পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • 翰 AM MAAA AAAA AAAA AAAAMMMMMMMMM M AAAA AAAA AMMAMM SMMA AMMMM MMMMMMAMMAMAMAMA AMMMMMMAeMMMMMMAMMMMMAMMMMMeMAMAAMA AMAMS

সকলের কাছে গোপন থাকিলেও, এ সংবাদ আমি আমার অস্তরতম অস্তরের মধ্যে অস্তুভব করিয়াছিলাম। সন্ধ্যাতারার চোখের দিকে চাহিয়া আমার চোখ নত হইয়া যাইত, মুখের দিকে চাহিয়া বুক ভরিয়া উঠিত। হাসির পানে চাহিয়া মনে হইত সংসারে আমার চাহিয়া দেখিবার সকল সুন্দর দৃপ্ত ঐ হাসির মধ্যে জমা হইয়া রহিয়াছে। তাহার সম্মুখে বসিয়া যখন তাহাকে পড়াইতে থাকিতাম তখন মনে হইত স্বর্গ তার সকল স্বর্থ-সম্পদসৌন্দর্য্য লইয়। আমার চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছে । বাসায় ফিরিয়া আসিয়া শূন্ত ঘরের শূন্ত বিছানায় যখন দেহটিকে এলাইয়া দিতাম, আমার চোখের কাছে তারই ছবিখানি চকিতে ভাসিয়া উঠিত । আমি নিৰ্ণিমেযনয়নে চাহিয়া দেখিতে দেখিতে বিহবল হইয়া পড়িতাম। ধীরে ধীরে আমার আঁখির পাতা মুদিয়া যাইত । তার পর দৃষ্টি আমার পরিপূর্ণ হৃদয়ের মধ্যে তলাইয়৷ যাইত। যতদূর দেখা যায় দেখিতাম আমার মন-প্রাণের ততদূর পর্য্যন্ত ‘সন্ধ্যাতারার কনক-দীধিতির কম্পিত চুম্বনে শিহরিয়া উঠিয়াছে। যাহাকে সমস্ত বুক দিয়া এমন কবিয়া ভালোবাসিয়াছি তাহারও প্রণয়-সঙ্গীতের ছন্দে ছন্দে যে আমার রাগিণীই গোপন ঝঙ্কার তুলিয়া আনন্দে কঁপিয়া উঠিয়াছে এ বরিতাও হৃদয়ের মধ্যে কুড়াইয়া পাইয়াছিলাম। সেই পাওয়াই আমার প্রেমের বেদনাকে আরও অধীর আরও মধুর আরও আনন্দময় কুরিয়া তুলিয়াছিল।

  • ( t ) কিন্তু যাহাকে ভালবাসি—তাহীকে পাইব কি না —এটা ভাবিতে গিয়া নিরাশ হইয়াই পড়িয়াছি। অবশু নিরাশ হওয়ার বিশেষ কোন কারণ ছিল না । তবুও কেন যেন আশা করিতে পারি নাই।

হয়ত ইহাই প্রেমিকের স্বভাব—সে যাহাকে ভালোবাসে, তাহাকে পাওয়ার অতবড় একটা স্বথ তাহার ধাতে কিছুতেই সহিবে না—আশা থাক বা না থাক—সৰ্ব্বস্থলেই ইহাই সে ভাবিয়া বসিবে। আমিও প্রেমিকের এই রীতি অনুসারে আগাগোড়। নৈরাশ্বেই ভাসিয়া চলিতেছিলাম। কিন্তু স্রোত হঠাৎ উজান বহিল । আমি সন্ধ্যাতারাকে অভাবনীয় রূপে প্লাইয়া গেলাম। সেদিন আকাশ জুড়িয়া মেঘ করিয়াছিল। বৃষ্টিও মাঝে মাঝে হইতেছিল। এমন দিনে নেহাৎ দায়ে না পড়িলে কেহ ঘর ছাড়িয়া বাহির হয় না। আমি বাহির হইলাম কারণ আমি প্রেমের দায়ে পড়িয়াছিলাম। বিশেষতঃ জরে পড়িয়া থাকার দরুন কয়েক দিন পড়াইতে যাওয়া হয় নাই। ● গিয়া দেখি ছাত্রী তখনও অতুপস্থিত। পথ চাহিয়৷ বসিয়া রহিলাম। অনতিকাল পরে একজন ঘরে ঢুকিলেন, কিন্তু তাহাকে দেখিয়া বুক জুড়াইল না, বারণ ইনি তিনি নন র্যার প্রতীক্ষা আমার ছনয়নের কানায় কানায় জাগিয়া রহিয়াছে। ইনি পাশের বাড়ীর সাত বছরের “কনকচাপ।” । সন্ধ্যাকে দিদি বলিয়া ডাকেন এবং দিদির পড়াইবার সময় রোজই একবার করিয়া এঘরে হাজির দিয়া যান। কনকচাঁপা মান মুখে বলিল—“সন্ধ্যাদির জর হয়েছে!” মনে মনে বলিলাম—“হবেই ত, প্রেমিকের হয়েছিল, প্রেমিক বাদ যাবেন কেন ? বাদ গেলে প্রেম জম্বে কি ক’রে ?” প্রকাশ্যে বলিলাম—“জর হয়েছে ? এখন কেমন ?” “এখনও পাচ ডিগ্রী জর ।” “চল একবার দেখে আসি ।” দেখিতে যাইবার জন্য চেয়ার ছাড়িয়া উঠিতেছি, দ্বারের দিকে চাহিয়া দেখি স্বয়ং তিনিই উপস্থিত, যাকে দেখিতে যাইব । মুখ-চোখ জবাফুলের মত লালে লাল হইয়া উঠিয়াছে, লুকাইয়া রাখার প্রাণপণ চেষ্টা-গঁ্যর্থ করিয়া সৰ্ব্ব দেহে । জরের কাপুনি শিহরিয়া উঠিতেছে! চমকিয়া চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম—“এ কি ! আপনি এলেন কেন ? ” “আমি পড়ব” দৃঢ়কণ্ঠে এই জবাব দিয়া সে সমূনের একখান চেয়ার টানিয়া বসিতে গিয়াই ধড়াস করিয়া নীচের কঠিন পাষাণের উপর হুমুড়ি গাইয়া পড়িয়া গেল । বিদ্যুৎবেগে ছুটিয়া গিয়া তাকে তুলিয়া ধরিয়া পাশের বিছানায় শোয়াইলাম।