পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - سووهجهه প্রবাসী—আশ্বিন ১৩৩• [ २०* छांनं, »य थ७ রক্ষিত ফল ও অন্যান্য ব্যবসায় জগতে বড় বড় ব্যবসায়ের মধ্যে রক্ষিত খাদ্যের ব্যবসায় যে একটা খুব বড় তাহ হয়ত অনেকেই জানেন না। কোট কোটী টাকার রক্ষিত ফল ও শাক-সব জী মাছ-মাংস প্রতিবৎসর জগতে ব্যবহৃত হইতেছে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের লোকেই কিছু ন কিছু এই ব্যবসায় করিয়া নিজেদের ধনবৃদ্ধি করিতেছে । কেবল ভারতবর্ষের স্থান এ ব্যবসায়ে বিশেষ দেখিতে পাওয়া যায় না, যদিও স্বফল৷ স্বজলা শস্যশ্যামল ভারতের স্থান অন্ততঃ আমেরিকার পরেই হওয়া উচিত ছিল । ফল-রক্ষণ-শিল্পের দ্বারা এদেশের কতটা উন্নতি হইতে পারে তাহার আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে এ-শিল্প এ-দেশে এতদিন কেন প্রসারিত হয় নাই সে বিষয়ে একটু বিস্তৃত আলোচনা দরকার। কেননা আমাদের দেশের লোকের একটা বদ্ধমূল ধারণাই এই হইয়া দাড়াইয়াছে যে নূতন শিল্প যে এ দেশে প্রসারিত হয় নাই তাহার মূলে নিশ্চয়ই একটা অনতিক্রমণীয় বাধা আছে। এই জুজুর ভয় হৃদয়ে পোষণ করিয়াই সকলে উদাসীন । কেহই প্রকৃত কারণটা খুজিয়া দেখিবার ক্লেশটুকু পৰ্য্যন্ত লইতে ইচ্ছুক নয় ; .কেহই সন্ধান করিতে চায় না যে যদি কিছু বাধা থাকে তবে তাহ বাস্তবিকই অনতিক্রমণীয়, না, দুরতিক্রমণীয় ব। সহজাতিক্রমণীয় : শিল্প বাণিজ্য বিস্তৃতির অন্তরায় প্রধাণতঃ তিনটি— ১। বৰ্ত্তমান সময়ে আমাদের দেশে র্যাহারা ব্যবসায়ে রত আছেন তাহদের নূতন শিল্পের উপযোগী শিক্ষা নাই। পরের দেশের লোক আসিয়া এদেশে যে-সব শিল্পবাণিজ্যের পথ প্রদর্শন করিয়াছে আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবসায়ীরা তাহাদেরই পদামুসরণ করিতেছেন মাত্র। তাই নূতন শিল্পের দিকে অগ্রসর হইতে তাহাদের সাহস হয় না। ২ । যাহারা শিক্ষিত, তাহারা শিল্প-বাণিজ্যের শিক্ষা জনায়াসেই গ্রহণ করিয়া নুতন নূতনশিল্পের প্রসারণ করিতে পারিতেন। কিন্তু তাহারা সরকারী চাকরী ওকালতী এবং ডাক্তারী করার নেশায় বিভোর হইয়া সবজান্ত। ভাবকে হৃদষে পোষণ করতঃ দেশে শুধু মোড়লী করিয়া বেড়াইতেছেন। ৩ । অন্যান্য দেশে গভর্ণমেণ্টের সাহায্যে ও উৎসাহে সে দেশের বড় বড় অনেক শিল্প উন্নতিলাভ করিয়াছে । কিন্তু আমাদের এ ইতভাগ্য দেশে কাহার বা গরু আর কে বা দেয় ধোয় ? এই-সব 'গেল প্রথম স্তরের অন্তরায় । বর্তমান । সময়ে আর-এক স্তরের অন্তরায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে৭ ১ । কালের চাবুকে অনেক ডিগ্রীধারী শিক্ষিত যুবকের সরকারী চাকরীর বা ওকালতীর নেশা ছুটিয়াছে বটে, কিন্তু সবজান্ত ভাবের নেশা ছুটে নাই। এরূপ অবস্থায় তাহারা গত্যন্তর নাই দেখিয়া শিল্প-বাণিজ্যের দিকে নজর দিয়াছেন । কিন্তু সে নজর শনির নজরে পরিণত হইতেছে। ব্যবসাক্ষেত্রে দেখা যাইতেছে যে আমাদের শিক্ষিত যুবকেরা—যাহারা পনর বৎসর কাল নিজেদের স্বাস্থ্য অর্থও সময় নষ্ট করিয়া তোতাপাখীর মত শুধু ইংরেজী বুলি শিথিয়াছেন এবং ইহকাল-পরকালের কাল্পনিক পরিত্রাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষাকবচ কপালে ধারণ করিয়ু৷ সৰ্ব্বজয়ী হইয়াছেন মনে করেন, র্তাহারা—কতবড় আনাড়ি । ফল যে কি হইতেছে তাহ৷ সকলেই দেখিতেছেন । শিক্ষিত যুবকেরা একবার অরুতকার্য্য হইয়াই- ইহা ভুঞ্জলোকের কাজ নয় বলিয়া সরিয়া দাড়াইতেছেন। ইহারা যে শুধু নিজেদের অর্থ ও সামর্থ্য নষ্ট করিতেছেন তাহা নহে, অন্যান্য লোক ভবিষ্যতে যে এ পথে আসিবে তাহারও রাস্ত বন্ধ করিতেছেন। কেননা সাধারণের এই ধারণ জন্মিতেছে যে যখন অমুক হাইকোর্টের বারিষ্টার উকীল বা অমুক বড় ডাক্তার অমুক এম্-এ এম্-এসসি একাজ করিতে পারিলেন না তখন ও-কাজে হাত দেওয়া বিড়ম্বনা। তাই নূতন কাজের নামে সকলেই শিহরিয়া উঠিতেছে। এবং নূতন কাজের প্রসারণ না হওয়াতে এক কাজে অনেকে