পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যম্ শিবমূ সুন্দরমূ” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” ২শুশ ভাগ | ১ম খণ্ড আশ্বিন, ! ృ\లి లిం | ৬ষ্ঠ সংখ্যা গোতমের তপস্যা বাল্যকাল হইতেই গোতমের প্রাণ ধৰ্ম্মপ্রবণ ছিল। এক স্থলে তিনি নিজেই বলিয়াছেন যে গার্হস্থ্য অবস্থাতেই তিনি অনেক সময়ে ধ্যানে নিমগ্ন হইয়া থাকিতেন (মজঝিম-নিকায়, ৩৬, মহাসচ্চক স্বত্র ) । গৃহ ত্যাগ করিবার পরে তিনি কি ভীষণ তপস্য। করিয়াছিলেন, তাহা মজ ঝিম-নিকায় নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে । তাহার বয়স যখন ৮০ বৎসর তখন সেই বিষয়ে তিনি সারিপুত্রকে নিজ তপস্যার বিষয়ে অনেক কথা বলিয়াছিলেন । তাহারই অংশবিশেষ নিম্নে অনূদিত হইল। - চতুরঙ্গ ব্রহ্মচৰ্য্য গোতম সারিপুত্রকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন— “হে সারিপুত্ৰ ! আমি স্বীকার করিতেছি যে আমি চতুরঙ্গ ব্রহ্মচৰ্য্য প্রতিপালন করিয়াছি। আমি তপস্বী ছিলাম এবং পরম তপস্বীই ছিলাম। আমি রুক্ষ ছিলাম এবং পরম রুক্ষ ছিলাম। আমি জুগুঙ্গিত ছিলাম এবং পরম জুগুন্সিত ছিলাম। আমি প্রবিবিক্ত ছিলাম এবং পরম প্রবিবিক্ত ছিলাম।” "غيني তপস্বী “হে সারিপুত্র! আমার তপস্যা এইপ্রকার ছিল – “আমি বিবস্ত্র, মুক্তচার এবং হস্তাবলেহক ( যে হস্ত অবলেহন করে ) ছিলাম। ভিক্ষাকালে যদি কেহ বলিত ‘হে ভদন্ত এস’, ‘হে ভদন্ত দাড়াও, আমি তাহ শুনিতাম না। যদি কেহ আমার নিকট অtহাৰ্য্য লইয়। আসিত, বা আমার উদ্দেশে আহার প্রস্তুত করিত, বা আমাকে নিমন্ত্ৰণ করিত, তাহা আমি গ্রহণ করিতাম না । কুম্ভমুখ বা কলোপীমুখ হইতে কখন ভিক্ষাগ্ৰহণ করিতাম না ; এড়ক বা দণ্ড বা মুসলের নিম্ন হইতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতাম না। দুজন ভোজন করিতেছে এমন স্থল হইতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতাম না, গর্ভিণী বা স্তন্তদাত্রীর নিকট হইতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতাম না । অভ্যাগত লোকের নিকট হইতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতাম না । যে স্থলে কুকুর রহিয়াছে, যে স্থলে মক্ষিকা ভন্‌ভন্‌ করিতেছে, সে-স্থল *হইতে ভিক্ষা গ্রহণ করিতাম না। “আমি মৎস্য বা মাংস বা স্বরা বা মৈরেয় বা তুযোদক গ্রহণ করিতাম না ।