পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতীয় করদ ও মিত্ররাজ্যে হরাপান নিবারণ " ግ2¢ AAAAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAM MM eM AM MM MMMM eAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSBA AeM MeMAM MAAAA SAS A SAS MM MAAAS AAASASAAAAAS AAAASS SAA AAAAM ASAM MeAAA AAAAAS SSAAAASA SSASAS SSAS SSASAAA S অনুসারে তাহার স্বামী ত্যাগ করে নাই ) আপন পত্নীরূপে রাখে, তাহাকে ২০০ টাকা পৰ্য্যন্ত জরিমানা করা হইবে, এবং স্ত্রীলোকটিকে তাহার পূর্ব পতির নিকট ফিরাইয়া দেওয়া হইবে । ( e ) পঞ্চায়েং যদি মনে করেন, যে, বিবাহ-বিচ্ছেদের উপযুক্ত কারণ আছে, তাহা হইলে র্তাহারা কোন স্ত্রীলোকেল আবেদনে বিবাহ-বিচ্ছেদের অনুমতি দিতে পারেন। স্ত্রীলোকটির দ্বিতীয় স্বামী যদি কেহ থাকে, তাহা হইলে সে প্রথম স্বামীকে ১০০২ টাকা এবং অন্যান্য খরচের টাকা দিবে। (৬) ঘরজামাইগণকে সাত বৎসরের পরিবর্তে পাঁচ বৎসর শ্বশুরের গৃহে বাস করিতে হুইবে । ( 4 ) বিবাহ এবং শ্রাদ্ধ ও অন্যান্য ভোজের সময় মদ্যপান করা হইবে না। যদি কেহ এই নিয়মের অন্যথাচরণ করে, গ্রামের পাটেল বা ভগত ( ভক্ত ) তাহ উপরওয়ালাকে জ্ঞাত করিবেন। (৮) শ্রীদ্ধের সময়, রোগের সময় বা অন্য কোন সময়েই ছাগল বা গাভী বধ করা হইবে না । ( ৯ ) ‘স্ত্রীপুরুষ সকলেই প্রত্যহ স্নান করিবে এবং শৌচাদির পর জল ব্যবহার করিবে। (১০) স্ত্রীলোকগণ পায়ে ‘ঝণঝরিয়া’ নামক অলঙ্কার পরিবে না । ( এইগুলি গোলাকার পিতলের চোঙ্গা ইটু হইতে গোড়ালী অবধি ঢাকিয়া রাখে । ইহা পরিলে চলাফের এবং ক্ষেতে কাজ করার ভয়ানক অসুবিধা হয় । ) (১১) প্রধান প্রধান পাটেলগণকে লইয়া একটি সমিতি গঠিত হুইবে । ইহঁারা গ্রামে গ্রামে গিয়া সকলকে এইসব নিয়ম শুনাইবেন এবং স্থানে স্থানে শাখাসমিতি স্থাপন করিবেন। এই শাখাসমিতিগুলি নিয়মাবলী ঠিক মত পালন করা হইতেছে কি না দেখিবেন এবং নিয়মভঙ্গের দণ্ডবিধান করিবেন।”

  • অসভ্য” লোকেরা “সভ্য” “শিক্ষিত" লোকদের চেয়ে, সামাজিক প্রতিনিধিদের দ্বারা নিৰ্দ্ধারিত নিয়ম অধিকতর নিষ্ঠার সহিত পালন করে । এই কারণে, আমাদের বাংলার বরপণ-নিবারণী সভাসকলের প্রতিজ্ঞা অপেক্ষ ভৗলদের নিৰ্দ্ধারণগুলির অধিক মূল্য আছে মনে করি! -

ভারতীয় করদ ও মিত্ররাজ্যে স্বরাপান নিবারণ। “আবকারী" পত্রে অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান মদ্যপাননিবারিণী সমিতির ১৯২২-১৯২৩ সালের যে কাৰ্য্যবিবরণ বাহির হইয়াছে, তাহাতে, মিত্র ও করদ রাজ্যগুলিতে কিপ্রকার কাজ হইয়াছে, তাহার চুম্বক দেওয়া আছে। “বেশীর ভাগ দেশী রাজ্যগুলিতেই পাশ্বস্থিত ইংরাজশাসিত স্থানের অনুরূপ করিয়াই আবকারী বিভাগ পরিচালন করা হয়। আমরা আনন্দের সহিত জানাইতেছি, যে, এই বৎসর কয়েক জায়গায় এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে প্রচার করা হয়, যে, ভুপালের বেগম মহোদয় তাহার রাজ্যে মন্তব্যবসায় একেবারে বন্ধ করিয়া দিয়াছেন। ভুপালের অধিবাসীর সংখ্যা দশ লক্ষেরও বেশী এবং ইহা হায়দ্রাবাদের পরেই সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ মুসলমান রাজ্য। এতদিন ভূপালে প্রতিবৎসর আবকারী বিঙাগ হইতে ৫০,০০,০০০ টাকা রাজস্ব লাভ হইয়াছে। এই টাকা আর পাওয়া যাইবে না, কিন্তু প্ৰজাদিগের অবস্থার উন্নতিই যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ বলিয়া গণিত হইবে, আশা করা যায়। “বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর ভাবনগর রাজ্যে ১৯২২ হইতে মষ্ঠ প্রস্তুত এবং বিক্রয় করা একেবারে নিষিদ্ধ হইয়া গিয়াছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে, এই প্রকার আইন করিলে কিরূপ ফল হয়, তাহ পরীক্ষা করিবার জন্য ঐপ্রকার নিষেধাজ্ঞ প্রচার করা হয়, তাহাতে দেখা যায় যে লোকের সুখসম্পদ যথেষ্ট বাড়িয়াছে। ইহার পাশ্বন্থ রাজ্য পালিটানাতেও এই প্রকার নিষেধাত্মক আইন করা হইয়াছে। বড় বড় রাজ্যগুলি কিছু অল্প দৃঢ়তাসহকারে কাজ করিতেছেন । কিন্তু বিগত সেপ্টেম্বরে আমাদের সম্পাদক মহারাজ গায়কোয়াড়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া জানেন যে এই আন্দোলনে তাহার পরিপূর্ণ সহানুভূতি আছে, এবং বড়োদাতে স্থানিক অধিবাসীবর্গের ইচ্ছার উপর মদের দোকান রাখা বা বন্ধ করা ছাড়িয়া দেওয়াতে স্বফলই ফলিয়াছে। ইহা ভিন্ন শুনা যাইতেছে, যে, নিজামের রাজধানী হায়দ্রাবাদ হইতে মদ্যের দোকান একেবাবে উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে।”