পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۶يریخيه छांदांग “হে সারিপুত্ৰ ! আমি ভীষণ বনভূমিতে গমন করিয়া বিহার করিতাম। হে সারিপুত্র ! সেই বনভূমিতে রিষম ভীতির উন্ত্রেক হয় ; যাহারা বীতরাগ হয় নাই, সেই বনভূমিতে প্রবেশ করিলে তাহাদিগের লোমহর্ষণ হয়। “হে সারিপুত্র! যখন হেমন্তকালে রাত্রিতে হিমপাত হুইত, সেই-প্রকার রজনীতে উন্মুক্ত স্থানে বিহার করিতাম, আর দিবাভাগে বনে প্রবেশ করিতাম । ইহার পরে গ্রীষ্মকালে দিবাভাগে উন্মুক্ত স্থানে থাকিতাম এবং রাত্রিকালে থাকিতাম বনভূমিতে। তখন অশ্ৰ পূৰ্ব্ব এই গাথা আমার মনে প্রতিভাত श्श्रांछ्णि “ তিনি ( খ্ৰীষ্মকালে) উত্তপ্ত (শীতকালে ) গীতাৰ্ত্ত, তিনি একাকী ভীষণ বনে বাস করেন ; তিনি নগ্ন, অনগ্নি, আসীন ; তাহার মন স্বপ্রতিষ্ঠিত ; তিনিই মুনি।’ ” উপেক্ষা-সাধন “ হে সারিপুত্ৰ ! শ্বশানে শবাস্থিসমূহের উপরে শয়ন করিতাম। গোপাল বালকগণ সেই স্থলে অভ্যা ींद्र দেহে নিষ্ঠীবন ও মূত্র ত্যাগ করিত, ধূলি নিক্ষেপ করিত এবং কর্ণবিবরে শলাকা প্রবেশ করাইয়া দিত। হে সারিপুত্ৰ ! তখনও তাহাদিগের বিরুদ্ধে আমার মনে পাপচিন্তা আসিত না । হে সারিপুত্ৰ ! আমি এইরূপে উপেক্ষা-ভাব সাধন করিতাম ।’’ দেহঙ্গয় “হে সারিপুত্ৰ ! অনেক শ্রমণ ও ব্রাহ্মণ এই মত পোষণ করে এবং এই-প্রকার বলিয়া থাকে— ‘আহারেই শুদ্ধিলাভ।’ তাহারা বলিয়া থাকে— 'একমাত্র কোল-ফল দ্বারাই জীবন ধারণ করিব’ এবং তাহারা কোল-ফলই ভক্ষণ করে, কোল-চুর্ণই ভক্ষণু, কোলোদকই পান করে এবং নানা-প্রকার কোলময় খাদ্য গ্রহণ করে। হে সারিপুত্র । আমিও একটিমাত্র কোলফল আহার করিতাম। হে সারিপুত্র ! তোমার মনে এইপ্রকার চিন্তা আসিতে পারে, যে, সে-সময়ের কোল-ফল প্রকাও ছিল । হে সারিপুত্র । তাহা নহে, এখন কোল-ফল গোতমের তপস্যা جیسN-عه વંડ, هایی حیحیی گشته جینه যে-প্রকার, সে-সময়ের কোল-ফলও সেই-প্রকার ছিল। আমি এই-প্রকার একটি কোল-ফল জাহার করিতাম।” এস্থলে গোতম কোল-ফলের বিষয়ে যে-প্রকার বর্ণনা করিয়াছেন, ইহার পরে মুদ্রগ, তিল, ও তণ্ডুলকণ বিষয়েও ঠিক সেই-প্রকার বলিয়াছেন। এক সময়ে কেবল মুগই ভক্ষণ করিতেন, কিছুদিন কেবল তিলই ভক্ষণ করিতেন এবং কখন বা ভক্ষণ করিতেন কেবল তণ্ডুল। তিনি যে ভক্ষণ করিতেন, তাহাও কেবল একটি কণা | এই-প্রকার বর্ণনা করিবার পরে তিনি সারিপুত্রকে এইরূপ বলিয়াছিলেন :-- “এই-প্রকার আহারে আমার দেহু অত্যধিক শীর্ণ হইয়া গিয়াছিল । অল্পাহারে আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ— ‘আগীতিক’ পৰ্ব্ব বা ‘কাল’ পর্বের স্কায় ( অর্থাৎ নলজাতীয় উদ্ভিদের স্কায় ) বিশুষ্ক হইয়াছিল। অল্পাহারে আমার নিতম্ব উষ্ট্রক্ষুরের ন্যায় কঠিন হইয়াছিল। অল্পাহারে পৃষ্ঠদও রজ্জ্বর ন্যায় উন্নতাবনত হইয়াছিল। যেমন জীর্ণ গৃহের ‘গোপানলী'সমূহ (অর্থাং আড়কাঠাগুলি ) ‘ওলুগগা লিলুগ গা” অবস্থায় (অর্থাৎ ভগ্ন অবস্থায়) পরিদৃষ্ট হয়, অল্পাহারের জন্য আমার দেহের পাশ্বাস্থিসমূহও তেমনি পরিদৃষ্ট হইত। “যেমন গভীর কূপে নিম্নগত জল কচিৎ দৃষ্টিগোচর হয়, অল্পাহারের জন্য তেমনি আমার অক্ষিকুপের অক্ষিতারকা কোটরগত হইয়া প্রায় অদৃশুই হইয়া গিয়াছিল। "আম-অলাবু' ( কাচা লাউ) ছিন্ন অবস্থায় পড়িয়া থাকিলে যেমন বায়ু ও আতপে শুষ্ক ও সঙ্কুচিত হইয় যায়, তেমনি অল্পাহারে আমার মন্তকের চর্ণ শুষ্ক ও সঙ্কুচিত হইয়া গিয়াছিল। আমি যখন উদরের চৰ্ম্ম স্পর্শ করিতাম, তখন পৃষ্ঠদেশের অস্থি হস্তসংলগ্ন হইত। আবার যখন পৃষ্ঠদেশের অস্থি স্পর্শ করিতাম যখন উদরের চৰ্ম্ম হস্তসংলগ্ন হইত। অল্পাহারে উদরের sর্ণ পৃষ্ঠদেশের অস্থিতে সংলগ্ন হইয়া গিয়াছিল। যখন মল-মূত্র ত্যাগ করিতে যাইতাম, তখন অল্পাহার-বশতঃ কুজ হইয় পড়িয়া যাইতাম। সেই বেদনা প্রশমনের জষ্ঠ যুখন সেই অঙ্গে হস্ত সঞ্চালন করিতাম তখন সেই عيجه. وعند