পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ബ তার চোখে বৌদ্ভিৱ নকশা, মুখে বৌদির জাহান, যুকে বৌদির ডালোবাসা'! ' - আমি নিম্পলক-নয়নে সন্ধ্যার মাঝে বৌদির মূৰ্ত্তি দেখিলাম। দেখিতে দেখিতে বিহালের মত হঠাৎ কখন কাছে গিয়া বলিয়া ফেলিলাম,—“বোঁদি, আমি তোমায় প্রণাম করছি।” পদপ্রাস্তে মাথা নত করিতেই সন্ধ্যা—নিৰ্ব্বাকৃ নিস্তব্ধ সন্ধ্যা-চকিতে পা সরাইয়া লইয়। কয়েক পদ পিছাইয়া গেল। অদূরে মায়ের কণ্ঠস্বর শোনা গেল। আমি সম্মুখ হইতে সরিয়া আসিলাম । - ( ۰ د ') পাচ মাস হইল কলিকাতায় আসিয়াছি । কাক। নাই—কিন্তু আমার কাকীমা আছেন। তার বুকের মাঝে মুখ লুকাইয়া কাদিয়া কাদিয়া অনেকখানি জুড়াইয়া গিয়াছি। উদয়-বাৰু মারা গিয়াছেন । সেইদিনের সেই ঘটনা হইতে তিনি উন্মাদের মত হইয়া পড়েন। হঠাৎ একদিন হার্ট ফেল করিয়া মারা যান। সমস্ত বুক দিয়া আমার এই বন্ধুর মত, ভাইয়ের মত, পিতার মত, গুরুর মত ভদ্রলোককে ভালোবাসিয়াছিলাম । আমার সবই প্রায় শেষ হইয়। গিয়াছে। র্তাহার মৃত্যুতে ~ 0. প্রবাসী-আশ্বিন, OOHO AeMAMAMMAMAMMMMMMAMAMMM MAMAMeeMAMAM AA AMMMAMAMMAMAAMAMAMAMMAMMMAMAMAMAAAA মৃত্যুদীপ্ত মুখের পানে নিম্পলক নয়নে , থাকিলাম । { २७५.७ोग, »म ध७ দুপুর বেলায় কাকীমার পাশে বসিয়া ছিলাম । এমন সময় পিয়ন হাকিল “চিঠ ঠি”। পত্র লইয়া আসিয়া পড়িতে বসিলাম । মা লিখিয়াছেন—“সন্ধ্যাতারা মরতে বলেছে একবার আসিল ।” যখন বাড়ীর উঠানে পা দিয়াছি, তখন সন্ধ্যাতারার মৃতদেহ দুয়ারে নামানো হইয়াছে। মুখপানে চাহিয়া দেখিলাম—হাসিমাখা মুখ-ক্ষোভ নাই—দুঃখ নাই— ব্যথা নাই। পৃথিবীর সমস্ত তৃপ্তি সে মুখের উপর কে যেন ঢালিয়া দিয়াছে । . গলার উপর চোখ পড়িতেই দেখিলাম একটা শুষ্ক জীৰ্ণ মালা। মালা চিনিতে পারিলাম। বিবাহের প্রস্তাব হইলে কলিকাতায় পড়িবার ঘরে আমি তাহাঁকে সে মাল পরাইয়া দিয়াছিলাম । -- a চারিদিকের ক্ৰন্দন-কোলাহলের মাঝে দাড়াইয়া চাহিয়া হঠাৎ সেই জ্যোংস্কারাতের—বৌদি কেন মরে নাই-এ প্রশ্নের উত্তর-আজ এই মৃত্যুর অন্ধকারে পাইয়া গেলাম। কে যেন বলিল তোর বৌদি তোর জন্য মরিবে বলিয়াই মরে নাই। আমি জানিলাম—আমার বৌদি আমার জন্ত মরিবে বলিয়াই মরে নাই । শ্ৰী হেমন্তকুমার বন্ধ

  • নিদ্রাহার

রূপার থালে জলিয়ে পয়ে কপূরেরি বাতি, কাহার লাগি নিদ্রা-হারা তুমি নীরব রাতি ? নীলাম্বরীর আঁচল-’পরে সাজাও, নারী, কাহার তরে আমন করে থeে-থরে মোতির মালা গাথি’ ? ওই স্ব-দূরের ছায়া-পথে ওই অসীমের গায় আসচে কি সে তোমার প্রিয় & নূপুর-পরা পায় ? সেই নুপুরের আভাস পেয়ে আছ বুঝি আকুল চেয়ে, ব্যাকুল বুকের র্কাপন লেগে বাতাস কাপে হায় ! রূপার থালে জালিয়ে খুয়ে কপূরেরি বাতি, কাহার লাগি নিদ্রা-হারা তুমি নীরব রাতি ? শাদা মেঘের মতন দূরে উত্তরী ও কাহার উড়ে ; নীহার-ভরা oতোমার হর্ষাবেগে কাদি । ঐ রাধাচরণ চক্রবর্তী