৫ম সংখ্যn ] কয়েকজন শক্তিধর পুরুষ জাদর্শের ইশ্রজাল রচনা করিবার অথবা জাণ্ড জয়লাভের প্রলোভনে দেশবাসীগণকে প্রলুব্ধ করিবার বাঙনৈপুণ্য থাকাতে মিত্ৰশক্তিবর্গের ভাগ্যনিয়ন্ত হইয়া দাড়াইয়াছিলেন। ক্ষমতাপ্রিয় ও উন্মাদন লোলুপ এই সকল রাষ্ট্ৰীয় নেতার হস্তে প্রলুব্ধ দেশবাসী স্বেচ্ছায় সমস্ত শাসনের ভার অর্পণ করিয়াছিল। স্বেচ্ছাচারী দেশনায়কের ক্ষমতার খেয়াল রোধ করে এমন কেহই ছিল না । কিন্তু যুদ্ধ-শেষে যপন শক্তির মোহ কাটির গেল, জয়লাভ করিয়াও যখন স্বখ ও স্বচ্ছন্দ্য লাভ ঘটিয়া উঠিল না, তখন দেশময় একটা প্রতিক্রিয় পড়িয়া গেল। এই প্রতিক্রিয়ীর গতি রোধ করিতে ন পারিয়া প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্ৰীয় সেতার পতন হুইয়াছে ; হয় নাই কেবল ফ্রাঙ্গে। কারণ ফ্রান্সের লোকের জাৰ্ম্মানীর প্রতি যে হিংস জাগিয়াছিল তাহ আজও নিবৃত্তি লাভ করে নাই ; আজও জিঘাংস্ক ফ্রাঙ্গ জাৰ্ম্মানীকে পদদলিত করিবার প্রাণপণ প্রয়াস করিতেছে। শক্তিমত্ত ফ্রান্সে তাই আজিও প্রতিক্রিয় অরিস্তু হয় নাই । যুদ্ধাবসানে কিন্তু মার্কিন ও ইংরেজ দেখিতে পাইলেন উtহাঙ্গের ভাগ্যনিয়ন্তীরূপে যাহাদিগকে নিৰ্ব্বাচিত করা হইয়।ছিল তাহদেৱ বাসনা জাতিকে শক্তির যে-পথে লইয়। গিয়াছে সে-পথে চলিবীর সমর্থ্য জাতির নাই এবং সেই-পথে চলিবার প্রয়াসে যে-শক্তির অপচয় ঘটিয়াছে তাহ হইতে বাচিতে হইলে ধীব স্থির রাষ্ট্রনায়কের হস্তে দেশ-শাসনের ভর অর্পণ করা উচিত । শক্তিধর পুরুষের ব্যক্তিগত খামখেয়ালি অনুসারে চলার চেয়েও দক্ষ দলপতির দলীয়মতে চল। জাতির পক্ষে মঙ্গলজনক বেtধ হওয়াতে ইংরেজ লেতি রক্ষণশীল দলপতি বোনােরল'র হস্তে শাসনভার অর্পণ করিয়া নিশ্চিন্তু হইলেন । লয়েছ জর্জের পতন হইল। মার্কিন জাতিও উড়ে উইলসনের ছে দে! কথায় বিশ্বাস ইরাইয়া সাধারণতন্ত্রী নেতা হাডিংএর হস্তে আপনাদের ভাগ্য সপিয়া দিলেন। মার্কিনজাতি মনরোনীতির পোষকতাই চিরকাল করিয়া আসিয়াছেন । ইউরোপের রাষ্ট্রধারার ঘূর্ণবৰ্ত্তে পাক খাইতে মার্কিনের অভিরুচি কোনও দিনই ছিল না। উড়ে উইলসনের বাগ বিভূতিতে ভুলিয়া বিশ্বশাস্তি স্থাপন করিবার প্রলোভনে প্রলুব্ধ হইয়া মার্কিন ইউরোপীয় রাষ্ট্রনীতির আবত্তে পতিত হয় । কিন্তু ভাসাই সন্ধিস্থত্রে যখন উইলসনের চৌপদফার দফারফা হইয় গেল তখন মার্কিনের সে মোক ভাঙ্গিয়া যায়। উড়ে। উইলসন যে আদর্শের ইন্দ্রজাল রচনা করিয়াছিলেন, তাহ কতদূর অলীক তাহা বুঝিতে পারিয়৷ মার্কিনজাতি ইউরোপীয় রাষ্ট্রধার হইতে আপনাকে মুক্ত করিবার জন্ত যে প্রয়াস করেন সেই প্রয়াসের ফলে হার্ডিং যুক্তরাজ্যের সভাপতি নিযুক্ত হন। শান্তির ফায়াতে ইংলণ্ডের গাঠস্থ মুখস্বাচ্ছন্দ্য ফিরাইয়া দিবীর প্রয়াস বোনার্ল'র লক্ষ্য হইল। হাডিং মাকিনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরাইয়। আমিতে চাহিলেন। বোলারল'র বাণী হইল শাস্তি (Tranquillity ). Effet qw tist «reffqș el ( Normalcy ) I এই দুইজন ভাগ্যধর পুরুষ জাতির ভাগ্যনিরস্তু হইয়াই ব্যয়সঙ্কোচে মনোনিবেশ করিলেন। মার্কিনজাতি ইউরোপীয় রাষ্ট্রের ঘূর্ণবৰ্ত্ত হইতে মুক্তি চাহে বুঝিতে পারিয়া হাডিং জাতিসমূহের সংঘে যোগ দিলেন না ; কিন্তু অন্তর্জাতিক কলহসমুহের সমাধানের জন্য অগুর্জাতিক বিচারমগুলের প্রতিষ্ঠা করিবার জন্ত সচেষ্ট হইলেন। যুদ্ধব্যয় ত্বাসের জস্থ্য ওয়াশিংটন-বৈঠকের ব্যবস্থা করিয়! হাডিং ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হইয়াছেন। মার্কিনের নিকট ইংরেজের যে ঋণ ছিল তাহার স্বদের হার ইংরেজ খুব বেশী মনে করলেও দায়ে পড়িয়া লইতে বাধা হইয়াছিলেন। কিন্তু যুদ্ধাবসানে ইহা লইয়। ইংরেঞ্জে মকিনে মনDDDD CBB BBS ggG BBBBBKS BBS ggDD A-یے দেশ-বিদেশের কথা—বিদেশ a' לפנ\ o SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS অভিপ্রায়ে ঋণের হার শতকরা চারি টাকা হইতে ৩৯ টাকায় কমাইঃছেন এবং ঋণশোধের সময় পাঁচশ বৎসরের কড়ীরের পরিবর্তে ৬২ বৎসর পর্ষ্যস্ত সময় বাড়াইয়াছেন। কিন্তু মাকিনে মদ্য অমৃদানি রহিত করিবার জন্ত যে-সব চেষ্টা মার্কিন-সরকার করেন তাহাতে মার্কিনের সহিত ইংলণ্ডের সম্ভাব টুটিয়া যায়। হাডিং কানাডার সহিত মিলনের বন্ধন আরও দৃঢ় করিবার জন্ত সম্প্রতি কানাডা গমন করিয়াছিলেন । কানাড হইতে ফিরিয়া অtসিয়া তিনি অস্বস্থ হইয়া পড়েন । অল্প কয়েকদিনের অসুখের পর বিগত ৩রা আগষ্ট সন্ন্যাসরোগে হাণ্ডিংএর মৃত্যু হইয়াছে । ঠাখার মৃত্যুতে মিত্রশক্তিবর্গের অধিবাসীরা অত্যন্ত ব্যথিত হইয়াছেন। হার্ডিং কোমল ধীর এবং শান্ত স্বভাবের জষ্ঠ অভ্যস্ত প্রিয় ংিলেন। র্তাহীর মৃত্যুতে সহকারী সভাপতি ক্যালভিন কুলিজ যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় প্রথা-অনুসারে নংনিৰ্ব্বাচন পয্যন্ত সভাপতি হইলেন । ইহঁ:র কায্যকাল ১৯২৪ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা মাচ্চ পৰ্য্যন্ত । তাহার পর নির্বাচনে যিনি জয়লাভ করিবেন তিনি যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপতি হইবেন । কুলিজ ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে ভাৱমণ্ট প্র দশে একটি গ্রাম্য কৃষিক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করেন এবং ম্যাস্তাচুসেটস প্রদেশের নর্থ পটন সহরে ওকালতী ব্যবসায়ে রত হইয়। জীবনযাত্ৰা আৰম্ভ করেন। এই প্রদেশের রাষ্ট্রীয় আন্দোলনে যোগ দিয়া ক্রমে ক্রম পদোন্নতি লাভ কfরতে করিতে ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে ম্যাসাচুসেটস্ প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত হন। বিগত নির্বাচনে ইনি যুক্তরাজ্যের সহকারী সভাপতি নির্ধ্বাচিত হন । هي সিঙ্গাপুরে নৌবহরের নূতন আস্তান । ঋণভার-প্রপাড়িত ইউরোপের যুদ্ধে|দামের ভার বহন করা অসম্ভব হইয় পড়া সত্ত্বেও পরস্পরের মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার ও লৌহ, তৈল এবং খনিজ সম্পত্তির মালিকান লইয়। রেষা-রেষি থাকতে যুদ্ধোদ্যম স্থগিত রাখা সম্ভবপর হইতেছিল না। অথচ মন্ত্রীবর্গ খসড়াহিসাবে আয়-বায়েব সাম্য-সাধনের বৃথা চেষ্টা করিয়া কুল পাইতেছিলেন না। প্রতিযোগিতায় আঁটিয়৷ উঠিতে গেলে যে অসম্ভব ব্যয় বাড়িয় উঠে তাই জোগান দিতে হইলে করভার এমনই বাড়িয়া উঠে যে করভারপ্রপাড়িত দেশ তাহ সহ্য করিতে পারে না । ব্যয়-সঙ্কোচের চেষ্টায় গঠনমূলক কায্যও অনেক দেশে স্থগিত রাখিতে হইয়াছে ; ফলে জাতি দুৰ্বল হইয় পড়িতেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য প্রভৃতি বিভাগ অর্থাভাবে যথোচিত কায্য করিতে পারিতেছে না। এই সমস্তার প্রতিবিধানের জস্থ্য ওয়াশিংটন সহরে নিরস্ত্রীকরণদবধারের বৈঠক বসে। অনেক তর্কবিতর্কের পর বৈঠকের সিদ্ধাপ্ত অনুসারে শক্তিবগ অপণ আiপন যুদ্ধোদামের বিপুল তায়োজন অনেকটা হ্রাস করিতে স্বীকৃত হন এবং প্রত্যেকেই বৈঠকের নির্দেশ অনুসারে নৌবহরের কতকগুলি জাহাজের যুদ্ধসজ্জা মোচন করেন। বাহিরের চাপে এই যে বায়সঙ্কোচ তাহ৷ স্থায়ী হইতে পারে না, সঙ্গে সঙ্গে অস্তরেরও পরিবর্তন যদি না ঘটে। যুদ্ধের অবসানে কিন্তু শক্তিবর্গের সাম্রাজ্য-লিঙ্গ ও শক্তির পিপাস কিছুমার কমে নাই। রোগের উপশম ন হইলে মুতম উপসর্গের স্থষ্টি হইতে বেশ সময় যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় ইংরেজ, জাপান ও মার্কিনের বিরোধ বহুদিনের। যুদ্ধাবসানে এই বিরোধ আরও তীকু হইয়াছে । যুদ্ধে জাপানের কোনও বিশেষ ক্ষতি হয় নাই। মাক্ষিনের ক্ষতি হওয়া দূরে থাকুক, বহুল-পরিমাণে শক্তি বৃদ্ধি হইয়াছে। ব্যয়বহুল্যে ইংরেজের কিন্তু ছৰ্গতি হইয়াছে অসীম । তাই ংরেজ উপনিবেশগুলিকে বক্ষণ করিবার একটা বিধি ব্যবস্থ৷ BBBB BB BB DDK KmmmBBS KDDDD BBSBBLSS
