পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] জাৰ্ম্মান সাহিত্যের নয়া ক্লাসিক ዓPጽኝ জাৰ্ম্মান সাহিত্যের নয় ক্লাসিক ( > ) জার্মান সাহিত্যের গোটে এবং শিলার; ভারতবর্ষে সুপরিচিত । কিন্তু এ-সব সাহিত্য ১৮৩০ সালের আগেকার কথা। অর্থাৎ এই-সকল কাব্য-নাট্য-উপন্যাসে জাৰ্ম্মানির “সত্য যুগের” বাণী শুনিতে পাই। এইগুলিকে বলে জাৰ্ম্মান “ক্লাসিক” । ভারতবাসী আর-কোনো জাৰ্ম্মান সাহিত্য-বীরের নাম শুনিয়াছেন কি ? বোধ হয় হাউপ টুমানের নাম ভারতে অপরিচিত নয়। ইহার “হেববীর” (তাতী ) নামক নাট্য জগৎ-প্রসিদ্ধ। রচনায় বাজ আছে। ১৮৯২ সালের লেখা । বর্তমান জগং, বৰ্ত্তমান সমাজ, সমসাময়িক সওয়াল –এই সবই কবিবরের নাট্যে প্রধান স্থান পাইয়াছে। *রোজে ব্রাও,” নামক নাটকে সিলেশিয়া জেলার এক কিষাণকন্যার “সামূজিক সমস্যা’ আলোচিত দেখিতে পাই । হাউপ টুমানের বয়স ষাট পার হইয়াছে। এই উপলক্ষে সমগ্ৰ জাৰ্ম্মানি ভরিয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। আর-এক জন জাৰ্ম্মান সাহিত্যদেবীর নাম লড়াইয়ের যুগে ভারতে স্নপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। শক্তি-যোগের প্রচারক নীটশে ( ১৮৪৪-১৯০০ ) ছিলেন সন্দর্ভ-লেখক । ইহাকে জোর-জবরদস্তি করিয়া, “কবি” অথবা দার্শনিক বলা হয়। কিন্তু দুঃখবাদী দার্শনিক শোপেনহাওয়ারের রচনার মতন নীটুশের রচনাও জাৰ্ম্মান গদ্য সাহিত্যের এক অপূৰ্ব্ব সম্পদ। “টাইল" বা লিপিবার কায়দার জন্য দুই জনই জাৰ্ম্মানিতে বহুকাল বাচিয়া যাইবেন । নীটুশের “আলজ প্রাথ, সারাথুষ্ট্রা” ( জরথুস্ত্রের বাণী ) জাৰ্ম্মান ভাষার এক ক্লাসিকরূপে ভারতবর্ষেও স্বপরিচিত থাকিবে । আজকাল অবশু ইংরেজি তর্জমায় মাত্র জানা আছে। কিন্তু মূল জাৰ্ম্মান গ্রন্থটার দিকে শীঘ্রই ঝোক পড়িবে।

  • ( २ )

জাৰ্ম্মান-ভাষা আমাদের জানা ছিল না । কাজেই এতদিন ভারতবর্ষে একখানি ইংরেজি তর্জমার সাহায্যে জার্শ্বান গদ্য ও পষ্ঠের সঙ্গে পরিচয় সাধিত হইত। কিন্তু বিশাল জাৰ্ম্মান এবং অষ্ট্রিয়ান সাহিত্যের অতি সামান্ত অংশই ইংরেজিতে অনূদিত । অষ্টিয়ার গোটে-স্বরূপ কবিবর গ্রিলপরিৎসার এই কারণে আজও উচ্চশিক্ষিত ভারতীয় সমাজে অপরিচিত। ইহার গল্পগুলা অষ্ট্রিয়ার জাৰ্ম্মান সাহিত্যের রত্ন-বিশেষ । “ড্যর আমে’ স্পীলমান” নামক আখ্যায়িকায় গ্রিলপাৰ্বংসার এক দরিদ্র সঙ্গীত-শিল্পীর কাহিনী লিপিবদ্ধ • করিয়াছেন । গ্রীক এবং রোমান কথাবস্তু লইয়া তাহার কতকগুলা নাটক রচিত । জাৰ্ম্মানি ও অষ্ট্রিয়ায় বহুকাল ধরিয়া রাষ্ট্রীয় এবং সামরিক আড়াআড়ি চলিয়ছিল বলিয়া গ্রিলপারংসাবুকে “জাৰ্ম্মান” সাহিত্যে ঠাই দেওয়া হইত না । এইরূপ বিদ্বেষ বহুদিন পর্যন্ত ইংরেজ-মার্কিষ্ণুে দেখা গিয়াছে। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের সাহিত্যকে “ইংরেজি” সাহিত্যের আসরে ঠাই দেওয়া বৃটিশ জাতির অভিপ্রেত नग्न ! ভাষায় দখল থাকিলে এতদিনে ভারতবাসী লিলিয়েন ক্রোনকে ( ১৮৪৪-১৯০৯) আপনার করিয়া ফেলিতুে পারিত। কবিহিসাবে জাৰ্ম্মানরা ইহাকে বর্তমান জাৰ্ম্মানির সর্বশ্রেষ্ঠ বিবেচনা করিয়া থাকে। শম্বলালিষ্ঠ্য ইহার কাব্যের বিশেষত্ব নয়। সোজাস্থজি জোরের সহিত স্পষ্ট কথা বলিয়া ফেলা লিলিয়েন ক্রোনের স্বভাব। হয়ত কালে ইনি জাৰ্ম্মানির হিটম্যান-রূপে ভারতবর্ধে প্রচারিত হইতে পরিবেন। শক্তিপূজার যুগে ইহার তলব পড়া অতি স্বাভাবিক । ( 3 ) নিবেলুঙ-গাথা জাৰ্ম্মান “পুরাণ” সাহিত্যের নিজস্ব । এই গাথায় বিবৃত পুরুষ-নারীর জীবনকে জাৰ্ম্মানরা তাছাদের প্রাচীনতম মাদ্ধাতার আমলের জীবনরূপে আদর করিয়া থাকে। তখন জার্মানির লোকের, প্রকৃতিপূজক দেবদেবীপূজক শক্তিসাধক নরনারীর আদর্শ