পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ$ મક્ષ ] বাইতে পারে। গড়পড়ত। যদি আমরা পনর টাকা ঘরেও হিসাব করি, তাহাতে দেখিতে পাই, যে, প্রতি-বিঘায় শুধু জানারসেই গড়ে চারিশত টাকা পাওয়া যায়ত্বে পারে। ইহা ছাড়া জানারসের পাতা দ্বারা স্বত্র প্রস্তুত করিতে পারিলে আরও একটা অতিরিক্ত আয়ের বন্দোবস্ত হয়। অথচ খরচ হয়ত প্রতি-বিঘ্নায় চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকার বেশী পড়িবে না। দুইজন যুবক একশত বিঘার জমির পরিদর্শনকাৰ্য্য অনায়াসেই স্বচারুরূপে সম্পন্ন করিতে পারেন। জমি ও সার মাটি-মিশ্রিত বালি-জমিই আনারসের পক্ষে সর্বোৎকৃষ্ট । তাহার পরেই বালি-জমি বা পাথর-কুচির জমি প্রশস্ত। আঠালে মাটির জমি আনারসের পক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়। জমিতে জলসেচনের স্ববন্দোবস্ত থাকা বিশেষরূপে দরকার। ছায়ার মধ্যে যে-সকল আনারস জন্মে তাহার স্বাদ ও গন্ধ তত ভাল হয় না। পচা পাতা ও খুব পচা গোবরের সারে প্রস্তুত জমিতে খুব বড় বড় অত্যুৎকৃষ্ট আনারস জন্মে। সন্ধ্যায় ጫኅe আমাদের নিজেদের সীমাবদ্ধ শক্তি, অর্থ ও সময় ফলরক্ষণ-কার্ধ্যে ও তাহার বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিতেই আবদ্ধ, তাই আমাদের চাষের দিকে যাওয়ার উপায় নাই, তবে পরামর্শ দিয়া বা অস্তান্ত যে-কোনওপ্রকারে উৎসাহী যুবকদিগকে সাহায্য করিতে আমরা সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত আছি । আমরা আমাদের কোম্পানীর তরফ হইতে এরূপ কনট্রাকৃষ্ট বা চুক্তি করিতে পারি ষে তাহার যত আনারস উৎপাদন করিতে পারিবেন আমরা তাহা সমস্তই খরিদ করিতে বাধ্য থাকিব । আনারসের চাষ আরম্ভ হইলে সঙ্গে-সঙ্গে আরও অনেক নৃত্তন-নূতন রক্ষিত ফলের কারখানা যে খোলা সহজ হইবে তাহা বলাই বাহুল্য। আমি দুই তিনটা ইংরেজী দৈনিক পত্রে গভর্ণ মেন্টের কৃষিবিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার জন্ত এ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করিয়াছি, কিন্তু তাহাতে কিছু বিশেষ ফল পাইব এরূপ ভরসা পাইতেছি না। তাই আমার দেশের লোকের নিকট বিশেষ নিবেদন যেন এমন একটা স্নযোগকে র্তাহারা উপেক্ষা না করেন। - শ্ৰী অনাথবন্ধু সরকার e সন্ধ্যায় দিনশেষে নদীতীরে বসে আছি চুপচাপ,— দূরে মাঝি তরী বায়, দাড় ফেলে কুপূৰাপূ। আকাশেতে খেলে রং পিঙ্গল-জদায়, ঢেকে আসে ধরাখানি আঁধারের পর্দায়। নদীজল ছুটে চলে ছপৃ ছপ্‌ কুল কুল ; শূন্তেতে পাড়ি দেয় ঘরমুখে বুলবুল। ঝুরু ঝুরু বায়ু বয়- নাহি তার ফুরসৎ ; মাঝি ডাকে-আয় আয় যাবি যারা দূর পথ। সাড়া নাই পথিকের—নাহি লোক তীরে হয়, নিরাকুল মাঝি ঐ আনমনে ফিরে যায়। চখাচী ডাকে কোথা—ওপারের বনূগায়— ঐ খানে—ঐ খানে যেতে মোর মন চায়। বঁশি বনে শাই শাই—খুশির আলোড়ন, শন শন নাড়ে মাথা ওপারের শালবন। ঘাটখানি জলহীন—পড়ে' আছে আমনি জল নিয়ে ফিরে’ গেছে পল্লীর রমণী। থেমে গেছে কলরব—মৃদ্ধ চুড়ি শিঞ্চন নূপুরের ঝন ঝন্‌—কাকণের রন ঝন্‌। থেমে গেছে থেমে গেছে বালকের কোলাহল – শেষ হ’ল রাস্তায় পথিকের চলাচল । দূর বনে শিবা ডাকে ঐ—ঐ বহুবার,— পেচা করে চেচামেচি ডালে বসে মহুয়ার । হেনকালে ওঠে চাদ—উজ্জল জলজল-- জ্যোৎস্নার রোশনায়ে চারিদিকৃ ঝলমল । আসমানে শিহরণ গ্ৰহতারা উদ্ধায় – নেশাঘোর আঁখি মোর অকারণ চুল খায়। ীি মুনিৰ্ম্মল বন্ধ