পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಆಕಿ সংখ্যা ] অভাব পুরণের জষ্ঠ সাত সমুদ্র তের নদীর পারে কোন দেশ আছে তাহার উপর নির্ভর করিতে বাধ্য হয়। এই রকম পরস্পর নির্ভরতার জন্যই প্রত্যেক প্লুেশে উচ্চ সামাজিকত ও জাতীয় একতার ভাব জাগিয়া উঠিয়াছে। আন্তর্জাতিক ঐক্যের কথাও শুনিতে পাই। বাণিজ্যজগতে স্বাস্তর্জাতিক বাণিজ্য তো আজ স্বপ্রতিষ্ঠিত। আমরা ভারতবাসী শিশুর খেলন হইতে আরম্ভ করিয়া . পরিবার কাপড়খানার জন্য পৰ্য্যন্ত বিদেশের দিকে তাকাইয়া থাকি ; আবার বিলাতের লোক খাদ্যের জন্য ভারতের ও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভর করে। এই রকম প্রায় সকল দেশেই । ھجمی* (8) বিনিময়ে অর্থের প্রচলন ও শ্রমবিভাগের ফলে যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলিতেছে তাহাতে স্থবিধা আছে অনেক, কিন্তু অন্ধবিধাও আছে ঢের। এই-সব অসুবিধার মধ্যে একটা অস্থবিধার কথা একটু সবিস্তারে বলিব, কারণ . অাজ কয়েক বৎসর খাবং আমাদের দেশে উহা একটি মস্ত সমস্যা হইয় দাড়াইয়াছে এবং তজ্জন্তু আমাদের ক্ষতিও যে না হইতেছে তাহা নহে। পৃথিবীময় আজকাল অর্থের প্রচলন হুইয়াছে বটে, কিন্তু সকল দেশেই একই রকম অর্থ চলে না । একদেশে ব্যবহৃত অর্থ অন্যদেশে অর্থরুপে ব্যবহৃত হয় না। আমাদের দেশে চলে রূপার টাকা, বিলাতে প্রচলন স্বর্ণমুদ্রার। আমাদের দেশে জিনিষের দাম হিসাব করি টাকা আন পয়সায় ; আর বিলাতে জিনিষের দাম হিসাব হয় পাউণ্ড,শিলিং পেন্সে। কাজেই ইংলণ্ড হইতে যদি আমরা কোন জিনিষ ক্রয় করি, তাহা হইলে উদ্বার 'বিক্রেতা দাম চাহিবে পাউণ্ড, শিলিং পেন্সে। কারণ সে আমাদের দেশের টাকা আন পয়সা মূল্যস্বরূপ গ্রহণ করিবে না। অামাদিগকে বাধ্য হইয়া আমাদের দেশের টাকা দিয়। ইংলণ্ডের অর্থ কিনিয়ু ক্রীত জিনিষের দাম পরিশোধ করিতে হয়। তাহারাও যখন ভারতবধ হইতে . মাল ক্রয় করে তখন তাহাদের দেশের অর্থ দিয়া আমাদের দেশের রূপার টাকা কিনিয়া তবে মালের দৃমি শোধ দেয়। কিন্তু কয়টি টাকার বিনিময়ে ইংলণ্ডীয় মুদ্র ( সভারেন বিনিময় ও हैकत्र বাজারে বিনিময়-স্থার SAM eAMMMAMAM AMAMAMMMeAMAAAA ኧ8ጳ ইত্যাদি ) কয়টি পাওয়া যাইবে তাহা সব সময় ঠিক থাকে না। এই যুদ্ধের পূৰ্ব্বে ১৫ টাকায় এক পাউও পাইতাম, যুদ্ধের পরে এক সময় পাউণ্ডের দাম ৬৮০ ছিল । এখন প্রায় ১৫টি টাকা দিলে তবে এক পাউণ্ড পাওয়া যায়। fiftwo oth (rate of exchange) of to go দেশের অর্থের দ্বারা অপর দেশের কি পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাইবে তাহাই বুঝায়। আমাদের দেশের টাকার বিনিময়ে অপর দেশের অর্থ কি পরিমাণ পাওয়া যাইবে তাহা নিরূপণ করিলে টাকার বিনিময়ের হার অথবা টাকার বিনিম-মূল্য কত তাহা বুঝা যায়। গত কয়েক বৎসর যাবৎ দেখিতেছি টাকার বিনিময়-মূল্য অনবরত পরিবর্তিত হইতেছে। ইহাতে বাণিজ্যে বিশৃঙ্খল উপস্থিত হইয়াছে। এই যে টাকার বিনিময়-মূল্য ( অথবা সংক্ষেপে টাকার মূল্য) বাড়ে কমে, ইহার কারণ কি, তাহাই এখন বিশদভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিব। ( t ) - যুদ্ধের আগে আমাদের এক আন ছিল বিলাভের এক পেনির সমান, অর্থাৎ ১৫ টাকাতে এক পাউও হইত। _ আমাদের টাকা হইল রূপার তৈয়ারী। অার যুদ্ধের পর বিলাতে এক পাউণ্ড মূল্যের যে মুদ্র। চলিত তাহার নাম সভারেন, এবং উহা সোনার তৈয়ারী স্বতরাং যুদ্ধের পূৰ্ব্বে ১৫টি টাকা দিয়া একটি সোনার সভারেন পাওয়া যাইত। কিন্তু ১৫টি টাক গলাইলে যে রূপা হয় তাহাড়ে-- তখন একটি সোনার সভারেন পাওয়া যাইত না। ঐ পরিমাণ রূপার মূল্য সভারেনের এর সমান হইত। একটি টাকা সভারেনের পনের ভাগের এক ভাগের সমান অর্থাং ১৬ পেনির সমান হইত ; কিন্তু টাকাটি গলাইয়। যে রূপ পাওয়া যায় তাহ। সভারেনের , ,এর সমান অর্থাং ১২ পেনির সমান হইত। ইহার কারণ কি ? দশটাকার একখান নোট লইয়া বাজারে ভাঙাইতে গেলে দোকাণী হয়ত তাহীর বদলে ১০টি রূপার টাকা দিতে স্বীকৃত হইবে ; কিন্তু সেই নোটখানা ছিড়িয়া কাগজ হিসাবে বিক্রয় করিতে গেলে কেহই উহার মূল্যস্বরূপ আধ পয়দাও দিতে স্বীকার করিবে না। আধপয়সাও যাইH মূল্য নহে এমন একখান। কাগজের বদলে দোকানী ১•