পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] , শতকরা খুব কম গুলিই সাংঘাতিক হয় । বন্দুক হাতে পাশ্চাত্য দ্বন্ধ-যুদ্ধেও (duelএও ), প্রত্যেক যুদ্ধেই কোন না:কোন পক্ষ মরিয়াছে, এরূপ কোথাও লেখা নাই । আধুনিক বানপ্রস্থ হিন্দুরা জানেন, যে মানবজীবনের প্রথম আশ্রম ব্ৰহ্মচর্ধ, তাহার পর বিবাহান্তে গার্হস্থ্য বা সংসারীর জীবন-যাপন। গার্হস্থ্য আশ্রমের পর বানপ্রস্থ এবং সৰ্ব্বশেষে সন্ন্যাস । শেষের দুই আশ্রমে সাধন ও পরোপকারে জীবন অতিবাহিত করাই আদর্শ। একজন বিখ্যাত আমেরিকান সম্পাদক স্বাধীনভাবে চিন্তা করিয়া প্রায় এইরূপ আদর্শই আপনার জীবনে গ্রহণ করিয়াছেন। আমরা সেঞ্চুরী পত্রিকায় দেখিতে পাই :– “শারীরিক ও মানসিক শক্তি অক্ষুণ্ণ থাকিতে থাকিতেই মিষ্টার বুকু লেডিজ, হোম জনাল পত্রিকার সম্পাদকতা এবং কার্টিস্ পাব্লিশিং কোম্পানীর .কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহ হইতে অবসর গ্রহণ করেন। নিষ্কৰ্ম্ম৷ হইয়া বসিয়া থাকিবার জন্য তিনি এইপ্রকার করেন নাই, দেশের কাজ করাই তাহার উদ্দেশ্য ছিল । কি কারণে তিনি পদত্যাগ করিলেন, তাহা বুঝাইয়া দিবার জন্য তিনি সংসার-ত্যাগের একটি আদর্শ সকলের সম্মুখে উপস্থিত করেন। তিনি বলেন, প্রতিমাহুষের জীবনকেই দুই ভাগে বিভক্ত করা উচিত। এক ভাগে তিনি সকল দিক্ দিয়া অর্জন করিবেন, অন্য ভাগে তিনি দেশের হিতার্থে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করিবেন।” মিঃ বক্‌ এই বিষয়ে উক্ত পত্রিকাতে একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন । তাহাতে তিনি বলিতেছেন,— · “ন, আমি মনে করি না যে আমার মত ভুল । [ তাহার এক সমালোচক ] মিঃ ফ্রাঙ্ক বলেন, দেশহিতৈষণায় কেবলমাত্র প্রীতি-উপহার লাভ হয় ; তাহ নয় । অলপ্ত তাহাও পরে জুটিতে পারে। কিন্তু উহ পার্থিব খেলনা মাত্র। ইহা অপেক্ষা গভীরতর এবং উচ্চতর পুরস্কার তাহার জন্ত আছে, যিনি বিষয়কৰ্ম্মে বিবিধ প্রসঙ্গ—আধুনিক বানপ্রস্থ . 臀 Ae MMAMMeA MMA MeMMAeMMMeeeMMAe MMAeMAeee MMMMeeA AMA AMAeeMeMAAAM AAAA S AAAAA AAAA AAAAM MAM MeMM MAM AA AM MMM MMM MMSMS ASMMAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAAA • asis অতৃপ্ত হইয়া নিজেকে কামনগ্রাণে জনসেবা নিয়োজিত করেন। তিনি আপনার কথা জুলিয়া যান, এবং পুরস্কারের প্রত্যাশ করেন না । তিনি বেকাজ করিতেছেন, তার ফল পাইবেন, এ আশাও তাহার থাকে না । নিঃস্বার্থ পরোপকারের ফলে যে পরিপূর্ণ তৃপ্তি, তাহাই তাহার পুরস্কার। কিন্তু নিক্সে অনুভব না করিলে, ইহা যে কি, তাহা বর্ণনা করিয়া বুঝান যায় না । এবং বোধ হয় এই খানেই আমার এবং মিঃ ফ্রাঙ্কের ভিতর পার্থক্য । তিনি কেৱল মতামতের দিক হইতে কথা বলিতেছেন, আমি অভিজ্ঞতালন্ধ কথা বলিতেছি ।” জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত কেবল রোজগারের চেষ্টাই করা, কোন দেশেরই আদর্শ হওয়া উচিত নয়। অবশ্য অনেক লোক দারিদ্র্য ও সঞ্চয়ের অভাববশতঃ তাহা করিতে বাধ্য হন ; কিন্তু যাহার খরচ চলিবার মত সঞ্চয় করিয়াছেন, জনসেবায় তাহীদের সমস্ত শক্তি ও সময় নিয়োগ করা উচিত। উত্তরাধিকার দুই-প্রকার, বংশানুক্রমিক ও সামাজিক । অর্থাৎ আমরা কতকগুলি গুণ ও শক্তি পিতামাতা ও অল্প পূৰ্ব্বজগণের নিকট হইতে পাই, এবং অন্ত অনেক জ্ঞান, গুণ ও শক্তির জন্য আমরা সাক্ষাৎ বা পরোক্ষভাৰে সমাজের নিকট ঋণী। যাহারা সভ্যদেশে জন্মিয় প্রাপ্তবয়স্ক হইবার পর কৃতী ও যশস্বী হইয়াছেন, তাহদিগকে যদি জন্মের পরই কোন অসভ্য দেশে অসভ্য জাতির মধ্যে রাখিয়া দেওয়া হইত, তাহা হইলে তাহারা খুব প্রতিভাশালী বংশে জন্মিলেও, যেরূপ কৃতী ও যশস্বী হইয়াছেন, তাহা হইতে পারিতেন না। প্রতিভার স্ফুরণ জন্ত শিক্ষণ চাই, যোগ্য লোকদের সংসর্গ চাই, মনের সহিত মনের সংস্পর্শ ও সংঘর্ষ চাই, জ্ঞানলাভের ও আহরণের জন্য পুস্তকসংগ্রহ, বিজ্ঞানমন্দির, ইত্যাদি চাই। এই সকলের জন্ত আমরা সমাজের নিকট ঋণী। আমরণ রোজগার করিতে থাকিলে, কিম্বা স্বখের লালসায় ঘুরিয়া বেড়াইলে, এই ঋণ শোধ করা যায় না। বাহার এই ঋণ শোধের চেষ্টা করেন এবং কিঞ্চিৎ পরিমাণেও শোধ করিতে পারেন, তাহারা নরোত্তম ।