পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭૪ - SAMAMAMAMMM MS MSAM AAAAA

  • ^^&

ওঃ ! কত মিষ্টি হ'বে আমার এই একফোটা বৌদির ভালোবাসা । “দাদার সামনে ঘোমটা দিয়ে তিনি যখন বসে থাকৃবেন, আমি তখন দূর থেকে মুচকি হেসে ঘোমটার ফাক দিয়ে তার মুখপানে চাইব। তিনি যখন আপনাকে একূল পেয়ে মাথার কাপড় ফেলে চুলগুলো এলিয়ে আপন মনে একটা কিছু ভাবতে থাকবেন, আমি তখন পিছন থেকে চুপিচুপি পা ফেলে এসে দুহাত দিয়ে খপ ক’রে র্তার নীল চোখ দুটো ধরে ফেলবো। যখন রায়-বাড়ীর মোক্ষিমাসী, বোস-বাড়ীর বিন্দি পিসি, সেন-বাড়ীর কাজলী মামী—এরা সবাই এসে আমার নতুন বৌদিকে ঘিরে ধীরে তঁকে নানান কথা জিজ্ঞেস করবেন— আর বৌদ্ধি ঘোমটার তলে মুখ নীচু ক'রে কেবল মাথা নেড়ে কথার উত্তর দিতে থাকৃবেন—আমি তখন ডাকাতের মতন হঠাৎ কোথেকে এসে ঘোমটা খুলে সবার সাম্নে তার মুখ তুলে ধরব । তার পর আড়ালে এসে যখন বৌদি বলবেন—যাও ঠাকুরপো ! তুমি বড় দুই –আমি তখন সী করে বেদিকে কাধে • তুলে ছুটে গিয়ে একবারে মায়ের কাছে হাজির হ’ব, বলবো —“দেখ ত মা ! বৌদি আমায় দুষ্ট বলে।’ - বৌদির সম্বন্ধে এমনি ধারার শত সহস্র আনন্দ-কম্পিত নিঃশব্দ ভাবনা প্রাণ-মনে পুলক লাগাইয়া সারাবেল ভরিয়া আমার বুকের মধ্যে আনোগোনা করিতে লাগিল । বড় মুখেই সারাটা ট্ৰিন কাটিল। সন্ধ্যাবেলায় কাকা বাসায় ফিরিলেন । র্তাহীকে চিঠি দেখাইলাম। তিনি পত্র-পাঠাস্তে বলিলেন—“আচ্ছ। পশুদিন রওয়ানা হওয়া যাক ৷” সারারাত্রি আমার ঘুম হইল না । খোলা জানালার মধ্য দিয়া জ্যোৎস্নালোকিত আকাশ দেখা যাইতেছিল । - তাহার পানে চাহিয়া মনে হইতেছিল বিবাহের রাত্রে এমনি পরিপূর্ণ আকাশের তলে মিলনের সিংহাসনের উপর দাদা ও বৌদি বসিবেন আর ঠিক এমনি জ্যোৎসার মতই স্নিগ্ধ চাহনিতে স্বন্দর শুভদৃষ্টি ভরিয়া o বৌদি দাদার পানে চাহিবেন। কি সুন্দর হইবে ६ ८गरॆ पृथ् । আশ্বিন, ১৩৩e [ २०* छांग, s* १७ ( ò ) भाईष बांश भूष cवनी कब्रिश sांब डाश श्रेण्ड ऊांशंरक बक्षिऊ श्हे८उद्दे श्रव-७ ८यांश ट्ब्र श्रेश्वद्रव्रब्र অখণ্ডনীয় নিয়ম । দাদা-বৌদির মিলন দেখিতে আমার প্রাণে বড় সাধই জাগিয়াছিল, কিন্তু জানি না ভগবান কেন আমার সে সাধ পূর্ণ হইতে দিলেন না। যেদিন রওয়ানা হইব, কাকা সেদিন হঠাৎ জরে পড়িলেন । কাজেই আর যাওয়া হইল না । কাক যখন ভালে৷ হইলেন, তখন বিবাহের দিন চলিয়া গিয়াছে তথাপি আমি নিরস্ত হইলাম না। শুধু বৌদির মুখখানিই দেখিতে আমাদের দেশের এক ভদ্রলোকের সহিত বাড়ী রওয়ান হইলাম। সারাপথ ভাবিতে ভাবিতে চলিলাম-বাড়ী পৌছিয়া ঘরের পানে চাহিতেই দেখিব—বৌদি আমার ঘর আলো করিয়া বদিয়া আছেন। বাড়ীর কাছাকাছি আসিয়া কিন্তু আমার মনটা ভয়ানক খারাপ হইয়া গেল। আমাদের বাড়ীটা লোকজনের কোলাহল ও আনন্দোৎসবে সততই পূর্ণ থাকিত। কিন্তু তখন বাড়ীর দিকে চাহিয়া মনে হুইল যেন সেখানে কিসের একটা নিরানন্দ পরিবর্তন আসিয়াছে । সমস্ত বাড়ীময় যেন শ্ৰীহীনতা মূৰ্ত্তি ধরিয়া জাগিয়া রহিয়াছে। বাড়ী আসিলাম । উঠানে পা দিতেই আমার দিকে চাহিয়া মা আকুলস্বরে কাদিয়া উঠিলেন। আমি কিছু না-জানিয়া না-শুনিয়াই অবশ হইয়া মাটিতে বসিয়া পড়িলামন । তার পর যাহা শুনিলাম তাহাষ্ট্রোমার সমস্ত অস্তরে ক্ৰন্দন ফুকারিয়া উঠিল। শুনিলাম-আমার নুতন বৌদি পদ্মার জলে ডুবিয়া গিয়াছে। আমার বৌদির বাড়ী পদ্মাপারে। বৌদির থাকার মধ্যে ছিলেন, এক ম৷ ৷ তার মায়ের সঙ্গে আমার মায়ের ছেলেবেলাতে খুব ভাব ছিল। বৌদির মা কিছুদিন হইল ভয়ঙ্কর ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছিলেন । মেয়ের কি গতি হইবে ভাবিয়া-চিন্তিয়া কোনো কুল-কিনার না পাইয়া, তিনি অবশেষে আমার মাকে চিঠি লিখিয়া