পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵:: . . . . . . তাহার সহিত উপাসনা করিতে ডাকা হয় । কিন্তু তিনি মুসলমান সুইস গাড়োয়ান, ঝাড়ুদার, খানসাম, সবাইকে ডাকিতে বলিলেন এবং সকলের সহিত একত্র ভগবানের আরাধনা করিলেন। তা ছাড়া, আহার ব্যবহার এবং ঔৰাহিক সম্বন্ধও সকল মুসলমানের সহিত সকল মুসলমানের হইতে পারে। ইসলামিক শরীরের মানে আমরা এইরূপ বুঝি স্বামী বিবেকানন্দ কথাগুলি অন্ত কোন অর্থে ব্যবহার করিয়া থাকিলে, তাহা তাহার সন্ন্যাসী ও গৃহী শিষ্যেরা বলিতে পারিবেন। কেনিয়ার কথা পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়ায় ভারতীয়ের যাতায়াত ও বাণিজ্য কয়েক শত বৎসর আগে হইতে করিয়া আদিতেছে । তখন ইংরেজরা যেখানে যায় নাই, ভারতবর্ষে ইংরেজ-রাজত্বও স্থাপিত হয় নাই । ভারতীয়রা ঐ-দেশকে সভ্য লোকদের বসবাসের উপযোগী করিবার জষ্ঠ নানাপ্রকার চেষ্টা করিয়াছে। অবশ্য লাভ ও রোজগারের জন্য করিয়াছে, নি:স্বার্থ নর-সেবার জন্য : করে নাই । তাহার পর ইংরেজ জাতির প্রভুত্ব তথায় স্থাপ্লিত কৃরিবার জন্যও ভারতীয়ের নানাপ্রকারে সাহায্য করিয়াছে। তাহার পুরস্কার স্বরূপ এখন ইংরেজরা কেনিয়াতে ভারতীয়দিগকে নিরুষ্ট স্থানে আবদ্ধ রাখিতে, নিকৃষ্ট পদবী দিতে এবং পরে সেখান হইতে একেবারে তাড়াইয়া দিতে প্রতিজ্ঞা করিয়াছে। ইহাতে বিস্মিত হুইবার কোন কারণ নাই। ইহাই পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যিক নীতি । ত্রিটিশ সাম্রাজ্যের তরফ হইতে প্রকাশিত একটি দলিলে লেখা হইয়াছে, “কেনিয়া একটি আফ্রিকার দেশ, এখানে আফ্রিকানদের স্বার্থই সৰ্ব্বাগ্নে দেখিতে । হইবে। ব্রিটেনের বিধিনির্দিষ্ট কাজ ( "mission” হইতেছে আফ্রিকানদিগকে রক্ষণ করা ও তাঁহাদের উন্নতি সাধন করা। . আমরা (ইংরেজরা) উহাদের ট্রাটি, তাহাদের মঙ্গলসাধনের ভার আর কাহারও উপর দিতে পারি না ।” - এই কথাগুলি তণ্ডামির চূড়ান্ত। তাহার প্রমাণ 4वांगी-छांज, లిలీe t२०ण छां★, •न १७ দিতেছি। কেনিয়ার ইউরোপীয় অধিবাসীর সংখ্যা ৯৬৪১ এবং আফ্রিকানদের সংখ্যা পঁচিশ লক্ষেরও উপর । , অথচ, ম্যাঞ্চেষ্টার গার্ডিয়ানের কথায়, এক হাজারেরও কম ইউরোপীয়েরা তথায় ১১• • • বর্গ মাইল জমি পাইয়াছে, কিন্তু কোন আফ্রিকানেরই এক বিঘা জমিরও মালিক হইবার জো নাই। তাহাদিগকে ক্রীতদাসের মত পূৰ্ব্বে মজুরী করিতে বাধ্য করা হইত। তাহাতে তাহাদের লোকসংখ্যা শতকরা ২১ জন কমিয়া যায় । ইহার মানে যে কিরূপ অত্যাচার তাহ পাঠকেরা অনুমান করিয়া লউন। এখন.জোর করিয়া তাহাদিগকে খাটাইবার আইন নাই বটে, কিন্তু অন্ত প্রকার আইন দ্বারা তাহাদিগকে শাদা লোকদের মজুরী করিতে বাধ্য করা হয়, এবং মজুরীর বেতনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তাহারা ট্যাক্স: রূপে দিতে বাধ্য হয়। কালা আদমীদের শাদ আদমীর গোলামী ছাড়িয়া পলাইবার জো নাই। একটা আইন করা হইয়াছে, যাহার জোরে পলাতককে ধরিয়া ফৌজদারী সোপর্দ করা যায়, এবং যে শাদ আদমী কোন কালা আদমীকে ধরিয়া আদালতের হাতে দেয়, সে তাহার মোকদ্দমা আদির খরচটা আদালত হইতে পায় ! প্রত্যেক আফ্রিকান পুরুষকে আইন দ্বারা রেজিষ্ট্রীভূক্ত করা হইয়াছে ; মৃতরাং কাহারও নিষ্কৃতি নাই। প্রত্যেক পুরুষকে রেজিষ্ট্রির চিহ্নস্বরূপ একটি ছোট ডিবা মাদুলীর মত করিয়া পরিতে হয়। তাহাতে একখানি কাগজে তাহার রেজিষ্টিভুক্ত হওয়ার নমুন্ধস্বরূপ একটি কাগজ থাকে। তাহাকে পাস বলা হয় । এই পাসে লেখা থাকে, যে, সে কয়বার কোন শাদ মনিবের মজুরী ছাড়িয়া পলাইয়াছিল। ইহার সহিত ক্রীতদাস-রাখা প্রথার তফাংটা বুঝিতে হইলে স্বল্প গবেষণার প্রয়োজন। যাহা হউক, এই প্রকারে ব্রিটিশজাতি আফ্রিকানূদিগকে উচ্চতর . মানসিক, নৈতিক ও জার্থিক স্তরে উন্নীত করিবার নিমিত্ত শিক্ষা দিবার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত তাহাদের বিধি-নির্দিষ্ট *fs ofton (“the mission of Britain is to work continuously for the training and education of Africans towards a higher intellectual, moral and economic level”) i fafațatfsą się