পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4ԳԵ- - “t AASAASAASAASAASAASAA AAAA AAAASAAAS রহস্য-বিক্রপে উপেক্ষা করতে পারে, তাকে জার কি উত্তর দেব’ ! আমি নীরব থাকায় স্বামী পুনরায় বললেন—“কি, উত্তর দিচ্ছ না যে ! অন্ধকারে পড়ে আছ কেন ?” w " অনিচ্ছাসত্বেও আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল— “এখানে আমার আর স্থান নেই,—এ-সংসারে আমার আর কোন অধিকার নেই।” স্বামী হাতে হাতে বললেন,-"ত কি হবে, তুমি যেমন ‘আইন অমান্ত করেছ, মাও তেমনি তোমার উপর ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।” বলতে বলতে তিনি চলে গেলেন। আমি আমার ঘৃণিত, নিলজ মুখখানাকে প্রাণপণ শক্তিতে উপাধানে চেপে হঁাপাতে লাঙ্গুলাম। হায় রে! যে-দেশ নারীর জীবন নিয়ে এমনি করেই ক্রীড়া করে, নারীর মধ্যাদাকে এমনি করে’ই পদাঘাতে ভেঙে দেয়, সে-দেশের সমাজপতিদের কি সভ্যতার গৰ্ব্ব করতে একটু লজ্জাবোধও হয় না ! দ্বিতীয় বিন্দু ভবিষ্যতের মুখ চেয়ে কিসের আশায় যে বেঁচে রইলাম, তা ভগবানই জানেন । বিচারাধীন অপরাধীর মত প্রতিদিন একটা দ গুজ্ঞার আশা নিয়ে আরও এক বৎসর কাটিয়ে দিলাম। এ দুর্যোগভরা জীবনে প্রাতঃস্বর্ষ্যের ক্ষণিক রৌদ্র-রেখার মতই আমার অশ্র-অন্ধ দৃষ্টির সম্মুখে কুড়িয়ুে পেলাম—একদিন—আমার ননীরপুতুল, মোমের ছবি খোকা-বাবুকে । আমার উৎপীড়নক্ষত দেহে খোকাবাবুর কোমল স্পর্শকে নিবিড়ভাবে অবলম্বন করে দিন কাটাতে লাগলাম। কিন্তু আমার - ভবিষ্যতের আশার আলো প্রতিদিনের সঙ্গে সঙ্গে অত্যচারের অন্ধকারে মসি-মলিন হতে থাকুল। বুঝলাম— অপরাধ কারও নয় ;–এটা ঈশ্বরের অভিসম্পাত, বিধাতার বিড়ম্বন । শাশুড়ীর মাতৃহৃদয়ের বদ্ধ ধারণা, আমি তার পুত্রকে কোন যাদুমন্ত্রে মুগ্ধ করে', মাতৃস্নেহের গণ্ডীর বাইরে এনে তার সম্পূর্ণ পর করে ফেলেছি; .তাই তার এই হিংসা, এই বিদ্বেষ। কিন্তু ওগো মা ! তাও কি কখনও হয়। জগতে কি এমন কোন প্রতিষ্কৰী প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩• AAAAAA AAAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAASAA eAeAeAAAA [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড শক্তি আছে, যাতে সন্তানকে মাতৃস্নেহের গণ্ডীর বাইরে আনতে পারে ? লৌকিক ও সমাজ-বন্ধন যত পবিত্র যত দৃঢ়ই হোকৃ—তা জন্ম-সম্বন্ধ মাতাপুত্রের স্বৰ্গীয় বন্ধনকে কস্মিন কালেও শিথিল করতে পারে না । তথাপি এই মাতৃহৃদয়ের মিথ্যা সন্দেহ কত জীবনের স্বর্থ-শাস্তিকে জন্মের মত লুপ্ত করে দেয় ;—তখন কোন যুক্তিতর্ক সে স্নেহান্ধ চিত্তে স্থান পায় না । আর তার উপলক্ষ ও অন্তরায় হয় আমারই মত অসহায় অভাগীর । যাদের হাসি-কান্নার সমান আদর, স্থখ-দুঃখের মূল্য এক । বড়দিনের ছুটিতে একঝুড়ি কোপি ও কমলা নিয়ে স্বামী বাড়ী এলেন। শাশুড়ীর মুখখান কেন যে অস্বাভাবিক গম্ভীর হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না । প্রতিমুহূৰ্ত্তেই একটা অজ্ঞাত আশঙ্কায় আমার বুকের মধ্যে কাপুতে লাগল। g বৈকালে শাশুড়ী কোপি কমলার ঝুড়িটাকে উদ্দেশ করে এক প্রতিবেশিনীর নিকট বলছিলেন,—“ছেলের জিনিস আমি ছুতে চাইনে । তার ছেলে বউ তিনি সাম্লান, তার পয়সা-প্রত্যাশী হবার আগেই যেন আমার মরণ হয় ।” কথাগুলো আমার স্বামীকে শুনিয়ে শুনিয়েই বল। হচ্ছিল। স্বামী একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করে’ বারান্দার অপর প্রান্ত হ’তে ধীরে ধীরে চলে গেলেন। সেই দিন নিভে গেল আমার জীবনের প্রধান প্রদীপট । তার পর স্বামীর মুখে আর হাসি দেখিনি। বাক্যে ব্যবহারে সময়-সময় তিনি আমাকে মৰ্ম্মান্তিক আঘাত দিতেও লাগলেন । তার সদানন্দ স্বভাব সম্পূর্ণ পরিবর্তন হ’য়ে তাকে উদাস গম্ভীর করে দিঙ্গে। এ সকলের জন্যই দায়ী হলাম আমি। প্রতিবাদ করবার উপায় নেই,—আমাদের সে সৎসাহসটাকে সমাজ সহ্য করতে পারেন না । তাই আমাদের গলা টিপে সে-ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করে' রেখেছেন ; পার, নীরবে সহ্য কর, না-পার, নিজের পথ নিজে দেখে না ৪। . - দিবারাত্র কায়মনোবাক্যে ডাকতে লাগ লাম-হে মুক্তিদাতা ! আমার এ-বন্ধন থেকে মুক্ত করে দাও । এ-বিপদ থেকে উদ্ধার করে দাও বিপদভঞ্জন –