পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সেন-মহাশয় মৃদু আৰ্ত্তকণ্ঠে বলিলেন—“তিনি ত মারা গেছেন।” উদয়-বাৰু শিহরিয়া উঠিয়াই বিহালের মত সেনমহাশয়ের মুখের দিকে চাহিয়া রছিলেন। কিছুক্ষণ পরে সহসা একটা তীব্ৰ আৰ্ত্তনাদ করিয়া মাটির উপর এলাইয়া পড়িলেন। ബ് میخیبر ʻ (v) কতখানি সময় যে তিনি ঐৰূপে পড়িয়া রহিলেন তাহা কেহ অনুভব করিতে পারিল না। ঘরের প্রতিটি প্রাণীই আচ্ছল্পের মত নিৰ্ব্বাক হইয়া বসিয়া রহিল। সকলেই আবার মাথা তুলিয়া চাহিল তখন, যখন মাতুল মহাশয় উদয়-বাবুকে প্রশ্ন করিয়া বসিলেন—“ত হ’লে মশাই কোথায় একে পেলেন ?” উদয়-বাবু প্রশ্নের কিছুক্লাল পরে মাথা তুলিয়া বেদনারক্তিম দৃষ্টিতে মাতুলের মুখের দিকে চাহিয়া করুণ কম্পিত স্বরে বলিয়া উঠিলেন—“অ্যা ? কি বলছেন ? কোথায় পেলুম ? ই সবই বলছি। তবে আমায় বুক বেঁধে নেবার আর-একটু সময় দিন।" বলিয়। মৌন হইলেন । মাতুল আবার আক্রমণ করিলেন—"নিজের দুঃখ নিজে স্বষ্টি করে নিলেন মশাই, এ দুঃখে ত কারো প্রাণ গলবে না। মশাই, যখন এ মেয়েকে পেলেন তখন কার মেয়ে খোজ না নিয়েই একে নিজের মেয়ে করে বসলেন কেন ? তখন যদি আমাদের মেয়ে আমাদের ফিরিয়ে দিয়ে যেতেন তাহ’লে এত গোল হ’তে পারভ নী—মশাই ত ত৷ করেন নি—এখন এক্টু ভুগতে হবে বই কি ?” উদয়বাবু মামার দিকে মুহূৰ্ত্তকাল চাহিয়া বোধ হয় বুঝিতে চেষ্টা করিলেন—এ লোকটা মানুষ না আর-কিছু। তার পর সেন-মহাশয়ের দিকে চাহিয়া কম্পিত গাঢ়স্বরে বলিতে লাগিলেন—“আর সম্ভবতঃ নয়, আপনাদের অনুমান নিশ্চয়ই সত্য । এ আমার বুকের মধ্যে থেকে কে যেন বলে’ দিচ্ছে, আমি কিছুতেই মনস্থির করতে পারছিনে। যাক, তবু সমস্তই খুলে বলছি—আপনার শুল্লুন।" বলিয়া একটুখানি থামিয়া আরম্ভ করিলেন*আমার বাড়ী পদ্মাপারে বাণহাটী গ্রামে । আমি বলকাতায় থেকে ডাক্তারি বাবুতাম, মাঝে মাঝে বাড়ী प्रीबि श्रृङ् . MeeMAMeMAeSAeMAAAA O 38, هجویی انتهایی خاصیت جیبی هجایی o TarunnoBot (আলাপ) ০২:০৯, ১১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)സ് സഞ്ഞു যেতাম। প্রায় বার বৎসর হ’ল একবার বাড়ী গিয়েছিলাম। - সেবার আমাদের গ্রামে ঘরে-ঘরে বসন্ত দেখা দিয়েছিল। হঠাৎ এক দিন রাত্রে আমার স্ত্রী সেই রোগে মারা গেলেন। যে রাত্রে তিনি মারা গেলেন সে এক ঝড়ের রাত্রি। ঝড়ের শেষে আমার স্ত্রীর মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গেলাম । স্ত্রীর দাহকার্য্য সমাধা করে ফিরে যাচ্ছি হঠাৎ জ্যোৎস্নালোকে অদূরে বালির উপর দৃষ্টি পড়ল। মনে হ’ল দুটো মামুষের মত কি যেন পড়ে' আছে। কাছে গিযে দেখি মাতুষই বটে। একটা কচি মেয়ে আর একটা বুড়ে লোক। মেয়েটাকে নেড়েচেড়ে বুঝলাম মেয়েটার জীবন তখনো আছে। কিন্তু বুড়োটি মরে গেছে। মেয়েটিকে বুকে করে বাড়ী এসে সেবাযত্নে বঁচিয়ে তুল্লাম—এই সেই মেয়ে।” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়া মামার দিকে ফিরিয়া আবার বলিতে লাগিলেন—“কিন্তু আপনি যে বলছেন খোজ নিই নি, খবর নিই নি—এ আপনার ভুল ধারণা। ওকে বাচিয়ে তুলেই ওর কে আছে না-আছে—ও কার মেয়ে, এ ংবাদ জানতে আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম, এমন কি গবরের কাগজে-কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম, কিন্তু ফল কিছুই হয়নি । যখন ওর বাপ-মা-আত্মীয়-স্বজনের কোনো সন্ধান হ'ল না, তখন অগত্যা ওকে নিজের মেয়েরূপে গ্রহণ করলুম। সংসারে আমার এক স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না—সে স্ত্রীও যখন মারা cાન– তখন ভাবন হয়েছিল-ভগবান আমায় কেন বঁাচিয়ে রাখলেন । এম্নি সময় অভাবনীয়রূপে ওকে পেয়ে গেলাম । তখন মনে হ’ল ভগবান হয়ত ওর জন্যই আমায় বঁচিয়ে রাখুলেন—তাই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে আমি ওকে নিজের মেয়ের জায়গায় স্থান দিলাম। ও আমার জীবনের সন্ধ্যাবেলায় আলো দিতে এসেছিল তাই নাম রাখলাম—“সন্ধ্যাতারা”। সেই থেকে একধোটা সন্ধ্যতার আমার স্নেহ-যত্বেই এত বড় হয়ে' উঠেছে।” বলিয়া একটু ধামিয়া থামিয়া ক্ৰন্দনজড়িত স্বরে বলিয়া উঠিলেন—“কিন্তু আমি যে ওর সর্বনাশ করতেই ওকে বাচিয়ে রাখছি—এ ত আমার ཝཱ་རཱ་ཝཱ་ཙ ১মনে হয়নি ৷”