পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆt fr1] ছায় এসে পড়ল। আমার বুকের মধ্যে উঠল। পরদিন শুনলাম, শাশুড়ী এক প্রতিবেশিনীর নিকট বলছেন—“কলিকাল মা, কলিকাল । নইলে “ আমরা দিন কাটাই ছেড়া স্তাকৃড়া পরে', আর বোয়ের বাক্সে কাপড় ধরে না। হারে হতভাগা ! তুই যে এই খেয়ে না খেয়ে যা পাচ্ছিস সব এনে ঐ-শ্ৰীচরণে সমর্পণ করছিস, একটু লজ্জাও কি করে না " সেই যে প্রথম আমার অলক্ষ্যে পৃথিবীর কোন প্রদীপট চিরতরে নিভে গেল, তা তো আর জালাতে পারলাম না। ...জীবনের শেষ কটা দিন জন্ধের মত পথ খুজে বেড়ালাম, কই,-কেউ তো আমায় সে-পথ আর নির্দেশ করে” দিলে না ? সে-পথ দেখালে শেষে আমার খোকাবাবু। খোকাৰাৰু আজ আমার হাত ধরে' নিয়ে চলেছে- ঐ দুঃখ-দৈন্তের, মুখ-শাস্তির শেষ সীমানার দিকে । সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বাড়ীর পাশ্বের পথ দিয়ে ছোট-ছোট ছেলেরা শোভাযাত্রা করে’ গান গেয়ে যাচ্ছিল,—শুনলাম দরিদ্র-ভাণ্ডারের জন্য ভিক্ষা করছে। তাড়াতাড়ি বাক্স খুলে সমস্ত পোষাকী জাম-কাপড়গুলি একটা পোটুলা করে বেঁধে বিয়ের হাতে দিয়ে বললাম*দিয়ে আয় ।” যার জন্য আমার স্বামীর নামে একটা মিথ্যা কথার স্থষ্টি হয়, সে অপেক্ষ বিদায় করে দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ত্যাগ করলাম। পৌষের কনকনে শীত। সন্ধ্যার সময় গা ধুয়ে রান্নাঘরে যাব। কাপড় ছাড়তে গিয়ে দেখি অন্ত কাপড় খানিও ভিজে । শাশুড়ীকে বললাম—“মা ! একখানা যার-তার কাপড় আমায় একবারটি দিন না।” শ্লেষের সহিত শাশুড়ী বললেন—“তোমার আর কাপড়ের ভাবনা কি ? বাক্স খুললেই কাপড়। বড়মানুষের মেয়ে তুমি,- দান-খয়রাতে দাতাকৰ্ণ, তোমার আবার কাপড়ের ভাবনা ?”—শেষ পৰ্যন্ত শুনবার অপেক্ষা না করে’ কাপতে কাপুতে রায়ঘরে চলে গেলাম। না গিয়েই বা করব. কি ? ও-কথার কোন উত্তর আছে কি না, সে কথাটাও ভাবতে পারিনি। শুধু ভেবেছিলাম,—তবুও আমাদের বঁচিতে হবে, আমাদের জন্ত নয়-অপরের জন্ত ! ۹ سست و 2 কেঁপে विनाश-वहन ፃፃፋ আগুনের অঁাচে পরনের কাপড় প্রায় শুকিয়ে গেল । শুকুল না শুধু এই চোখের জল। চোখের সামনে দেখতে লাগ লাম--অন্ধকার । ভুলের উপর ভুল করে রান্না শেষ করলাম। ছোট দেবর জাহার করছিল,—আর আমি পরিবেষণ করছিলামদেবর আবার করে বললে—“বউদি ! আমায় আৱএকখানা মাছ দাও না।” আমি দেবার পূর্বেই শাশুড়ী এসে আমার হাত থেকে মাছের ঝোলের কঁাসিথান। কেড়ে নিয়ে বললেন—“দাও, uতামাকে দিতে হবে না । আমি নিজে হাতে করে’ না দিলে—ও হতভাগার ভাগ্যে ত কিছু জোটে না ।” বাক্য-বাণের বজাঘাত বুকে নিয়ে আমি গুণ্ডিত হ’য়ে দাড়িয়ে থাকুলাম । শাশুড়ী আরও জানালেন,— সেই দিন থেকে আমার পাকশালে প্রবেশ নিষেধ । এমন কি,-সংসারের কোন কৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করবার অধিকার আমার থাকুল না। কৰ্ত্তব্যবিচার ভুলে গিয়ে ওই অন্যায়” আদেশের বিরুদ্ধে মন বিদ্রোহী হ’য়ে উঠল । আমি শয়নকক্ষে গিয়ে অদৃষ্টের উপর অভিসম্পাত করে নীরবে জঞ্জ বিসর্জন করতে লাগলাম। তা ছাড়া আর কোন উপায়ান্তর আছে কিনা—এ-বিচার করবার শক্তিও তখন আমার ছিল না । সে-রাত্রি অনীহারে গত হ'ল। • . পরদিন প্রাতে আর শয্যত্যাগ করতে পারলাম না। প্রবল জরে আমার উখানশক্তি লোপ করে দিলে । মাথার অসহ্য ধন্ত্রণায সমস্ত দিন নির্জন কক্ষে একাকী পড়ে থাকুলাম,-কেউ একবার জামার সন্ধানও নিলে না । কিসের ছুটিতে সন্ধ্যার সময় সদানন্দ স্বামী আমারবাড়ী এলেন । প্রায় একঘণ্টা পরে তিনি আমার অন্ধকার কক্ষে প্রবেশ করে হাস্তে হাসতে বললেন,—“কি গো, মার সঙ্গে "অসহযোগ করে "হাঙ্গার-স্ট্রাইকু করে" পড়ে’ আtছ নাকি ?” আমার মাথার মধ্যে কেমন করে" উঠল। - দুই হাতে মাথা টিপে উপুড় হ'য়ে পড়ে থাকৃলাম । কোন, উত্তর দিলাম না। আমার মৰ্মবেদনাকে যে এমন