পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] AAAAAAAS AAASASAAA AAAAM MAeAAA AAAA AAASA SAASAASAASAASAASAAAS রতন আশ্চৰ্য্য স্বরে বললে,-“একি ভোজৰাজি ! আমি আসতে না আসতেই আমার জন্তে চ প্রস্তুত !" পূর্ণিমা হেসে বললে, “ভোজবাজি নয় রতন-বাৰু! আপনি যখন রাস্ত দিয়ে আসছিলেন, আমি জানলা দিয়ে আপনাকে দেখতে পেয়েছিলুম যে ।” —“না: ! আপনার দুজনে মিলে আমাকে জোর করে প্রথম শ্রেণীর ‘চাতাল ক'রে তুললেন দেখ চি ! এখন চ৷ না খেলে মন আমার উস্থুস করতে থাকে।” আনন্দ-বাবু বললেন, “ক্ষতি কি ? এর জন্যে তোমাকে যখন অর্থ ব্যয় করতে হচ্চে না, তখন বাক্য ব্যয় করবারও প্রয়োজন নেই।” —“কিন্তু আনন্দ-বাবু, আপাতত মাস-দুয়েকের জন্যে পূর্ণিমা দেবীর স্বহস্তে প্রস্তুত তপ্তকাঞ্চনবর্ণ মধুমধুর চায়ের আস্বাদ থেকে আমাকে বঞ্চিত থাকৃতে হবে।” —“কেন রতন, তোমার এ কথার মানে কি ?” —“বিনয়-বাবু আমাকে নিমন্ত্রণ করেচেন, তার সঙ্গে পুরী যাবার জন্যে ।” পূর্ণিমা বললে, “আপনি তো ভারি স্বার্থপর রতনবাবু! কলকাতার এই ধুলো ধোয়া আর গণ্ডগোলের ভেতরে আমাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে আপনার লজ্জা হবে না ?” রতন বললে, “আমি এখানে থাকলেও কলকাতার ধূলো ধোয়া আর গণ্ডগোল তো কিছুমাত্র কমবে না!” পূৰ্ণিমা বললে, “কিন্তু আপনার গান গল্প আর কবিতা-আবৃত্তি শুনতে শুনতে কলকাতার ঐ আপদগুলিকে আমরা যে অনায়াসেই ভুলে যেতে পারি !" আনন্দ-বাবু বললেন, “রতন, পূর্ণিমার হাতের চী থেকে তোমাকেও বঞ্চিত হ’তে হবে না, তোমার সঙ্গ থেকে আমরাও বঞ্চিত হব না। আমি এক উপায় আবিষ্কার করেচি।” পূর্ণিমা বললে, “কি উপায় বাবা ? রতন-বাবুকে বন্দী ক’রে রাখবেন ?” —“উহু, আমরাও পুরী যাত্রা করব।” পূর্ণিমা সানন্দে বাবার একখানি হাত নিজের হাতের ভিতরে নিয়ে বললে, “বাবা, তাহলে আমি বেনো-জল . १०० AJSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMAMAMMAAAS যে কি খুশিই হব ! আমি কখনো কলকাতার বাইরে शाङ्के-नि !” —“বিনয়ও আমাকে পুরী যাবার জন্তে ক'দিন ধ’রে অনুরোধ করচে। আমি যাব শুনলে সেও খুব খুলি হবে । কিন্তু রতন, বিনয়ের জন্যে যেখানে বাড়ী ঠিক ক'রে এসেচ, তার কাছাকাছি সমুদ্রের ধারে আর কোন ভালো বাড়ী ভাড়া পাওয়া যাবে তো ?” —“তা কেন যাবে না ? পুরীতে গিয়ে এক ভঞ্জলোকের সঙ্গে আলাপ হয়েচে, বলেন তো তাকে চিঠি লিখে এখনি সব ঠিক ক’রে ফেলি।” —“বেশ, তাই কর—আমরা সকলে একসঙ্গেই যাব।” - “কিন্তু আপনাদের মতন দু দু জন বড় জ্ঞাক্তার একসঙ্গে কলকাতা ত্যাগ করলে রোগী-সমাজে আৰ্ত্তনাদ প’ড়ে যাবে যে !" —“সে আর্তনাদ শোনবার জন্যে এখনো ঢের লোক সাগ্রহে অপেক্ষা কবৃচে । আমরা চলে গেলে তারা দুদিন আরামের নিঃশ্বাস ফেলে বাচ বে।” পূর্ণিমা বললে, “রতন-বাবু, আপনার হাতে ওখানা কি বই ?” —“onto ‘My System আপনার জন্যেই এনেচি।” —“আমার জন্তে ? কৈ, দেখি !” রতনের হাত থেকে বইখানি নিয়ে, খানকয়েক পাতা উন্টে পূর্ণিমা বললে, “এই বই আপনি আমার জন্যে এনেচেন ? এ তো দেখচি ব্যায়ামের বই ।” —“হঁ্য, মেয়েদের ব্যায়ামের বই।” —“এ বই প’ড়ে আমার কি লাভ হবে ?” —“খালি পড়ে কোন লাভ নেই, কিন্তু ঐ বইয়ের কথা-মত ব্যায়াম করলে আপনি যথেষ্ট উপকার পাবেন।” পূর্ণিমা কৌতুক-ভরে হেসে উঠে বললে, “ব্যায়াম ? আমি ব্যায়াম করব ? কেন রতন-বাবু, আমি তো কোনদিন আপনার কাছে পালোয়ান হবার জন্তে লোভ • প্রকাশ করিনি!” —“ব্যায়াম তো খালি পালোয়ানেরই জন্তে নয়। ব্যায়ামের আসল উদ্দেশ্য, স্বাস্থ্যের উন্নতি। প্রতিদিনকার for Ladies,'—