পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీశ్రీ T MeAeeMMMAeeAM AMAMAAAA লে যেন দেখতে পেলে, তার মৃতদেহ গঙ্গাজলে ভেসে যাচ্ছে ! চারিদিক থেকে নানা-জাতের মাছ দলে দলে এসে তার গা থেকে মাংস খুবলে খাচ্ছে। একটা মাছ তার আধ-গোলা স্থির চোখের উপরে এক কামড় বসিয়ে দিলে— —-পথিক সচমকে নিজের চোখের উপরে হাত রেখে স্বাতনায় চেচিয়ে উঠল । তখনি সে নিজের ভ্রম বুঝতে পালে, কিন্তু তখনে৷ সেই ভীষণ দৃষ্ঠের উপরে যবনিক পড়ল না। অন্ধকারের ভিতরে চোথ চালিয়ে সে আবার দেখতে লাগল—ভোর হ’ল। তার দেহ তখনো যেন পূৰ্ব্বাকাশ-চু্যত চিতার অগ্নি-শিখায় জঙ্গতে জলতে ভেসে চলেছে। জলচর জীবেরা ততক্ষণে তার দেহকে ক্ষতবিক্ষত ক’রে দিয়েছে, স্থানে স্থানে তার গায়ের চামড়া উঠে ভিতরকার টকৃটকে লাল পেশীগুলো বেরিয়ে পড়েছে।...একখানা ষ্টিমার আসছে ! ষ্টিমারখানা একেবারে তার দেহের উপরে এসে পড়ল। তার পর— —বিদ্যুতের মত দাড়িয়ে উঠে, ছু-হাত তুলে পথিক সভয়ে টেচিয়ে উঠল, “থামাও, থামাও ! আমার দেহ, আমার দেহ ?” —তার পর ; ষ্টিমারখানা সোজা চলে গেল তার আঘাতে শৰের মাথার একপাশ গুড়ো হয়ে গিয়ে, ভিতর থেকে পিণ্ডের মত কি-কতকগুলো বেরিয়ে পড়ল । —তার পর পথিক দেখলে, জল-পুলিসের লোক আসছে। তার মন কতকটা আশ্বস্ত হ’ল, এতক্ষণে তার দেহ তবু কিছু নিরাপদ, হবে । আর তা স্রোতের মুখে অর্থই জলে ভেসে যাবে না, আর তাকে মাছে খুবলে খাবে না । নৌকার লোকেরা জালে ক’রে তার দেহকে জল । থেকে টেনে তুললে। 事 পথিকের স্বমুখ থেকে দৃশুপট উল্টে গেল। একটা লম্বা ঘর—হাসপাতালের শব-ব্যবচ্ছেদাগার । সারি সারি কতকগুলো টেবিল—তাদের উপরে কতকগুলো মড়া tos হয়ে শুয়ে আছে । একটা টেবিলের উপরে sস্থ** - তার নিজের , মৃতদেহ ! টেবিলের গয়ে লেখা— ১১ ! এখন তুার দেহের অন্ত কোন নাম নেই, অঙ্গ প্রণালী-বৈশাখ, ASA SSASAS SMAM AeAMA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS t २थ* ऊां★, ४भ १७ ^^్క4^^^ 9లిe কোম নামে এখানে কেউ আর তাকে চিনবে না—পৃথিবীতে এখন সে এই "এগারো নম্বর” ব’লেই পরিচিত । নিজের দেহের দুর্দশ দেখে নিৰ্ব্বাক্ দুঃখে সে কেঁদে ফেললে যে দেহকে সে কত যত্ন করত, কত সাবধানে রাখত, যার উপরে কেউ একটি টুসকি মারলেও তার ব্যথা লাগত, সেই কত অাদরের দেহের আজ এ কী হ’ল !-মাথার খানিকট উড়ে গেছে, চোখ আর জিভ বেরিয়ে পড়েছে, সৰ্ব্বাঙ্গে বড় বড় ক্ষত, পেটটা ফুলে ঢোল হয়ে উঠেছে, গায়ে একটকৃরে স্বাকৃড়া নেই—এ কী ভয়ানক, এ কী মৰ্ম্মভেদী ! - ও কি, ও কি ! একজন লোক কয়েকটি ছাত্রের সঙ্গে ঘরের ভিতর ঢুকল। সে বললে, "এগারো নম্বরকে ব্যবচ্ছেদ কর!” ছাত্রের কতকগুলো অদ্ভূত আকারের ভীষণ-দর্শন চকৃচকে অস্ত্র-শস্থ গোছাতে লাগল। এতগুলো মানুষের দেহ অস্বাভাবিক উপায়ে প্রাণহারা হয়ে, এই ঘরে তাদের মৃমুখে হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে, কিন্তু তাদের কারুরই মুখের ভাবে এতটুকু ভয় বা কৌতুহলের ছায়া নেই ! তারা দিব্য সহজ ভাবেই পরস্পরের সঙ্গে হালিমুখে ঠাট্ট তামাস গল্প করছে! মানুষ হয়ে মানুষের সম্বন্ধে এতটা অসাড়তা! কী হৃদয়হীন এর । * * অন্ত্র-শস্থ নিম্নে তারা "এগারো সম্বরে”র কাছে এসে দাড়াল। এইবার তারা এই দেছটাকে কেটে টুকরোটুকুরো ক’রে ফেলবে . সে দৃশু কল্পনা ক’রে পথিক শিউরে উঠে চোখ মুদ্ৰলে।. চোথ মুদেও সে নিস্তার পেলে না। তার বন্ধ চোখের সামনে, নিবিড় তিমির-পটের উপরে, রক্তের মত রাঙা আগুনের অক্ষরে ফুটে উঠল, সেই সাংঘাতিক "এগারে নম্বর” –এগারো, এগারো নম্বর—এই দুনিয়ায় তার সর্ব-শেষ নাম ...মোহগ্রস্তের মত ‘চোখ মুদে সে যে কতক্ষণ ধ'রে সেই এগারে নম্বরের দিকে চেয়ে রইল, তা সে নিজেই জানে না • • • • • • • • • - সে চোখ খুলে দেখলে, পৃথিবীর মুখ থেকে কুয়াশার ঘোমটা খসে পড়েছে, অস্পষ্ট চাদের আলোতে গঙ্গার জল দোদুল গতিতে বয়ে যাচ্ছে ।