পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مoو ുറയ്ക്കേ “এক গৃহে এক গ্রাস অন্ন গ্রহণ করিতাম, দুই গৃহে দুই গ্রাস অন্ন গ্রহণ করিতাম, সপ্ত গৃহে সপ্ত গ্রাস অল্প গ্রহণ করিতাম এক স্থানের দানে জীবনযাপন করিয়াছি, দুই স্থানের দানে জীবনযাপন করিয়াছি। সপ্তস্থানের দানের উপর জীবনযাপন করিয়াছি। দিনে একবার আহার করিয়াছি, দুই দিনে একবার অtহার করিয়াছি, সাত দিনে একবার আহার করিয়াছি ; এইরূপ অৰ্দ্ধমাসে একবার মাত্র ভোজন করিয়া বিহার করিয়াছি । “শাক ভক্ষণ করিতাম, শু্যামাক ভক্ষণ করিতাম, নীবার ভক্ষণ করিতাম, দর্দুল ভক্ষণ করিতাম, হিট ভক্ষণ করিতাম, ফেন ভক্ষণ করিতাম, পিণ্যাক-থৈল ভক্ষণ করিতাম, তৃণ ভক্ষণ করিতাম, গোময় ভক্ষণ করিতাম। বন্য মূল ও ফল আহার করিতাম। বৃক্ষপতিত ফল আহার করিতাম । “শোণ বস্ত্র ধারণ করিতাম ; শ্মশানের বয়, শবদূষিত বস্ত্র, পাংশুকুলস্থ-বস্ত্র ধারণ করিতাম। তিরটী-বন্ধল ধারণ করিতাম। অজিন ধারণ করিতাম, অজিন হইতে প্রস্তুত বঙ্কল ধারণ করিতাম। কুশচীর, বল্কলচীর, ফলকচার, কেশ-কম্বল, বাল-কম্বল ও উলুক-পক্ষ ধারণ করিতাম। কেশ-শ্মশ্ৰ নিৰ্ম্মলকারী ছিলাম-কেশ ও শ্মশ্ৰ তুলিয়। ফেলিতাম ।

  • সমুদায় আসন ত্যাগ করিয়া দণ্ডায়মান থাকিতাম, উংকুটাসনে উপবেশন করিয়া "উৎকুটক' তপস্যা করিতাম । কণ্টকশয্যাশায়ী ছিলাম, কণ্টকশয্যায় শয়ন করিতাম । फुजैबबाई স্বান করিবার জন্ত সায়াহ্নে উদকে অবগাহন করিতাম। এইরূপে নানাপ্রকারে দেহকে তাপসন্তপ্ত করিয়া বিহার করিতাম। আমার তপস্যা এইপ্রকার ছিল।”

পরম রক্ষ “আমি রুক্ষ' আচরণ করিতাম। বহু বৎসরের ধূলি ও মল দেহে সঞ্চিত হইয়া খসিয়া পড়িত—যেমন তিন্দুকবৃক্ষের স্বাণু হইতে সঞ্চিত মলা ও বন্ধলাদি নিপতিত হয়। তখন ইহা মনে হইত না যে আমি নিজে এই ধূলি ও মলা পরিমার্জন করিতে পারি, কিংবা অপর কেল্লাহও ইহা পরিমার্জন করিয়া দিতে পারে-হে সারিপুত্ৰ ! প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩s• । مایع می بیمه مییابی AMAMM MA AMM MMA AMA AM MMA AA MAM MMAAA AAAA AAAA AAASS আমার মনে এ-প্রকার কোন ভাবই আলিত না। হে সারিপুত্র! আমি এইপ্রকার কক্ষ আচরণ করিতাম।” পরম জুগুপস “হে সারিপুত্র! আমি এইরূপে জুগুপসাপরায়ণও ছিলাম । অভিক্রমণ ও প্রতিক্রমণের সময়ে আমি স্মৃতি • মান হইয়া থাকিতাম। উদকবিন্দু দেখিলেও আমার প্রাণে দয়ার উদ্রেক হইত, মনে হইত ইহার মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী রহিয়াছে, তাহাদিগের যেন কোন অনিষ্ট ন । করি। হে সারিপুত্র! আমি এইরূপ জুগুপ্ৰসাপরায়ণ ছিলাম।” সম্ভবত: এস্থলে “জুগুপূসা' শব্দের অর্থ “দয়া” । পরম প্রবিবিক্তি “হে সারিপুত্ৰ ! আমি এই প্রকারে বিবিত্ত-দেশসেবী ছিলাম। হে সারিপুত্র! আমি বনভূমিতে প্রবেশ করিয়া বিহার করিতাম। হে সারিপুত্র ! যেমন অরণ্যচর মৃগ মনুষ্য দর্শন করিয়া, বন হইতে বনে, গহন হইতে গহনে, নিম্ন হইতে নিম্নতর স্থানে, উচ্চ স্থল হইতে উচ্চতর স্থলে গমন করে, হে সারিপুত্র! আমিও তেমনি গোপালক বা পশুপালক বা তৃণহারক, বা কাষ্ঠহারক বা বনকৰ্ম্মী দর্শন করিয়া, বন হইতে বনে, গহন হইতে গহনে, নিম্ন স্থল হইতে নিম্নতর স্থলে এবং উচ্চ স্থল হইতে উচ্চতর স্থলে গমন করিতাম। এ-প্রকার কেন করিতাম ? এইজন্য, যে তাহারা যেন আমাকে দর্শন না করে এবং আমিও যেন তাহাদিগকে দর্শন না করি। আমি এই-প্রকারে বিবিত্ত প্রদেশ সেবা করিতাম।” 爭 ভক্ষণ “হে সারিপুত্র! যখন গোষ্ঠ হইতে গাভী ও গোপালকগণ চলিয়া যাইত, তখন পাত্রহস্তে গমন করিয়া দুগ্ধপায়ী তরুণ বংসগণের গোময় আহরণ করিতাম। ইহাতে আমার যে মূত্র ও পুরষ উৎপন্ন হইত, তাহাও ভোজন কারতাম। হে সারিপুত্র! আমি এইরূপ মহা বিকট ভোজন করিতাম।”