পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જહ8 ঢাকা দিয়ে রাখে। আপনি নিজেকে ঢাকৃবার জন্তে এত চেষ্টা করেন বলেই বুঝতে পারি যে আপনি কাজের भांइश ।” স্বরেশ্বর হাসিতে হাসিতে কহিল, "কিন্তু আমি যে কাজের মানুষ নই, আপনাদের মতে তার একটা প্রমাণ ত দিয়েছি ফুলের প্রতি মনোযোগী হ'য়ে। আপনার দ্বিতীয় প্রমাণ ও আজ এমনভাবে দেব যে আপনি স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে আমি একজন নিতান্ত অকেজো লোক ৷” দ্বিতীয় প্রমাণের দ্বারা সুরেশ্বর কি ব্যক্ত করিতে চাহিতেছে তাহা ক্ষণকাল বুঝিতে চেষ্টা করিয়া স্বরেশ্বরের প্রতি উংস্থক নেত্র স্থাপিত করিয়া স্মিতমুখে স্থমিত্র বলিল, “দ্বিতীয় প্রমাণ কি বলুন ত ?” সুরেশ্বর কহিল, “দ্বিতীয় প্রমাণ গান শোন। আজ সমস্ত কাজ ভুলে আপনার অনেকগুলি গান শুনব । স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া স্থমিত্রার মুখ নিমেষের জন্ত রঞ্জিত হইয়া উঠিল। এই দুই মাসের পরিচয়ের মধ্যে জুরেশ্বর কোন দিনই তাহাকে গান গাহিবার জন্ত অনুরোধ कटग्न नॉई, चर्थयां ङांशंब्र श्रांन तनिवांब्र* छछ जांश्चट्७ প্রকাশ করে নাই। আজ সহসা তাহাকে সে বিষয়ে এতটা আগ্রহের সহিত ইচ্ছ। প্রকাশ করিতে দেখিয়া সুমিত্রার মনে বিস্ময়ের অপেক্ষ সঙ্কোচই বেশী দেখা দিল । কিন্তু পরক্ষণেই সহাস্যমুখে কহিল, “আমি যে গান গাইতে পারি তা আপনাকে কে বললে ?” স্বরেশ্বর কহিল, "কেউ বলেনি। আমি অনুমান করছি আপনি গাইতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি বলেন যে আপনি গাইতে পারেন না, তা হ’লে বুঝ,ব যে আমার অকুমান ভুল হযেছিল।” কিন্তু এ কথার উত্তর দিবার সময় হইল না ; কক্ষে জয়ন্তী প্রবেশ করিলেন এবং স্বরেশ্বরকে দেখিয়া একটু বিস্ময়ের স্বরে কহিলেন, “এই যে স্বরেশ্বর ! বেশ সকালসকাল এসেছ দেখছি।" স্বমিত্রার সহিত স্বরেশ্বরকে কক্ষ-মধ্যে এক দেখিয়া জয়ন্ত্রী মনে মনে প্রসন্ন হন নাই। উপকার-প্রাপ্তি এবং তৎপ্রস্বত কৃতজ্ঞতার ভিতর দিয়া স্বরেশ্বরের সহিত প্ৰৰাণী—অশ্বিন, ১৩৩০ { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড পরিচয় হইলেও প্রথম দিন হইতেই জয়ন্তী স্বরেশ্বরের প্রতি একটু বিমুখ ছিলেন। স্বরেশ্বর একজন নন-কোঅপারেটার জানিয়া এই বিরূপতা প্রথম উপস্থিত হয়। তাহার পর উত্তরোত্তর স্বরেশ্বরের দৃঢ়তা ও শক্তি উপলব্ধি করিষা ইহা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইভে থাকে। জয়ন্তী স্বরেশ্বরকে মনে মনে একটু ভয় করিতেন, এবং অগ্নির সহিত ধূম্রের মত, এই জীতির সহিত বিদ্বেষও আসিয়া জুটিয়াছিল। যুক্তি-প্রমাণের মধ্যে এপর্য্যন্ত যাহার কোন অস্তিত্ব ছিল না, বুদ্ধির অতীত কোন শক্তির সাহায্যে তাহারই আশঙ্কায় জয়ন্তী সময়ে সময়ে শঙ্কিত হইয়া উঠিতেন। র্তাহার ভয় হইত বিমান ও স্বমিত্রার মধ্যে মিলনের যে পথটি তিনি গড়িয়৷ তুলিতেছিলেন তাহার মধ্যে বিয়ম্বরূপ স্বরেশ্বর হঠাৎ না আসিয়া দাড়ায়। তাই বিমানের তামুপস্থিতিতে স্বরেশ্বর ও স্থমিত্র। একত্র থাকে তাহা তিনি পছন্দ করিতেন না । জয়তীর কথা শুনিয়া স্বরেশ্বর স্মিতমুখে কহিল, “সময় ঠিক আন্দাজ করতে পারিনি। ভেবেছিলাম আমারই সকলের চেয়ে দেরী হ’য়ে গিয়েছে, কিন্তু এসে দেখি আমিই সকলের আগে এসে পড়েছি।” এ কৈফিয়তে সন্তুষ্ট না হইয়া অতি সংক্ষেপে জয়ন্তী কহিলেন, “তা ভালই ত,” তাহার পর স্বমিত্রার প্রতি ঈষৎ শুষ্কভাবে দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, “যাও না স্বমিত্র, স্বরেশ্বর এসেছেন, তোমার মামা-বাবুকে ডেকে দাও না ।” সজনীকান্ত দ্বিপ্রহরে আহারাদির পর বিবিধ কাৰ্য্য লইয়া বহির্গত হইয়াছিল, বলিয়া গিয়াছিল সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে আসিতে পারিবে না। তাহাকে ডাকিবার কথা শুনিয়া স্বমিত্রা কহিল, "মামা-বাৰু ফিরেছেন ?" - "র্হ্য, এইমাত্র এসেছে।” স্বরেশ্বর সুমিত্রাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় গিয়েছিলেন তিনি ?” স্বমিত্ৰা কহিল, "এক জায়গায় যাননি ত, অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন। দুপুরবেলা বেরিয়েছিলেন আর এইমাত্র এলেন ।” - স্বমিত্রার কথা শুনিয়া স্বরেশ্বর ব্যস্ত হইয়া জয়ন্ত্রীকে