পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭৬ মহাশয়কে শুধুমাত্র উচ্চ-শিখ-বিস্তারেই সমাজ-সেবক বলিয়া গণা করা হইয়াছে । অথচ তিনি নিজে এক্ট কঙ্গেকেই উহার সৰ্ব্বোচ্চ কাজ বা জীবনের ব্ৰত বলিয়া মনে করেন নাই । বস্তুত: লেখিক ও লেখক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারী ও শিক্ষ-ব্যৱসায়ী বলিয়। বৰ্ত্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে একট। অযথা প্রাধান্ত দিয়াছেন । সেইজঙ্ক এই বইখানির অনেক জায়গাতেই শিক্ষাদানের দ্বারা সমাজসেবাকেই বড় করিয়া দেগান ইয়াছে । এই সংস্কারের জন্য অনেক প্রবন্ধে তল-মান রক্ষা ছয় নাই । "বিদ্যাসাগর" শীর্ষক প্রবন্ধটির প্রায় আট সীমা অবাস্তুর ( এবং অনেক স্থলে অযথা ) পলিকাতাবিশ্ববিদ্যালয়ের মহিমাগানে পরিপূর্ণ। ধান ভনিতে শিবের গীতের কি প্রয়োজন ছিল তাঁহা লুঝিতে পার শক্ত। রামমোঙ্কন প্রবাসী-ভান্দ্র, ১৩৩e ASAAAAS AAASASAAMMAMAMASAMSMSMSMSMSMSMM MMAMMMeAMMM MMMM MMMMMMMMeM eM MAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAASA SAASAASSAAAAA AAAA AA ASAA AA ASAA AA ASAA AMMAeMMMMAMAMAeAAA AAASS [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড রায়ের জীবন আলোচনাতেও এইরূপ একদেশদর্শিতার পরিচয় আছে , বিবেকানন্দ কেশবচন্দ্র প্রভূতিতেও সমস্ত মামুত্রটিকে ফুটাইল্পী তোলা হয় নাই । অথচ ভূমিকালেখক সাহিত্যাচাৰ্য্য মহাশয় লিখিতেছেন—“রবীন্দ্র-বাবুর বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গটি যে ভাবের, এই উপাদেয় আখ্যানগুলি কতকট। সেই ভাবের ।” কি গভীর রসবোধ ও সাহিত্যজ্ঞান ! বিদেশী চরিত্রগুলির চিত্র পাঠ করিয়া অল্পবয়স্ক পাঠকপাঠিকার উপকার লাভ করিবে, কেবল এই হিসাবেই পুস্তকখালি মুল্যবান। পুস্তকের ভাষা মোটের উপর ঝরঝরে, ও বর্ণনাও অনেক স্থলে সরস । এই গ্রন্থে সাঙথানি ছবি দেওয়া হইয়াছে । সমদশী পথের বাণী গরমের ছুটি হ'লে পর বের্ডিং থেকে বাড়ী এসে ঠাফ ছেড়ে বীচ লুম। বৌদি ও আমার সমবয়সী, আর আমারই সঙ্গে পড়ত, মাত্র ছমাস হ’ল বিয়ে হয়েছে। ক্লাসের সব মেয়েদের ভিতর তার সঙ্গেই ছিল আমার সবচেয়ে ভাব। ফোর্থ, ক্লাস থেকে এই থার্ড, ইয়ার ক্লাস পর্যন্ত বরাবরই একসঙ্গে পড়ে এসেছি আমরা । ইচ্ছে ছিল দাদার সঙ্গে যদি তার বিয়ে হয় তো বেশ হয়। ভারী সুন্দর আর লক্ষ্মী মেয়ে সে । দাদা আমার চেয়ে বছর চারেকের বড় । ছোট বেলায় আমার মা মারা গেলে পর আমি আমার মামার বাড়ীতেই মানুষ হই । তার পর আমার বয়স যখন ন'বছর তখন বাবাও মারা গেলেন। মাম। আর মামীম আমাকে ঠিক নিজের মেয়ের মতন করে মান্তম করে তুলেছিলেন। দাদা মামীমার একমাত্র ছেলে, তার সঙ্গে আমার ছেলেবেলা থেকেই খুব ভাব ; সেও আমাকে ঠিক নিজের ছোট বোনটির মতন ভালবাস্ত । দাদার বিয়ের ঘটকালীও আমিষ্ট করি । এখন ছুটিতে বাড়ী এসে আমি ত বাচ লুম, বৌদিও বাচল । ছুটির প্রথম দিন-কয়েক কেবল বোটানিক্যাল গার্ডেনস, বায়স্কোপ আর থিয়েটার দেখেই কাষ্ট্ৰল । একদিন রবিবার, সন্ধ্যাবেল ইডেন গার্ডেনে আমরা তিনজনে বেড়াতে গিয়েছিলাম, ফেব্ৰুবার সময় দাদা বললে –“চল, তখন থেকেই কাল অমর। ই জারিবাগ রওনা হ'য়ে পড়ি ।” দাদ। চিরকালই হুজুগে। মামারী কিছুদিন আগে হাজারিবাগ গিয়েছিলেন, আমরাও তাদের অবাক করে দেবার কল্পনায় রাজী হলাম । - ৩০শে এপ্রিল বঙ্গে মেলে আমরা রওনা হয়ে পড়লাম, মামীদের কোন খবর দেওয়া হ’ল না । গাড়ীতে মোটেই ভীড় ছিল না, তা ছাড। আমাদের তিনজনের জন্ত আগেই “বাৰ্থ, রিজাভ করা ছিল । সন্ধ্য-বেলাট গল্প করে কাটিয়ে থানিক পরে আমরা তিন জনেই ঘূমিয়ে পড়েছিলাম । হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল আমার ; উঠে দেখি চারিদিক চাদের আলোয় ভেসে যাবার জোগাড়। চমৎকার পূর্ণিমা রাত ছিল সেদিন । মুখ বাড়িয়ে ষ্টেশনটার নাম দেখলাম “ইখ্রি” । তার পাশ দিয়ে সাদা ধবধবে রাস্ত রেল-লাইন পার হয়ে চলে গেছে। এখানে গাড়ী দাড়াবার কথা নয় ; দাদাকে তুলে দিলাম, সে উঠে খানিকক্ষণ বসে' রইল, তার পর নেমে গাড়ী সেখানে দাড়াবার কারণ জানতে গেল । দাদা ফিরে এসে বললে—“হাজারিবাগরোড ষ্টেশনের একটু আগে দুখান মালগাড়ীতে ভয়ানক কলিশন হ’য়ে গেছে সন্ধ্যার ঠিক আগে । কতকক্ষণ যে দাড়াতে হবে জানা গেল না।” বৌদিও ইতিমধ্যে উঠে পড়েছিল, খবর শুনে আমরা সকলেই বেশ একটু দমে' ( 1