পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যl ] রক্ষিত ফল ও অন্যাগু ব্যবসায় . ث۹ জাসিয়া জনিবার্ধ্য রেষারেবির স্বষ্টি করিয়া প্রচলিত শিল্প বাণিজ্যেরও ক্ষতি করিতেছেন। ২। ঐযুক্ত যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ মুহাশয়ের প্রতিষ্ঠিত সমিতির সাহায্যে অনেক ছেলে বিদেশে গিয়া শিল্প শিক্ষা করিয়া এদেশে আসিতেছেন । র্তাহার হয়ত নিজেদের সাধ্যমত, জিনিস প্রস্তুত করা শিখিয়া আসিতেছেন। কিন্তু জিনিস প্রস্তুত করা এবং তাহ বিক্রয় করিয়া লাভবান হওয়া এক-কথা নহে। ব্যবসায়ের দিকে দেখিবার বা শিথিবীর হয়ত তাহাদের স্থবিধাই হয় নাই। একজনের নিকট সব কাজ আশা করাও স্থবিবেচনার কাজ নহে। অথচ এক বিশেষজ্ঞের উপরেই • আমাদের সব নির্ভর করিতে হইতেছে। তাই আশানুরূপ ফল খুব কম ক্ষেত্রেই পাওয়া মাইতেছে। সেজন্ত দেশেরও ধনীলোক আর ঘরের টাকা বাহির করিয়া কোনও শিল্পবাণিজ্যের সহায়তা করিতে অগ্রসর হইতে বিমুখ হইতেছেন । ৩ । মাঝে মাঝে সংবাদপত্রের স্তম্ভে দেখিতে পাই, ও লোকের মুখেও শুনিতে পাই, একদল লোক নাকি লোক ঠকাইবার মতলবে লিমিটেড কোম্পানীর ফাদ পাতিয়া অনেক লোকের অনেক অর্থ আত্মসাৎ করিতেছে, তজ্জন্ত দেশের লোক আর শিল্প-বাণিজ্যের নামে টাকা দিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হইতে এবং শঠতার প্রশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয় । - শিল্প-বাণিজ্য-বিস্তৃতির অন্তরায়ের যে-সব কারণ দেখিতে পাওয়া গেল, ইহার কোনটাই সহজাতিক্রমণীয় না হইলেও অনতিক্রমণীয় নহে, কেননা মূল কারণ দেখিতে পৃাইতেছি একট—তাহ শিল্প-বাণিজ্যের শিক্ষার অভাব। এখানে শিক্ষার মানে শুধু পুথিগত শিক্ষণ আমি মনে করিতেছি না। মূল সংশোধন করিতে পারিলে শাখাপ্রশাখাগুলি আপনা হইতেই সংশোধিত হইবে। দেশের কতিপয় লোক যাহারা অনেক ত্যাগস্বীকার করিয়া দুঃখ দৈন্তকে বরণ করিয়া লইয়া স্বদেশ উদ্ধারের জন্ত বদ্ধ- , পরিকর হইয়াছেন, শুধু তাহারাই যদি শিল্প-বাণিজ্য বিষ্কৃতির মূল অভরায়কে দূর করা কাৰ্য্যতঃ তাহাদের ক্ততের একটা মুখ্য পৰ্ব্ব বলিয়া গ্রহণ করেন, তাহা হইলেও a = s যে ইহার কিছু প্রতিকার হইতে পারে তাহাতে সন্দেহ নাই। অবশুই সৰ্ব্বসাধারণের চেষ্টার ষে ফল তাহ{ মুষ্টিমেয় লোকের চেষ্টার ফল অপেক্ষা অনেক বেশী, তাহা বলাই বাহুল্য । ! . . . . . শেষোক্ত অস্তুরায় অর্থাৎ একদল লোকের লিমিটেড কোম্পানী করিয়া লোক ঠকাইবার ফন্দী অত্যন্তই ভয়াবহ । কিন্তু সে-সম্বন্ধে আমাদের ধারণা যে উহ। একান্তই কাল্পনিক । লোক ঠকাইবার মতলবে লিমিটেড কোম্পানীরূপ ফাদ পাতার মতন নীচত এখনও দেশে প্রবেশ করিয়াছে বলিয়া মনে হয় না । এক্ষেত্রেও কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদের ব্যবসায়-বুদ্ধির ও শিক্ষার অভাবই লিমিটেড কোম্পানীর অকৃতকাৰ্য্য হইবার কারণ। কেননা ইহা বড় দেখা যায় না যে অমুক ব্যক্তি লিমিটেড কোম্পানীর কল্যাণে লোক ঠকাইয়া নিজে খুব স্বথ স্থবিধা ভোগ করিতেছে। তবে লোকেরা যে তাহাদিগকে ওরূপ আখ্যা দিতেছেন তাহার কারণ ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হুইবার দরুন রাগ ও দুঃখ ৷ তবে দু একজন यूनेि এরূপ নীচ প্রবৃত্তির লোক থাকিয়াও থাকে তাহা হইলেও যাহাতে সমস্ত দেশের কল্যাণ ও ভবিষ্যৎ বংশধরগণের জীবন নির্ভর করিতেছে এরূপ যে শিল্প বাণিজ্য তাহাতে দেশের লোক উৎসাহ দিতে নিরস্ত থাকিলে পরিণামে তাহাদের নিজেদেরওঁ অকল্যাণ ভিন্ন কল্যাণ হইবে না ? আর আমরা এই যে উকীল-বারিষ্টারের ফঁাদে পড়িয়া যত লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছি, অনেকের ভিটা মাটি পর্য্যন্ত বিকাইয়া যাইতেছে, তাহার তুলনায় ব্যবসায়ী শঠদের হাতে ক্ষতিটা অতিশয় নগণ্য। সকলেই জানেন ওকালতী বা বারিষ্টারী ও এক-একটা ব্যবসায় । বৰ্ত্তমানলিমিটেড কোম্পানীর সহিত ইহার খুব সেীসাদৃশ্যও আছে। ধরুন, এক-একজন উকীল বা কৌন্সিলী য়েন, ছোট বড় এক-একটা লিমিটেড কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। গভর্ণমেণ্টের সনদ যেন ইহাদের জার্টিৰেল অব, এসোসিয়েশন। ওখ, লওয়া অর্থাৎ সাধারণের উপকারার্থ স্থবিচারের জন্ত বিচারপতিকে সহায়তা ৰূরা যেন মেমোরেণ্ডাম অব এসোসিয়েশন। যদিও এ-ক্ষেত্রে । মেমোরেণ্ডাম পরিবর্তন করিতে হইলে হাইকোর্টের