পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AA AA ASASASA AAAeAAA AAASA SSASAS SSAS محصہ مسیحی ہے یہیے “বন্দী ক’রেই মদীপণিকদের পর্ণ-স্থাপন-ঘরে আগুন দেওয়া যাবে।” -লোকে সন্দেহ করবে।” “সন্দেহ ? অামাদের করবে না, ওদেরই করবে ; বলবে, পাছে হিসাবনিকাশের দায়ে পড়তে হয় তাই আগেভাগে আগুন লাগিয়ে খাতাপত্র পুড়িয়ে ফেলেছে।” “হিঃ ! মহারাণীর মগঞ্জ কুস্তির আখড়া, কত প্যাচই আসে।” “কিন্তু শকটার ফিরে না এলে হবে না। পিতা পুত্র সকলকেই এই বিরাটু চুরির ষড়যন্ত্রে ফেলে পাতাল-ঘরের বন্দীশালায় পাঠাতে হবে।” "বাস্ ! সেইখানেই সমাধা, সেইখানেই সমাধি !” "জীবস্তে ।” “আর যদি যুদ্ধে মারা যায় ". “তা’ হ’লে ত আপদুই গেল।” “কলঙ্কী সম্বন্ধে ?” ধনীর অনুকরণুে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি চন্দ্রগুপ্তকে কলঙ্ক বলত। এটা তাদের সঙ্কেতের বুলি । রাণী বললেন,—“কলঙ্কী সম্বন্ধে ? তুমি বল ।” "তীয় চরের দ্বারা পথে হত্য ।” “মূৰ্খ! লোকে সন্দেহ করবে যে !" “ভবে ?” “যুদ্ধশেষের কত বিলম্ব ?” “ধরুন যদি শীঘ্রই শেষ হয় ?” “তার পূৰ্ব্বে শ্ৰীমান্বকে সিংহাসনে বসাতে হবে। তা হ’লে জ্যেষ্ঠ চন্দ্রগুপ্ত সিংহাসনের জন্যে নিশ্চয় বিদ্রোহ শুষ্টি করবে। তখন তাকে বিদ্রোহীর শাস্তি দেওয়া যাবে।” “কিন্তু তার তাবে পণ্টন রয়েছে, সে বিদ্রোহ ক’রে জয়লাভও করতে পারে। তা ছাড়া সৈনিকেরা তার প্রতি অনুরক্ত ।” “তা’ হ’লে তাকে পুৰ্ব্বায়েই পল্টন থেকে তফাৎ করা আবশ্যক।’ “তা’ হ’লে রাজযক্ষ্ম মহারাজের রাজপদ খসিয়ে নিলেই চিঠি লেখা।” “কি মৰ্ম্মে ?” ডস্ক-নিশান 8J& • AMS SSAS SSAS SSASAMMAMAMMAAAA مھسے “মৰ্ম্ম আর কি ?...মহারাজ অনুস্থ হ’য়ে পড়েছেন, প্রিয়পুত্র চন্দ্রগুপ্তকে শেষ দ্যাখা দেখতে চান। অতএব পণ্টন সিংহবলদত্তের হাতে দিয়ে, ঘোড়ার ডাক বসিয়ে কুমার চন্দ্রগুপ্ত যেন নগরে ফিরে আসেন।” “হু ! তোমার বুদ্ধি হচ্ছে, একটু একটু। তার পর ?”

  • নিৰ্ব্বাসন ।”

“গর্দভ !” “নিমকাঠের শূল ।” “ন, জীবন্ত দগ্ধ করা হবে । সতীন-কাটার শেষ রাখতে নেই ।” " ! তা হ'লে, এখন কৰ্ত্তব্য ?" কিছুক্ষণ মুখ চাওয়াচাওয়ি ক’রে রাণী বল্পেন— "তুমি বল ।” "রসায়নপ্রয়োগের মাত্র একটু বাড়িয়ে দেওয়া।” রাণী নীরব অনুমোদনের দৃষ্টিতে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির দিকে চেয়ে রইলেন। “আর মহামাত্য ও পণ্টনের মহানায়ককে কোনো ব্রতের নাম ক'রে—” “ছ । গুপ্তধন ত্রত।” “বেশ ! ওই নাম ক’রে প্রত্যেকের বাড়ী মোদকের ভিতর কিছু মোহর প্রেরণ " “তুমি বুদ্ধিমান ।” s রাণীর প্রসন্ন দৃষ্টিতে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি আনন্দে ডগমগ হয়ে উঠে, একমাত্রিক হাসি হেসে বললে—“হিঃ ! ই-! তা হলে বুদ্ধির পুরস্কার ?” ধনশ্ৰী আঙুল দিয়ে দুধ-ভরা বৰ্ত্তলিকা দেখিয়ে দিলেন । ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, সে ঢোক গিলে বললে—“কি ? বুদ্ধিমানের ভাগ্যে শেষে ঘোল নাকি ?” বক্রকটাক্ষে কৌতুক-হাসি মিশিয়ে ধনশ্ৰী বললেন— “ন, না, দুধ ; খেয়ে দেখ।” এই ব’লে মহারাণী স্বয়ং তার হাতে সোনার তৈরী তণ্ডুল-নালিকা বা ফাপা খড়ের টুকরোর মতন একটা নল এগিয়ে দিলেন, এবং গলার মালা থেকে গোটাকয়েক জুইফুল খসিয়ে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির দুধের বাটতে ভাসিয়ে দিয়ে বললেন—“মনে-মনে কিছু একটা ভেবেছি,