু স্থানীয় শিক্ষিত ভদ্রলোক ও চীন রাজকৰ্ম্মচারীগণ এই প্রবাসী বাঙ্গালীর সাধু উদ্ধেশু উপলব্ধি করিয়া রামলাল-বাবুর পক্ষেই ছিলেন । ফলে রামলাল-বাবুর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল ধীরে ধীরে লোকপ্রিয় হইয়া উঠে । ডাক্তার সরকারের